Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Lopamudra Mitra: ‘অ্যাই নেমে যা, নাম…’, বাংলা গান গাইতে উঠে চরম হেনস্থার শিকার লোপামুদ্রা

Lopamudra Mitra: বাংলা গান? সেখানেও কি জন্মেছেন অনীহা? মাচা শো করতে গিয়েছে গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্রের যে অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তা সত্যিই ভয়াবহ।

Lopamudra Mitra: 'অ্যাই নেমে যা, নাম...', বাংলা গান গাইতে উঠে চরম হেনস্থার শিকার লোপামুদ্রা
বাংলা গান গাইতে উঠে চরম হেনস্থার শিকার লোপামুদ্রা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2023 | 12:34 PM

এখন নাকি গান গাইতে গেলে আর সুর-তালের দরকার নেই, অটোটিউনেই কেল্লাফতে… কিছু দিন আগে এমনই অভিযোগ করেছিলেন গায়িকা কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। আর বাংলা গান? সেখানেও কি জন্মেছে অনীহা? মাচা শো করতে গিয়েছে গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্রের যে অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তা সত্যিই ভয়াবহ। এতটা অপমান বোধহয় আগে কেউ করেননি তাঁকে। এক ওয়েব প্ল্যাটফর্মে এসে সেই অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করেছেন গায়িকা। লোপামুদ্রা জানিয়েছেন, তাঁর শো’টি ছিল আমডাঙায়। পুলিশের এক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য ডাকা হয় তাঁকে। এক ঘণ্টা অনুষ্ঠান। সেই মতোই মঞ্চে উঠে নিজের আইকনিক সব গান, ‘হৃদমাঝারে, ধাধিনা নাতিনা, আয় আয় কে যাবি,’ গাইলেন তিনি। কিন্তু পরিবর্তে যে ব্যবহার পেলেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। তাঁর কথায়, “সুন্দরী কমলা গাইছি, ধাধিনা নাতিনা গাইছি, কিচ্ছু শুনছে না, বলেই চলেছে, “অ্যাই নেমে যা, অ্যাই নেমে যা”।

অসম্মানের এখানেই শেষ নয়। সামনের সারিতে হঠাৎই গায়িকা দেখেন কিছু ব্যক্তি বসে বিড়ি খাচ্ছেন। তিনি যোগ করেন, “আরও রাগ ধরছে, যখন দেখি কয়েকটা ছেলে সামনের সারিতে বসে ‘ফুঁ ফুঁ’ করে বিড়ি খাচ্ছে। আমি ওদের বলি, ‘অ্যাই বিড়ি খাচ্ছিস কেন?’ এই সব মানুষকে সরাসরি তুই-ই বলতে হয়। বললাম, ‘খা বিড়ি। বাড়িতে বোন আছে, মা আছে? তুই মরে গেলে আর কার কী এসে যায় বল?” সেদিন বিরক্ত হয়েছিলেন গায়িকা। কিন্তু পেশাদারিত্বের কথা মাথায় রেখে সেদিন ওই জায়গা ছেড়ে তিনি মোটেও চলে আসেননি। বরং পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন ওই সব শ্রোতাদের, যাঁদের কাছ থেকে ন্যূনতম সম্মানটুকুও মেলেনি সেদিন। বলেন, “অ্যাই শোন আমাকে এখানে ডাকা হয়েছে এক ঘণ্টা গান গাওয়ার জন্য। এক ঘণ্টার আগে যদি কেউ আমাকে স্টেজ থেকে নামাতে পারে, নামিয়ে দেখা।”

এরপর যদিও গায়িকার উদ্দেশ্যে ওই সব কটুক্তি করার সাহস পায়নি কেউ। গায়িকা শুরু করেন, ‘যাও পাখি’। লোপামুদ্রার ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই চলছে চর্চা। এক ব্যক্তি কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, “ওই দিন ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলাম আমিও। কিন্তু যা পরিবেশ ছিল আর যেভাবে তাঁর সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আমি ভুলিনি। পুরো অনুষ্ঠান শুনতেই পারিনি। বাড়ি চলে এসেছি।” কেন এই অনীহা? যে সব গানে একসময় মাচা শো মেতে থাকত, সেই সব গান শোনালেই সমালোচনা! কিন্তু কেন? মন্তব্য বক্স আপাতত সেই প্রশ্নেই মুখর। তবে শুধু লোপামুদ্রাই নয়। এর আগে এরকম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে বাংলার অনেক শিল্পীকে। সরাসরি হিন্দি গান শুনতে চাওয়ার সুপারিশ এসেছে। কেউ দর্শকের মন জুগিয়ে তাই গেয়েছেন। আবার কেউ বা নিজের শর্তে শেষ করেছেন অনুষ্ঠান, যেমন করেছেন লোপামুদ্রা।