‘তোমার জন্যই তো সবকিছু, সবটা, প্রত্যেকটা দিন’, শ্রীদেবীর জন্মদিনে মেয়ে জাহ্নবী
মায়ের মৃত্যুর পর জাহ্নবী বলেছিলেন, "আমি এখনও শকে আছি। মা চলে যাওয়ার ৩-৪ মাস কীভাবে কাটিয়েছি, মনে পড়ে না আমার।"
বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হত ৫৮ বছর। বড় অল্প সময়ের মধ্যে চলে গেলেন ‘চাঁদনী’ শ্রীদেবী। আজ ১৩ অগাস্ট। আজকের দিনেই তামিল নাড়ুর মিনাপাট্টিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রী আম্মা ইয়াংগের আয়াপান (জন্মের সময় এটাই ছিল শ্রীদেবীর নাম)। তেলেগু, তামিল, হিন্দি, মালায়ালাম, কন্নড় মিলিয়ে অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। শিশু শিল্পী হিসেবে সিনেমা জগতে প্রবেশ। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পেয়েছিলেন নানা পুরস্কার, নানা সম্মান। জাতীয় পুরস্কার, ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। কমেডি থেকে এপিক ড্রামা, ক্রাইম থ্রিলার থেকে নারীবাদী ছবি – সবেতেই অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন শ্রীদেবী। আজ তাঁর জন্মদিনে ভক্তরা তাঁকে মনে করছেন ঠিকই, কিন্তু যে মানুষটি তাঁকে সারাক্ষণ মিস করেন, তিনি আর কেউ নন শ্রীদেবীর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও অভিনেত্রী জাহ্নবী।
মায়ের সঙ্গে জুড়ে থাকতেন জাহ্নবী। সব জায়গায় মায়ের সঙ্গেই যেতেন। দু’জনের মধ্যে দারুণ বন্ড ছিল। একে-অপরের ভাল বন্ধু ছিলেন। ২০১৮ সালে শ্রীদেবীর অকাল মৃত্যু জাহ্নবীকে একেবারে একা করে দিয়েছিল। মা যে নেই, সেটা তিনি মেনেই নিতে পারছিলেন না। জাহ্নবীর প্রথম ছবি ‘ধড়ক’ও তখনও মুক্তি পায়নি। রুপোলি পর্দায় মেয়েকে অভিনয় করতে দেখে যেতে পারেননি মা – এই যন্ত্রণা সারাজীবন বয়ে নিয়ে যেতে হবে কন্যা জাহ্নবীকে।
View this post on Instagram
মায়ের জন্মদিনে জাহ্নবী একটি সুন্দর পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় তোলা একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। মিষ্টত্ব ঠিক তাঁদের সম্পর্কের মতোই। ক্যাপশনে লিখেছেন, “হ্যাপি বার্থডে মাম্মা। আমি তোমাকে খুব মিস করি। তোমার জন্যই তো সবকিছু, সবটা, প্রত্যেকটা দিন। আই লাভ ইউ।”
সত্যিই তো, মায়ের জন্যেই তো সবকিছু। তিনি এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন বলেই কিনা এতকিছু পাওয়া। জাহ্নবী যে মাকে মিস করেন সেটি তাঁর বিভিন্ন পোস্টেই বোঝা যায়। মায়ের মৃত্যুর পর জাহ্নবী বলেছিলেন, “আমি এখনও শকে আছি। মা চলে যাওয়ার ৩-৪ মাস কীভাবে কাটিয়েছি, মনে পড়ে না আমার।”
মা চলে গিয়েছেন ছেড়ে, তাই বাবা বনি কাপুরকে আরও বেশি আগলে ধরেছেন জাহ্নবী। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে শ্রীদেবী উড়ে গিয়েছিলেন ইউনাইটেড আরব এমিরেস্টের শহর আল জাজিরা আল হামরায়। পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের পর দুবাইয়ে কিছুদিন কাটাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। জাহ্নবীর ২১তম জন্মদিনের জন্য শপিং করবেন বলেও ঠিক করেছিলেন। বনি ভেবেছিলেন স্ত্রীকে সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়ে চমকে দেবেন। তিনি দুবাই পৌঁছেওছিলেন কিন্তু শ্রীকে সারপ্রাইজ দিতে পারেননি। নিজেই সারপ্রাইজড হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে চমকেছিল গোটা দেশ। একটি মর্মান্তিক দুঃসংবাদ রাতের ঘুম কেড়েছিল সকলের। দুবাইয়ের হোটেলে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু ঘটে শ্রীদেবীর। সেই শোক আজও ভুলতে পারে না কাপুর পরিবার ও শ্রীদেবীর অসংখ্য ভক্ত।
আরও পড়ুন: বিদ্যা বালন ও শেফালি শাহ একসঙ্গে জলসা করবেন, কী হবে সেখানে?
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ছবি তৈরি করছেন, তাই হোম গ্রাউন্ডের চাপ নেই; অনীকের এই মন্তব্যে কী বললেন সৃজিত?