AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

The Diary of West Bengal: বাংলায় এলে খুন হয়ে যেতে পারেন! আশঙ্কায় পরিচালক

The Diary of West Bengal: 'দ্য কেরালা স্টোরি'র পর এবার বিতর্কের কেন্দ্রে ছবি ‘দ্য ডায়েরি অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’। ছবির পরিচালক সানোজ মিশ্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নোটিস জারি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। শুধু তাই নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলেই খবর।

The Diary of West Bengal: বাংলায় এলে খুন হয়ে যেতে পারেন! আশঙ্কায় পরিচালক
আশঙ্কায় 'দ্য ডায়েরি অব ওয়েস্ট বেঙ্গল'-এর পরিচালক
| Edited By: | Updated on: May 29, 2023 | 1:26 PM
Share

‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পর এবার বিতর্কের কেন্দ্রে ছবি ‘দ্য ডায়েরি অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’। ছবির পরিচালক সানোজ মিশ্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নোটিস জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। শুধু তাই নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এবার এই তলবের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন সানোজ। তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, প্রাণ নিয়ে আশঙ্কায় তিনি। তাঁর ভয়, কলকাতায় এলে খুন হয়ে যেতে পারেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই তাঁর প্রাণ চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, হেনস্থা করার উদ্দেশেই তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

যদিও পুলিশের তরফে পাল্টা নির্দেশ, আগামী ৩০মে’র মধ্যেই পরিচালককে হাজিরা দিতে হবে থানায়। কী আছে এই ছবিতে যে, পরিচালকের ডাক পড়ল? পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিথ্যে তথ্য প্রদর্শন করে বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন তিনি। যদিও পরিচালকের পাল্টা দাবি, বাংলার রাজনীতিতে তোষণবাদ স্পষ্ট। পক্ষপাতের রাজনীতি চলে এখানে। তার উপর ভিত্তি করেই এই ছবি। সম্পূর্ণ সত্যি ঘটনা অবলম্বনেই এই ছবি তিনি তৈরি করেছেন বলে দাবি সানোজের।

এর আগে TV9 Bangla-র তরফে সানোজ মিশ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, “আমার বাংলার সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক। বহু ছবির কাজ করেছি। অনেকটা সময় কাটিয়েছি। শিয়ালদহের কাছে একটা হোটেলে থেকে বহু কাজ করেছি। বাংলার ছবিতেও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছি আমি। শিলিগুড়িতে থেকেছি বহুদিন। আমার আত্মীয়ও রয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলায় ভোটব্যাঙ্কের জন্য রাজনীতি করা হয়। সমাজের উন্নতিসাধনের জন্য নয়। বিশেষ ভোটব্যাঙ্কের তোষামোদ নিয়েই তাঁরা ব্যস্ত। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে কীভাবে রাজনীতিকরা ফায়দা তোলেন, তাই-ই আমার ছবির উপজীব্য। আমাদের ছবি পুরোপুরি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। কোথাও কোনও অসাংবিধানিক বক্তব্য নেই। অথচ বাংলার পুলিশ আমাকে হেনস্থার চেষ্টা করছে। আমি পরিচালক, কোনও অপরাধী নই।”

প্রসঙ্গত, এই ছবির ট্রেলার সামনে আসার পর থেকেই চলছে রাজনৈতিক তরজাও। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ছবি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “এটা কোনও সিনেমা হতে পরে না। ধর্মীয় বিষ ছড়ানোর চেষ্টা। এটা বেঙ্গল স্টোরি? ধর্মীয় বিষ ছড়ানোর জন্য এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” অন্যদিকে বিরোধীদের একটা বড় অংশ পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিচালকের। ছবির ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। আগামী মাসে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন পরিচালক। কিন্তু ছবির ভবিষ্যৎ কী হবে, এখন সেটাই দেখার।