Sidhu Moose Wala: চলন্ত গাড়িতেই খুন হবেন বুঝেছিলেন সিধু? ‘প্রমাণ’ খুঁজে পেলেন ভক্তরাই
Sidhu Moose Wala: তিনি কি সত্যিই বুঝতে পেরেছিলেন সময় ঘনিয়ে এসেছে? তেমনটাই মনে করছেন সিধুর ভক্তরা।
গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসওয়ালাকে। রবিবার বিকেলেই পঞ্জাবের মানসা জেলার একটি গ্রামে সিধুর গাড়িকে ঘিরে ফেলে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী। একের পর এক গুলিতে মুহূর্তেই নিথর হয়ে যায় তাঁর দেহ। সিধুর গানের যদি আপনি ভক্ত হয়ে থাকেন, তবে এই অদ্ভুত সমাপতন আপনাকে অবাক করবে। শিউরে উঠবেন আপনি।
তাঁর গাওয়া শেষ গানের নাম ‘দ্য লাস্ট রাইড’। বাংলায় তর্জমা করলে যার মানে দাঁড়ায়, ‘শেষযাত্রা’ অথবা ‘অন্তিম যাত্রা’। পুরো গানটাই মৃত্যুর কথা বলে। গানটি শুটও করা হয়েছে সাদা-কালোতে। যা আপাতদৃষ্টিতে মৃত্যুরই সমার্থক। অ্যামেরিকান র্যাপার টুপ্যাকের মৃত্যুর কথাই উঠে এসেছিল ওই গানে। ১৯৯৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয় টুপ্যাককে। তাঁর বয়স তখন মাত্র ২৫ বছর। কী আশ্চর্য সমাপতন! ঠিক এভাবেই চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করেই গুলি করা হয় সিধুকে ঠিক ২৬ বছর পর।
তিনি কি সত্যিই বুঝতে পেরেছিলেন সময় ঘনিয়ে এসেছে? তেমনটাই মনে করছেন সিধুর ভক্তরা। গানের তলায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে মন ভাঙার কমেন্ট। কেউ লিখেছেন, “নিজের মৃত্যু বুঝতে পেরেছিলেন ভাই”। আবার কারও মন্তব্য, “বুঝতে পারিনি এই গানই তোমার শেষ রাইড”।
ইতিমধ্যেই সিধুকে হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার। ওই গ্যাংস্টার নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পঞ্জাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ গুন্ডারাই সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করেছে। গোল্ডি ব্রার কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি ওই পঞ্জাবি গায়কের কাছে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িও ছিল। শনিবার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হলেও, বুলেটপ্রুফ গাড়িটি তাঁর নিজস্বই ছিল। কিন্তু রবিবার কেন তিনি ওই গাড়ি নিয়ে বের হননি, তা জানা যায়নি। চলছে তদন্ত। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।