মাত্র ২৩ বছর বয়সে শিল্পার জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, কালপ্রিট নাকি এক যুবক!
Shilpa Shetty: শিল্পা বলেছিলেন, "মাত্র ২৩ বছর বয়সে এক বিশ্রী অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমার প্রেম ভাঙে। সেই সঙ্গে আমিও ভেঙেচুরে যাই। মনে হতে থাকে পৃথিবীর শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি। ফিরে যাওয়ার সব রাস্তাই বন্ধ। তবে আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।"
সুন্দরী। তন্বী। ৯০-এর প্রাণোচ্ছল বলিউড ডিভা। পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো তৈরির ব্যবসার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে তাঁর স্বামী জেলও খেটেছিলেন বছর খানেক আগে। শিল্পা শেট্টির মতো এক তারকার নাম এলে এই বিষয়গুলিই এখন টপ অফ দ্য মাইন্ড রিকল। আরাম আয়েশে পরিপূর্ণ এই নায়িকার জীবন মসৃণ নয় মোটেই। নানা সময়ে, নানা ওঠানামা রুদ্ধ করতে চেয়েছে তাঁর চলার পথ। তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বারবার। তবে প্রথম কবে বুঝলেন, এই ঘুরে দাঁড়ানোই আসলে বেঁচে থাকা?
একজনকে ভালবেসেছিলেন শিল্পা। তাঁর নয়ন আচ্ছন্ন করে রেখেছিল এক স্বর্গীয় জাদু। বয়সটাই যে মায়ার। মাত্র ২৩ বছর বয়সে শিল্পা ভেসে গিয়েছিলেন এক সুদর্শনের টানে। নিজের সবটুকু নিংড়ে প্রেমের নৈবেদ্য সাজিয়েছিলেন। কবির কথায়, প্রেমের সিঁড়ি নাকি নামে স্বর্গ থেকে। শিল্পারও সেটাই মনে হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবের নিষ্ঠুরতা তাঁকে সপ্তম স্বর্গ থেকে টেনে নামায় নীচে। মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়েন শিল্পা। বাস্তবের মুখোমুখী দাঁড়িয়ে থাকা। শিল্পার সব কিছু তছনছ করে দিতে মন চেয়েছিল।
শিল্পা বলেছিলেন, “মাত্র ২৩ বছর বয়সে এক বিশ্রী অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমার প্রেম ভাঙে। সেই সঙ্গে আমিও ভেঙেচুরে যাই। মনে হতে থাকে পৃথিবীর শেষপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি। ফিরে যাওয়ার সব রাস্তাই বন্ধ। তবে আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।”
বলতে-বলতে শিল্পীর মধ্যে এক অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। যে আত্মবিশ্বাস তাঁকে মাথা তুলে দাঁড় করিয়েছিল স্বামী রাজ কুন্দ্রার অমন কেচ্ছা-কেলেঙ্কারীতে নাম জড়ানোর পরও। শিল্পা বলেছিলেন, “প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এমন একটা সময় আসে, যখন তাঁকে কিছু সত্য ধাক্কা দেয়। আমার মতে, সেই ধাক্কাগুলো সকলেরই পাওয়া প্রয়োজন। প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকেই মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। না হলে জীবনীশক্তি তৈরিই হয় না। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিকূলতা অবশ্যক। ২৩ বছরের সেই আমিটা আমাকে সেই শিক্ষাই দিয়েছিল।”