ডাস্টবিনে পড়ে থাকা আপেলে কামড়! ভারতীর সংগ্রাম যেন আস্ত সিনেমা
Bharti Singh: মা কাজ করতেন অন্যের বাড়িতে। তাঁদের বেঁচে যাওয়া বাসি রুটি, খাবার খেয়েই মুখে হাসি ফুটত তাঁর। তিনি যোগ করেন, "অন্যের বাসি সবজি তখন আমাদের কাছে তাজা। আমরা খুশি হয়ে পড়তাম।"

ভারতী সিং, তাঁকে কে না চেনেন? সবাইকে হাসান যিনি, সেই ভারতীর সংগ্রামের গল্প কি আপনি জানতেন এর আগে? জানতেন ওই হাসির নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা একরাশ কান্না, না পাওয়ার আখ্যান। না , তিনি স্টারকিড নন, নেই কোনও লিনিয়েজ। খুব ছোট বয়সে বাবাকে হারানো থেকে শুরু করে লোকের বাড়িতে মায়ের কাজ… তাঁর জীবন তো শুধু জীবন নয়, যেন আস্ত এক সিনেমা। সম্প্রতি জীবনের সেই অধ্যায়ের কথাই শেয়ার করেছেন ভারতী। তাঁর কথায়, “দেখতাম অনেকেই অর্ধেক আপেল খেয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। কতবার ইচ্ছে হয়েছে ওই বেঁচে থাকা আপেলে গিয়ে কামড় বসাই। হ্যাঁ, এমনটাই ভাবতাম আমি। এতটাই গরীব ছিলাম।”
অনুষ্ঠান এলে সবার মন আনন্দে ভরে ওঠে। কিন্তু ভারতীর তা হত না। উদযাপন যে করবেন, সেই পয়সাই বা কোথায়? তাঁর কথায়, “হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তাম। কিছুই তো ছিল না আমাদের কাছে। মা যখন কাজ করে মিষ্টি নিয়ে আসতেন তখন আমাদের উৎসব শুরু হত। সবাই বাজি পোড়াত, আমরা চুপি চুপি গিয়ে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতাম, যাতে বাকিরা ভাবে আমরাও বাজি পোড়াচ্ছি। আমাদের কাছেও পয়সা আছে।”
মা কাজ করতেন অন্যের বাড়িতে। তাঁদের বেঁচে যাওয়া বাসি রুটি, খাবার খেয়েই মুখে হাসি ফুটত তাঁর। তিনি যোগ করেন, “অন্যের বাসি সবজি তখন আমাদের কাছে তাজা। আমরা খুশি হয়ে পড়তাম।” কিন্তু ওই যে ‘চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়’। ভারতীর ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়নি। হঠাৎ করেই ব্রেক মেলে। সেখান থেকে মুম্বই, অনেকটা সংগ্রাম ও অবশেষে সাফল্য। আজ তিনি সফলতার চরম শিখরে দাঁড়িয়ে। গরিবিয়ানা কবেই বিদায় নিয়েছে তাঁর জীবন থেকে।





