“আমি তো ওঁকে দেখেই বললাম ওহ লাভলি!” উডবার্ন ব্লকে হাজির মদন, দেখা করলেন ‘গানওয়ালা’-র সঙ্গে
প্রিয় গায়কের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বেশ কয়েকটি ছবিও তুলেছেন। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে মদন মিত্র ক্যাপশনে লেখেন, ‘মুখে ফেরা মানুষের গানে গানে—তোমাকে চাই’.
পরিচিতি বহুদিনের। সম্পর্কের বয়স মনে রাখেন না মদন মিত্র। তবে যে সম্পর্ক তাঁদের মধ্যে রয়েছে তার ঠিক সংজ্ঞা কী আজও জানেন না কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
কবীর সুমন। একটা গিটার আর কিছু শব্দ যা বাঙালির এক গোটা প্রজন্মকে এঁফোড়ওফোড় করে বিঁধেছে। তাঁর গান শুনে চিৎকার উঠত ‘তোমাকে চাই, সুমন তোমাকে চাই’। সেই মানুষ আজ অসুস্থ। অসুস্থ বাঙালির ‘গানওয়ালা’।শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি গায়ক কবীর সুমন (Kabir Suman)। রবিবার রাতে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। শরীরের যে পরিস্থিতি নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, বর্তমানে তাঁর থেকে অনেকটাই ভাল রয়েছেন কবির সুমন।
সুমনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মদন মিত্র। একটা ছোট্ট আড্ডাও দিয়েছেন গায়কের সঙ্গে। কী ছিল আড্ডার বিষয়। মদন মিত্র বললেন, “কী ছিল না বলুন। ‘মাইন ক্যাম্ফ’ পর্যন্ত চলে গিয়েছি আমরা। বললেন, ‘আমি বেঁচে থাকব। ২০২৪ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সরকারে তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখব।’ আমার আলাপ ওঁর সঙ্গে আজকের নয়। আগের থেকে অনেক ভাল আছেন সুমন। খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন আমাদের প্রিয় গানওয়ালা। খুব তাড়াতাড়ি। আমি তো ওঁকে দেখেই বললাম ওহ লাভলি! এক লাভলি আড্ডা।”
"মুখে ফেরা মানুষের গানে গানে – তোমাকে চাই"…"ছেড়েছো তো অনেক .. হাল ছেড়ো না ..বন্ধু কন্ঠ ছাড়ো .. দেখা হবে তোমার আমার আবার নতুন গানের ভোরে .."@kabirsumandotin pic.twitter.com/NGoE5JOE9V
— Madan Mitra| মদন মিত্র (@madanmitraoff) June 29, 2021
প্রিয় গায়কের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বেশ কয়েকটি ছবিও তুলেছেন। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে মদন মিত্র ক্যাপশনে লেখেন, ‘মুখে ফেরা মানুষের গানে গানে—তোমাকে চাই’…’ ছেড়েছো তো অনেক .. হাল ছেড়ো না ..বন্ধু, কন্ঠ ছাড়ো .. দেখা হবে তোমার আমার আবার নতুন গানের ভোরে ..’
চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাক্তার সৌমিত্র ঘোষ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর কমেছে সুমনের। আগের থেকে কম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। সোমবার প্রতি মিনিটে ৬ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল, মঙ্গলবার তা কমিয়ে মিনিটে ৪ লিটার করা হয়েছে। বুকের এক্স-রে করে বড় কিছু সমস্যা না পাওয়া গেলেও কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।