Sushmita Sen: ৪৭-এও তুঙ্গে জনপ্রিয়তা, দেখুন সুস্মিতার মণিপুর ডায়েরিও যেন সেই কথাই বলছে!
Sushmita Sen:
সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen) ফিরে এসেছেন স্বমহিমায়। নিজের জন্মদিন তাঁর খুব পছন্দের- এমন একটি ক্যাপশনসহ ছবি দিয়ে তিনি নিজের মতো করে সময় কাটাতে বিমান ধরে কোথাও চলে যান। কোথায় যাচ্ছেন তা অবশ্য অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর শেষ পোস্ট ছিল ১৮ নভেম্বর। অর্থাৎ জন্মদিনের আগের দিন সেখানে তাঁর অবশেষে ৪৭ হচ্ছে, যা তিনি ইনস্টাগ্রামে গত ১৩ বছর লিখে আসছেন, তা হচ্ছে, নিজেই লেখেন একটি ছবি পোস্ট করে। তারপর আবার বিমান আর সেলফি সহ ছবি দিয়ে ফিরে আসা। এবারের গন্তব্য নিয়ে কোনও লুকোছাপা নেই। তাঁর গন্তব্য মণিপুর। উদ্দেশ্য সেখানকার সাংহাই উৎসবে যোগ দেওয়া।মণিপুরের জনপ্রিয় ডিজাইনার রবার্ট নওরেম-এর ডাকে তিনি ২০২২ সালের এই উৎসবে উপস্থিত হন।
View this post on Instagram
ব়্যাম্প তাঁর অন্যতম প্রিয়। শুধু উৎসবের অংশ নিয়েই থামেননি তিনি, ব়্যাম্পের শো-স্টপারও হন বিশ্বসুন্দরী। ডিজাইনার দম্পতি ফানেক এবং রানিফি-র ডিজাইন করা মণিপুরের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হলে করতালির গুঞ্জনে ভরে যায় অডিটোরিয়াম। প্রায় হাজার দশেক দর্শক তাঁকে সামনে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত। অডিটোরিয়ামের ভিডিয়ো নিজেই শেয়ার করেছেন সুস তাঁর ইনস্টাগ্রামে। সঙ্গে অবশ্য রয়েছে একটি ক্যাপশনও। কী লিখেছিলেন সুস্মিতা, “এবং…তাঁরা মঞ্চটিকে কাছে নিয়ে এসেছেন! ১০০০০ দর্শক মিলে! এই শক্তি হল ভালবাসা! এবং আমি এই প্রাপ্তির অংশ হতে পেরে ধন্য!!! ধন্যবাদ রবার্টনওরেমস্টুটিয়ো-কে সম্মানজনক সাংহাই উৎসব ২০২২, মণিপুরের সমাপনী অনুষ্ঠানে শোস্টপার হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য, ফানেক রানিফি আপনাদের সুন্দর ডিজাইন করা ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি পোশাক পরার সুযোগ পেয়েছি। তাঁতিদের ভালবাসা এবং কঠোর পরিশ্রম মিলিত এই পোশাক যা মণিপুরের শিল্প ও সংস্কৃতিকে অন্যমাত্রা দিয়েছে, ব়্যাম্পে হাঁটা সত্যিকারের উদযাপন। আমাদের সুন্দর ভূমিকে সংরক্ষণ, আর তার সমস্ত বিষয়গুলোকে লালনপালন করা সকলের দায়িত্ব”।
View this post on Instagram
এই অবধি সব ঠিক ছিল। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বসুন্দরী জানতে পারেন, অডিটোরিয়ামে সকলের জায়গা হয়নি। শুধু তাঁকে দেখবেন বলে বাইরে হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন। সুস্মিতা মানেই অন্য কিছু। এই খবর পেতেই তিনি রবার্টকে জানিয়ে দেন ভেনু থেকে বেরোবেন হুড খোলা গাড়িতে, যাতে যাঁরা অপেক্ষা করছেন তাঁরাও সরাসরি তাঁকে দেখতে পান। ঠাণ্ডায় এতো অনুরাগীকে কি নিরাশ করতে পারেন সুন্দরী! করলেনও না। তাঁকে সামনে দেখে মুগ্ধ ভক্তরা। সেই ভিডিয়োও তিনি পোস্ট করেন সুস্মিতা তাঁর মণিপুর ডায়েরিতে। সেখানেও রয়েছে ক্যাপশন। যা শেষ হয়েছে অনুরাগীদের ভালবাসী, দু্গ্গা দুগ্গা লিখে। এর মাঝে আরও একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি মণিপুরের রাজকীয় পোশাক পরে, সঙ্গে মাথায় সেখানকার ঐতিহ্যবাহী পাগড়ী। জন্মদিনের পর সুস্মিতার তাঁর এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অনুরাগীদের সঙ্গে
।