জোজোর ছোট্ট ছেলের গায়ের রং নিয়ে ট্রোলিং, শ্রীলেখা লিখলেন, ‘মা কালীর নরকঙ্কালের মালায়…’

Sreelekha Mitra: জোজোর পুত্রকে নিয়ে বিশ্রী ট্রোলিং দেখে আর চুপ থাকতে পারেননি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। রীতি মতো গর্জে উঠেছেন অভিনেত্রী। ট্রোলারদের সরাসরি কুপমণ্ডূকের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জোজোর প্রতি জানিয়েছেন তাঁর অশেষ ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা। লিখেছেন, "এই মানুষটার ফ্যান না, এসি হয়ে গিয়েছি আমি।"

জোজোর ছোট্ট ছেলের গায়ের রং নিয়ে ট্রোলিং, শ্রীলেখা লিখলেন, 'মা কালীর নরকঙ্কালের মালায়...'
শ্রীলেখা মিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 29, 2024 | 12:38 PM

আদি। জোজোর সন্তান। এক মাথা কোঁকড়ানো চুল এবং চকচকে কালো চোখের ভীষণ মিষ্টি ছেলেটাকে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন জোজো। আদিকে জোজো জন্ম দেননি। তাঁকে দত্তক নিয়েছেন। চার বছর বয়স থেকে সে জোজোর আত্মা। সেই আদির গায়ের রং নিয়ে কদর্যভাবে ট্রোল করা হয় মাস খানেক আগে। ক্ষুব্ধ জোজো প্রচণ্ড রেগে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে বলেছিলেন, “জিভ টেনে ছিঁড়ে দেব এবার আমি।” সম্প্রতি আদি এবং জোজোর সঙ্গে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎ ঘটে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর। জোজোর সঙ্গে ‘ওয়াইটুকে সেক্স ক্রমে আসিতেছে’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্রীলেখা। তাঁর গানেরও ভীষণ ভক্ত অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে আদিকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।

একাধিক ছবি পোস্ট করে শ্রীলেখা জোজোর প্রতি তাঁর ভালবাসা জাহির করে লিখেছেন, “এই মেয়েটির আমি ফ্যান বহুদিন থেকে। জোজোর গানের তো বটেই, মানুষ হিসেবেও আমার খুব পছন্দের জোজো। কোনও মারপ্যাচ নেই ওর। খুব হনেস্ট। আর এখন তো আমি এসি হয়ে গিয়েছি এই মিষ্টি পুচকুটাকে নিজের করার পর।”

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে শ্রীলেখা জানেন, ছোট্ট আদিকে কীভাবে ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল। রাগ প্রকাশ করে অভিনেত্রী টাইপ করেন কি-বোর্ডে, “শুনলাম ওকে নাকি ট্রোল করা হয়েছিল বাচ্চাটার কারণেই! এটা আগে হলে মানতে অসুবিধা হত। এখন আর হয় না। যত মানুষ চিনছি, তাঁদের কদর্জ রূপটা দেখছি, ততই এই শ্রেণির ওপর বিদ্বেষ জন্মাচ্ছে।”

এই খবরটিও পড়ুন

ট্রোলার/নিন্দুকদের রীতিমতো শাসিয়েছেন শ্রীলেখা। সরাসরি কুপমণ্ডূক (কুয়োর ব্যাঙ)-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন তাঁদের এবং লিখেছেন, “নিজেরা যে কাজ করতে পারে না, সেই সব কুপমণ্ডূকের দল (বাংলা অভিধান দেখে নেবেন না জানলে) অন্যেরা যে কাজটি করছেন, সেটা প্রশংসা না করতে পারেন, নিজেদের কালো মনের পরিচয়টা নিজেদের কাছেই রাখুন। নইলে মা কালীর নর কঙ্কালের মালায় আপনার মুণ্ডুটাও থাকতে পারে।”