Death Threat Salman: হত্যার হুমকির পর সাবধান সলমন, এবার কী করলেন?
Death Threat Salman: চিত্রনাট্যকার সেলিম খান রবিবার ৫ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ড প্রমনেডের কাছে একটি বেনামী চিঠি পেয়েছিলেন, যখন তিনি প্রাতঃভ্রমণ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন।
সলমন খানের জীবন কিছুদিন ধরে বিপদের মুখে পড়েছে। যার ফলে এবার তিনি ঈদেও বাড়ির বাইরে আসেননি ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে। আসলে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে চলছে মামলা। সেই কারণেই তাঁকে পেতে হয়েছে হত্যার হুমকি। শুধু তিনি নন, তাঁর বাবা, আইনজীবী সবাই এই হুমকির মুখোমুখি হয়েছে। মুম্বই-দিল্লির পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত করছেন। তবে সম্প্রতি একটি খবর বলছে, সলমন নিজের সুরক্ষা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন। এবার সেই কারণেই সুপারস্টার তাঁর গাড়ি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারকে আপগ্রেড করে বুলেটপ্রুফ গ্ল্যাস লাগিয়েছেন। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারের এই সংস্করণটি একেবারে নতুন মডেল নয়, বরং আগের মডেল এটি। সম্প্রতি মুম্বইয়ের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সলমন খানের বাড়ি থেকে এই গাড়ি বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে।
চিত্রনাট্যকার সেলিম খান রবিবার ৫ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ড প্রমনেডের কাছে একটি বেনামী চিঠি পেয়েছিলেন, যখন তিনি প্রাতঃভ্রমণ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। সেই সময় পুলিশ নিশ্চিত করেছিল যে এই চিঠি সেলিম এবং তাঁর সুপারস্টার ছেলে সলমন খান উভয়ের জন্যই প্রাণনাশের হুমকি হিসেবে এসেছে। চিঠিতে লেখা ছিল, “আমি তোমাকে মুস ওয়ালার মতোই করে দেব”। পাঞ্জাবি সঙ্গীতশিল্পী মুসওয়ালার হত্যার পর এই ঘটনা ঘটে।
সলমন খান, সেলিম খানের হুমকি নিয়ে কী বলেছিল পুলিশ? বান্দ্রা পুলিশের এক আধিকারিক বলেছিলেন, “চিঠিটি সেলিম খানের নিরাপত্তা কর্মীরা একটি বেঞ্চে পেয়েছিলেন। সেলিম খান সকালের রুটিন মেনে চলেন যেখানে তিনি তাঁর নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে প্রমোনেডে হাঁটতে যান। একটি জায়গা রয়েছে যেখানে তিনি সাধারণত বিরতি নেন। সেখানেই একটি বেঞ্চে এই চিঠি রেখে দেওয়া হয়েছিল।” পুলিশ একটি অপরাধ নথিভুক্ত করেছে এবং বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ডে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে, পাশাপাশি তাঁদের তদন্তের অংশ হিসাবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন।
স্পষ্টতই তাঁরা সিধু মুজওয়ালার হত্যা কাণ্ডের পরে এই জাতীয় সমস্ত বিষয়কে খুব গুরুত্ব সহকারে নজরে রাখছেন। সিধু মুসওয়ালা খুনের পর সলমন খানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বান্দ্রা পুলিশ আধিকারিকদের মতে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের তিন গ্যাং সদস্য, যাঁরা রাজস্থানের জালৌর থেকে মুম্বইতে এসেছিলেন, সেলিমকে খুঁজে বের করে চিঠিটি রেখেছিলেন, এটি মহাকাল ওরফে সিদ্ধেশ ওরফে সৌরভ কাম্বলে প্রকাশ করেছিলেন। যে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন অভিযুক্ত সদস্য। সম্প্রতি পুনেতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।