Oscar 2023: আঙুলের ভঙ্গিমায় বোঝালেন, ‘লুজার’, অস্কার হাতছাড়া হয়ে কী বললেন বাঙালি শৌনক?
Oscar 2023: না, ভারতে দু'টি অস্কার এলেও অস্কার পাননি বঙ্গতনয় শৌনক সেন। তিনি কেন অস্কার পেলেন না, তাঁর অস্কার না পাওয়া আদপে ভুল সিদ্ধান্ত কি না এ নিয়ে ফেসবুক জুড়ে চলেছে নানা পক্ষ-বিপক্ষ মত
না, ভারতে দু’টি অস্কার এলেও অস্কার পাননি বঙ্গতনয় শৌনক সেন। তিনি কেন অস্কার পেলেন না, তাঁর অস্কার না পাওয়া আদপে ভুল সিদ্ধান্ত কি না এ নিয়ে ফেসবুক জুড়ে চলেছে নানা পক্ষ-বিপক্ষ মতবাদ। অস্কার শেষ হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার করে অস্কার না পাওয়া ও আরও নানা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শৌনক। নিজেকে নিজেই কার্যত ট্রোল করেছেন তিনি। পোস্টে যেন ‘সারকাজম’-এর ছড়াছড়ি। শৌনক লেখেন, “গতকাল থেকে অনেক বার্তা পেলাম। এক ঘণ্টা একটু খারাপ লেগেছিল। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কিছু চমৎকার মানুষের ঘূর্ণিপাকের মধ্যে পড়ে মন খারাপ অন্যদিকে মোড় নেয়। এখনও মস্তিষ্ক হজম করতে পারছে না যে এই অধ্যায়ের এখানেই ইতি। আমাদের পরের পদক্ষেপ হবে ভারতে কী করে এর (অল দ্যাট ব্রিদস, শৌনকের যে ছবি অস্কারে মনোনীত হয়) মুক্তি দেওয়া যায়।” পাশাপাশি ভারত থেকে যারা অস্কার পেয়েছেন, তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি শৌনক।
তবে এই পোস্টের সঙ্গে যে ছবি গুলি তিনি শেয়ার করেছেন তা বেশ অভিনব। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে অস্কারের মনোনীত হয়ে বেজায় খুশি তিনি। কিন্তু পরবর্তী ছবিতেই দেখা যাচ্ছে অস্কার হাতছাড়া হওয়ায় অস্কারের এক মিনিয়েচার হাতে নিয়ে বিষণ্ণ বদনে দাঁড়িয়ে পরিচালক। এর পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেই মিনিয়েচারটিকে দাঁত দিয়ে কামড়ে ভেঙেই ফেলছেন। খারাপ লাগাকে এই ভাবে মজা করে ব্যক্ত করা বিরল ও ব্যতিক্রমী। বাংলার ছেলে শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ পেয়েছিল সেরা তথ্যচিত্র ফিচার বিভাগে মনোনয়ন। তবে । ৯৫ তম অ্যাকাদেমি অ্যাওয়ার্ডে তিনি হেরে যান ‘নাভালনি’র কাছে।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, এর আগে অস্কারে মনোনীত হলে টিভিনাইন বাংলাকে শৌনক বলেন, “‘আমরা আনন্দিত, স্বস্তি, অবাক, বিশ্বাস-অবিশ্বাস জড়িয়ে এক মিশ্র অনুভূতি।’ শৌনকের কথায়, ‘আমি এখন আমেরিকায় আছি। এখানের সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ছটায় ঘোষণা হয়েছিল। আমরা কেউ-ই রাত্রে ঘুমতে পাড়িনি। যখন ঘোষণা শুনলাম তারপর সত্যি খুব খুশি আমরা। যদিও এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে। আমার কেরিয়ারে ভারতের যে যে ছবির সব থেকে বেশি প্রভাব রয়েছে, নিঃসন্দেহে তার মধ্যে অন্যতম বাংলা। ছোটবেলা থেকে আমার মা-বাবা সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটকের ছবি দেখিয়েছেন। এনারা ছাড়াও কলকাতায় তথ্যচিত্র নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়, ‘ডকএজ’, অনেক ছবি ওখানে গিয়ে জায়গা করে নেয়। এমন কি আমার তথ্যচিত্রের ট্রেনিং, যা-যা শিখেছি, অনেকটাই ওখান থেকেই পাওয়া। এর জন্য আমি ধন্যবাদ জানাব। কলকাতায় অনেক অভিজ্ঞ তথ্যচিত্র নির্মাতারাও রয়েছেন, যাঁদের থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।’