Add Controversy Hrithik: হৃত্বিক রোশন ‘থালি’ কিনছেন ‘মহাকাল’ মন্দিরের মতো বলে, এই বিজ্ঞাপন নিয়ে পুলিশি তদন্ত
Add Controversy Hrithik: হৃত্বিক রোশনের (যিনি ওই অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মুখ, ক্যাটরিনা কাইফ আর একজন মুখ) উজ্জয়িনের একটি "থালি" (খাবারের থালা) খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে তাই তিনি "মহাকাল" থেকে সেটি অর্ডার করেছিলেন।
একটি বিজ্ঞাপন অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের। তাই নিয়ে উঠেছে আপত্তি। কী রয়েছে সেই বিজ্ঞাপনে? দেখানো হয়েছে বলিউড তারকা হৃত্বিক রোশনের (যিনি ওই অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মুখ, ক্যাটরিনা কাইফ আর একজন মুখ) উজ্জয়িনের একটি “থালি” (খাবারের থালা) খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে তাই তিনি “মহাকাল” থেকে সেটি অর্ডার করেছিলেন। ‘থালি খানেকা মন থা, তো ‘মহাকাল’ সে মাঙ্গবা লিয়া’-এই হল বিজ্ঞাপনের বয়ান। যা শুনে বোঝা যাচ্ছে ‘মহাকাল’ নামে কোনও রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনানোর কথা বলা হচ্ছে। তাহেল কেন সমস্যা এই বিজ্ঞাপনে? কারণ প্রথমত, ‘মহাকাল’ নাম। এটি মধ্যপ্রদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ ‘মহাকাল’ বা ‘মহাকালেশ্বর’ মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে দাবি সেখানকার পুরোহিতদের। দুই, অনেকেই মনে করছেন এই বিজ্ঞাপনে হৃত্বিক নেই, বরং ‘মর্ফড’ করা হয়েছে তাঁকে।
শনিবার মন্দিরের দুই পুরোহিত অনলাইন অ্যাপটিকে বিজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে এটি হিন্দু অনুভূতিতে আঘাত করেছে। মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর মন্দিরের পুরোহিতদের আপত্তি জানানোর একদিন পর অর্থাৎ রবিবার সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন যে তিনি পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিজ্ঞাপনের ভিডিয়োটি ‘মর্ফড’ বলে মনে হচ্ছে, মিশ্র রবিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে মিশ্র বলেন, “প্রথম দৃষ্টিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিজ্ঞাপনের ভিডিয়োটি ‘মর্ফড’ বলে মনে হচ্ছে। আমি উজ্জয়নের পুলিশ সুপারকে ভিডিয়োটির বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে এবং আমাকে দ্রুত রিপোর্ট করতে বলেছি যাতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”মন্দিরের পুরোহিত মহেশ এবং আশিস জোমাটোর অবিলম্বে বিজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করা উচিৎ এবং ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। কারণ, ভক্তদের একটি থালিতে ‘প্রসাদ’ পরিবেশন করা হয় এবং বিজ্ঞাপনটি হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করে, তাঁদের দাবি।
পুরোহিতরা আরও জানিয়েছেন যে তাঁরা উজ্জয়নের কালেক্টর আশিস সিং-এর কাছেও গিয়েছিলেন, যিনি মহাকাল মন্দির ট্র্যাস্টের চেয়ারম্যান এবং কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েছেন যাতে কেউ আবার হিন্দু ধর্মকে উপহাস না করে।কালেক্টর সিং শনিবার বিজ্ঞাপনটিকে “বিভ্রান্তিকর” হিসাবে অভিহিত করে জানিয়েছেন যে মন্দিরটি ‘প্রসাদ’ হিসাবে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে এবং এটি বিক্রি হয় না।মহাকালেশ্বর বা মহাকাল মন্দিরটি ভগবান শিবের প্রতি উৎসর্গীকৃত দেশের ১২টি ‘জ্যোতির্লিঙ্গের’ একটি এবং বিপুল সংখ্যক ভক্ত আসেন এখানে দর্শন করতে। সঙ্গে প্রসাদ পেতে।