Gautam Haldar: না, ভুলে যাননি! প্রথম পরিচালকের মৃত্যু শুনেই কলকাতায় বিদ্যা

Gautam Haldar: ২০০৩ সালে বিদ্যা অভিনীত 'ভাল থেকো' মুক্তি পায়। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা 'জন্মদিন' গল্প অবলম্বনেই তৈরি হয়েছিল এই ছবি। ছবিতে বিদ্যার নাম ছিল আনন্দী। তাঁর সাদামাঠা নিখুঁত অভিনয়ই বিদ্যাকে খুলে দিয়েছিল এক নতুন দরজা।

Gautam Haldar: না, ভুলে যাননি! প্রথম পরিচালকের মৃত্যু শুনেই কলকাতায় বিদ্যা
পরিচালকের মৃত্যু শুনেই কলকাতায় বিদ্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2023 | 3:49 PM

না ভোলেননি তিনি। হাতে ধরে যে মানুষটা একদিন শিখিয়েছিলেন সমস্তটাই তাঁর মৃত্যুর খবর পেতেই তড়িঘড়ি কলকাতায় আসছেন বিদ্যা বালান। শুধু কি তাই? অভিনেত্রীর আপ্ত সহায়ক জানিয়েছেন, ভেঙে পড়েছেন তিনি, কাঁদছেনও। শুক্রবার সকালটাই শুরু হয়েছে এক মন খারাপ করা খবর দিয়ে। প্রয়াত হয়েছেন নাট্যজগতের নক্ষত্র গৌতম হালদার। যিনি ছবিরও পরিচালক ছিলেন। বাংলা থেকেই শুরু হয়েছিল বিদ্যার সিনেজগতের যাত্রা। তাঁর প্রথম ছবি ‘ভালো থেকো’র পরিচালক ছিলেন গৌতম হালদার। জীবনের প্রথম ‘রোল, ক্যামেরা অ্যাকশন’-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন যিনি, তাঁকে ভুলে যাননি অভিনেত্রী। পরিচালকের শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেখা যাবে তাঁকে, জানা যাচ্ছে এমনটাই।

২০০৩ সালে বিদ্যা অভিনীত ‘ভাল থেকো’ মুক্তি পায়। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘জন্মদিন’ গল্প অবলম্বনেই তৈরি হয়েছিল এই ছবি। ছবিতে বিদ্যার নাম ছিল আনন্দী। তাঁর সাদামাঠা নিখুঁত অভিনয়ই বিদ্যাকে খুলে দিয়েছিল এক নতুন দরজা। আজ তিনি বিশ্বমানের, কিন্তু শিকড় যে নায়িকা ভুলে যাননি সে প্রমাণই যেন মিলল।

তবে শুধু বিদ্যাই নন, গৌতম হালদারের এই আকস্মিক প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালও। চৈতিকে নিয়ে বারংবার ‘রক্তকরবী’ মঞ্চস্থ করেছিলেন গৌতম হালদার। এ দিন পরিচালকের প্রয়াণে টিভিনাইন বাংলাকে চৈতি বলেন, “আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না কেমন আছি। ভাল নেই আমি। মনে হচ্ছে দ্বিতীয়বার বাবাকে হারিয়েছি। এই যন্ত্রণা সহ্য করা যায় না। আমার মঞ্চ কেরিয়ারের সবচেয়ে সফল নাটক ‘রক্তকরবী’র নন্দিনীকে পরিচালনা করেছিলেন গৌতমদা। তিনি আজ চলে গেলেন।” নাট্যমঞ্চের মন আজ ভারাক্রান্ত। চোখের জলে তাঁকে বিদায় জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সতীর্থরা।