Dadasaheb Phalke Awards: রাত পোহালেই ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’, উত্তেজনায় ফুটছে মুম্বই
Dadasaheb Phalke Award: মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে ওয়েস্টের জেভিপিডি স্কিমের এমপি অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। শুরু হবে ঠিক সন্ধে ছ'টায়।
দাদাসাহেব ফালকে– ভারতীয় ছবি জনক তিনি। আর তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই প্রতি বছর আয়োজিত হয় দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। জীবনভর কাজের স্বীকৃতি, সিনেমা জগতে অসাধারণ অবদানের জন্য কৃতীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সম্মান। এই বছরেও ২০ মে অর্থাৎ আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে ওয়েস্টের জেভিপিডি স্কিমের এমপি অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। শুরু হবে ঠিক সন্ধে ছ’টায়। শুধু বলিউডের তাবড় তারকারাই নন, হাজির থাকবেন টেলিভিশনের নামজাদারাও। এর আগে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আলোকিত করেছেন শাহরুখ খান থেকে শুরু করে মণীশা কৈরালা ও জেন-জি নায়ক কার্তিক আরিয়ান।
আগামিকালও বসতে চলেছে চাঁদের হাট। বেশ কিছু বিভাগে ভাগ করা হয়েছে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এর মধ্যে যে চারটি বিভাগ নিয়ে চর্চা সর্বত্র তা হল শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। কে জিতে নেবে সেরার সেরা পুরস্কার? এখন সেদিকেই চোখ সকলের। তবে শুধু পুরস্কার বিতরণীই নয়, থাকছে বিনোদনে ডাবল ধামাকাও। সুন্দরী নায়িকাদের নাচ-গানে মুখরিত হতে চলেছে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন। অপেক্ষার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এর পরেই সেই প্রতীক্ষিত মুহূর্ত।
दादासाहेब फाल्के फिल्म फाउंडेशन अवॉर्ड 20 मई को मुंबई के मुकेश पटेल ऑडिटोरियम में होगा#DadaSahebPhalke#DadaSahebPhalkeAwards2023#TV9Network#Mumbai pic.twitter.com/dQZZl8nbe4
— TV9 Bharatvarsh (@TV9Bharatvarsh) May 19, 2023
কে ছিলেন দাদাসাহেব? কেনই বা এত বছর তাঁকে মনে রেখেছে সিনেপ্রেমী? ১৮৭০ সালে ধুন্দিরাজ গোবিন্দ ফালকে নামে জন্মনেন তিনি জন্ম হয় নাসিকের এক মরাঠি পরিবারে। বাবা ছিলেন সংস্কৃতের পন্ডিত। একই সঙ্গে করতেন পৌরহিত্যও। নয় জনের পরিবার, ভাই-বোন সাত জন। চালাতেন ছাপাখানা, কিন্তু লক্ষ্য ছিল অন্য। ১৯১৩ সালে তিনি তৈরি করেন ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ নামক এক চলচ্চিত্র, যা ছিল ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র। শুরু হয় তাঁর সিনে-সাধনা। এরপর প্রায় ২৪ বছর ধরে প্রায় ৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও ২৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ‘সত্যবান সাবিত্রী’, ‘সেতু বন্ধন’, ‘শ্রী কৃষ্ণ জন্ম’সহ অন্যান্য। তিনি নেই, কিন্তু রয়ে গিয়েছেন তাঁর উত্তরসূরীরা। আর তাঁদেরই স্বীকৃতি জানাতেই আগামীকাল বসবে চাঁদের হাট। কে হবেন সেরার সেরা? এখন শুধু সেটাই দেখার…