AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ajitesh Bandhopadhyay: ফের মঞ্চে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিতংস’, ৫০ বছর আগের নাটক আজ কতখানি প্রাসঙ্গিক?

Bengali Theatre: সমাজের নানা স্তর, নানা ঘটনাবলীকে তুলে ধরা হয়েছে এই নাটকে। নাটক নিয়ে TV9 বাংলাকে কী বললেন নির্দেশক অশোক বিশ্বনাথন?

Ajitesh Bandhopadhyay: ফের মঞ্চে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বিতংস', ৫০ বছর আগের নাটক আজ কতখানি প্রাসঙ্গিক?
| Updated on: Jul 22, 2022 | 3:22 PM
Share

স্নেহা সেনগুপ্ত

শুক্রবার (২২.০৭.২০২২) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার মধুসূদন মঞ্চে মঞ্চস্থ হতে চলেছে ‘কসবা অশনি’ নাট্যদলের নতুন নাটক ‘বিতংস’। নাটকের ইউএসপি কী জানেন? এটি বাংলার নাট্যজগতের ‘কিং’ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক। পোস্টারে বড়-বড় করে জ্বলজ্বল করছে তাঁরই নাম। নির্দেশনা করেছেন অশোক বিশ্বনাথন। কেবল তাই-ই নয়, নাটকে অভিনয়ও করেছেন অশোক। নাটকের অন্যতম অংশীদাররা হলেন কমল রায়, দেবাশীষ সরকার, নন্দিনী ভাদুড়ী। অশোক বিশ্বনাথনের কথায়, ‘বিতংস’ সামাজিক ব্যঙ্গ (সোশ্যাল স্যাটায়ার)। সমাজের নানা স্তর, নানা ঘটনাবলীকে তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। নাটক নিয়ে TV9 বাংলাকে কী বললেন অশোক বিশ্বনাথন?

এই সময় দাঁড়িয়ে কেন অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিতংস’ মঞ্চস্থ করার কথা ভাবলেন?

অশোক বিশ্বনাথন: অনেক বছর আগে আমেরিকার একটি ইংরেজি নাটকের রূপান্তর করেছিলেন অজিতেজ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নাটকের নাম ছিল ‘আর্সেনিক অ্যান্ড ওল্ড লেস’। আমরা সেটাকে আরও সমসাময়িক করার চেষ্টা করেছি। ৮০-র দশকের গল্প বলা হচ্ছে ‘বিতংস’-এ। আমাদের প্রত্যেকেরই মনে হয়েছে, এই নাটক অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সমসাময়িক জটিল জীবনকে তুলে ধরতে চেয়েছি। আমরা বারবারই দেখছি যে, কেন্দ্রে, রাজ্যে, বিদেশে বিভিন্নভাবে অদ্ভুত রকমের অনাচার চলছে। যেভাবে শোষণ হচ্ছে, অত্যাচার চলছে, নিপীড়ন হচ্ছে, সেটার প্রেক্ষিতে এই নাটকটিকে মনে হয়েছে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

কীভাবে প্রাসঙ্গিক?

অশোক বিশ্বনাথন: এই যে সকলে অতিমারীর মধ্যে দিয়ে আমরা গেলাম, তাতে অনেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন কিংবা হারাচ্ছেন। আত্মহত্যার হারও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এই নাটকটাই বেছে নিয়েছি। ‘বিতংস’ আপাতদৃষ্টিতে হাস্যরস পূর্ণ। সরসতাই মূল কথা। মজার নাটক। নাটকের ভিতরে লুকিয়ে আছে গভীরবার্তা।

কী বার্তা?

অশোক বিশ্বনাথন: আজকের দিনে আমরা ভীষণভাবে অন্যের পায়ের উপর পা রেখে বাঁচার চেষ্টা করছি। অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নিজেরা জায়গা করে নিচ্ছি। সেটা ইউক্রেনের যুগ্ধই বলুন, কিংবা কেন্দ্রের অত্যাচার, অথবা রাজ্যের খামখেয়ালিপনা। সব ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছেন। নাটকে অদ্ভুতভাবে একের পর-এক মানুষ খুন হয়। সেই খুন নিয়ে কিছু মানুষ মস্তরা করছেন। কিছু মানুষ আপাতদৃষ্টিতে দরদ দেখাচ্ছেন। আসলে এটাই তো ঘটছে চারপাশে। প্রহসনের মাধ্যমে সমাজকে কটাক্ষ করা হয়েছে ‘বিতংস’-এ। এটা একটা স্যাটায়ার। কেবল পলিটিক্যাল কিংবা রাজনৈতিক স্যাটায়ার বলা ঠিক হবে না। বলা ভাল সোশ্যাল স্যাটায়ার।

নাটকের ‘বিতংস’ নামকরণ কার?

অশোক বিশ্বনাথন: আজ থেকে ৫০ বছর আগে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় নাটকের নামকরণ করেছিলেন। কথাটির অর্থ ‘পাখি ধরার ফাঁদ’। আমরা তো আসলে সবসময় ফাঁদের মধ্যেই পা দিচ্ছি…।