ছেলের ভূমিকায় সিদ্ধার্থের অভিনয় দেখে কী প্রতিক্রিয়া বিক্রমের পরিবারের?
ছবিটি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে। বড় পর্দায় কি মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে?
কার্গিল যুদ্ধের নায়ক ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রাকে নিয়ে ছবি ‘শেরশাহ’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। মুখ্য ভূমিকায় সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। বিক্রম বাত্রার প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিয়ারা আডবাণী। নেটিজেনদের মার্কশিটে ভাল ফল করেছেন সিদ্ধার্থ ও তাঁর টিম। কিন্তু বিক্রমের পরিবার? তাঁরা কী বলছেন? মুখ খুললেন ছবির চিত্রনাট্যকার সন্দীপ শ্রীবাস্তব।
তাঁর কথায়, “বিক্রম বাত্রার পরিবারের সবাই বলেছেন তিনি যেমন ছিলেন ঠিক সেভাবেই সিদ্ধার্থ তাঁকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ক্যাপ্টেন সঞ্জীব জামওয়ালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিব পন্ডিত। তিনিও ছবিটি দেখে বলেছেন বিক্রমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঠিক এমনটাই ছিল। ছোট ছোট ঝামেলাই গাঢ় বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছিল। গোটা টিমের কাজে বিক্রমের পরিবার বেশ সন্তুষ্ট হয়েছেন।”
ছবিটি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে। বড় পর্দায় কি মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? সন্দীপের কথায়, “হ্যাঁ অবশ্যই রয়েছে। যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন যারা ইতিমধ্যেই ছোট পর্দায় দেখে নিয়েছে তাঁরা আবার কেন বড় পর্দায় ওই ছবি দেখবে তবে জানিয়ে রাখি ছোট পর্দায় তাঁরা কিন্তু একবার নয় দু-তিন বার দেখে ফেলেছেন। স্পেশ্যাল এফেক্টসের যে মজা তা কিন্তু বড় পর্দা ছাড়া কোথাও নেই।”
প্রথম ছবিতেই জুটি হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারা। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের জল্পনা কতটা ছবির স্বার্থে, আর কতটা আসল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ সম্পর্ক নিয়ে সোজাসুজি কোনও মন্তব্য করেননি এই জুটি। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে কিয়ারাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন সিদ্ধার্থ। তবে ব্যক্তিজীবন নয়। বরং কিয়ারার কাজ নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি। শুটিংয়ে কিয়ারার অধ্যাবসায় নাকি তাঁকে মুগ্ধ করেছে। তবে একটা জিনিসে নাকি তাঁদের ভারী মিল!
সিদ্ধার্থর কথায়, “এই প্রথম আমরা একসঙ্গে কাজ করলাম। কয়েক বছর আগে একটা ছবির জন্যই দেখা হয়েছিল আমাদের। তার আগে করণ জোহরের ‘লাস্ট স্টোরিজ’-এর শুটিংয়ে এবং স্ক্রিনিংয়ে কিয়ারার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। অভিনেতা হিসেবে ও ভীষণ সৎ। সে কারণেই ডিম্পলের চরিত্রটার জন্য ওকে ভেবেছিলাম। ওর এই সততাকে আমি সম্মান করি। একটা নিখাদ ব্যাপার রয়েছে ওর মধ্যে।”
সিদ্ধার্থ আরও জানান, যে কোনও কাজের প্রতি ধৈর্য্য ধরে থাকার গুণ রয়েছে কিয়ারার। সিদ্ধার্থ নিজেও নাকি সেই ধারার মানুষ। আর এ কারণেই তাঁদের মধ্যে মিল রয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি দিল্লির ছেলে। ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এখন অনেক বছর হয়ে গেল। কিয়ারাও অনেক বছর কাজ করছে। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে যে জীবন আমাদের সেখানে মিল রয়েছে। আসলে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে থাকলে অনেকেই হয়তো দৈনন্দিন জীবন ভুলে যান, আমরা ভুলে যাইনি। আর সেখানেই আমাদের মিল।”
দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থকে নিজের খুব কাছের বন্ধু হিসেবে ব্যখ্যা করেছিলেন কিয়ারা। একটা ছবি করতে গিয়ে চরিত্র নিয়ে সিদ্ধার্থ নাকি অনেক পড়াশোনা করেন। আর এ ভাবে হোমওয়ার্ক করে কাজ করতে পছন্দ করেন কিয়ারাও। প্রেমের ব্যপারে নায়িকা নাকি পুরনোপন্থী। একনিষ্ঠ প্রেমে বিশ্বাসী। এর আগে কখনও মুম্বইতেই সিদ্ধার্থর পরিবারের সঙ্গে লাঞ্চ করতে দেখা গিয়েছে কিয়ারাকে। কখনও বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নাকি একত্রে মালদ্বীপে গিয়েছিলেন তাঁরা।