Singer KK Death: ‘হু ইজ কেকে’, উত্তেজিত জনতা সেদিনও ছুড়েছিল বোতল, হয় ভাঙচুরও, গান থামাননি মানুষটা

Singer KK Death: আজ থেকে ২৩ বছর আগের কথা। কেকে তখন কোনও এক অজানা গলির উঠতি গায়ক

Singer KK Death: 'হু ইজ কেকে', উত্তেজিত জনতা সেদিনও ছুড়েছিল বোতল, হয় ভাঙচুরও, গান থামাননি মানুষটা
উত্তেজিত জনতা ছুড়েছিল বোতল, হয় ভাঙচুর, গান থামাননি সেদিনও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 3:31 PM

‘হু ইজ কেকে…’ প্রশ্ন তুলেছিলেন রূপঙ্কর। সারা বিশ্ব করেছে তুলোধনা। ফ্ল্যাশব্যাক- ১৯৯৯। সেদিনও প্রশ্ন উঠেছিল ‘হু ইজ কেকে’? কেউ প্রশ্ন তোলেনি। বরং ছোড়া হয়েছিল বোতল, করা হয়েছিল কুৎসিত ইঙ্গিত… সেদিনও গান থামাননি মানুষটা। মাইক আঁকড়ে হাসিমুখে উড়ন্ত বোতলকে ‘ডজ’ করে গেয়ে চলেছিলেন একের পর এক গান। কী ভাবছেন ফিকশন? ঘোর বাস্তব।

আজ থেকে ২৩ বছর আগের কথা। কেকে তখন কোনও এক অজানা গলির উঠতি গায়ক। চেনা তো দূর তাঁর গান পর্যন্ত শোনেনি কেউ। প্রথম অ্যালবাম ‘পল’ মুক্তি পায়নি তখনও। পুনের রঙভবনে আয়োজিত হয় ‘ইন্ডেপেন্ডেন্স রক গিগ’। মেটাল ভক্তরা হাজারে হাজারে হাজির হয় সেখানে। আমন্ত্রণ জানানো হয় ‘স্ট্রেঞ্জার’ নামক এক স্থানীয় ব্যান্ডকে। আর সব শেষে রাখা হয় ভারতের অন্যরম জনপ্রিয় হেভি মেটাল ব্যান্ড ‘মিলেনিয়াম’-এর পারফরম্যান্স। গিগের সঙ্গে। মিলেনিয়ামের সেট টাঙানো শেষ। দর্শক ফুটছে উত্তেজনায়। এমন সময়ই এক মাথা চুল আর হাসি মুখ নিয়ে স্টেজে উঠে পড়ে এক ছেলে। কতই বা বয়স তখন তাঁর?

মাইক নিয়ে শুরু করে ব্যান্ড ‘ইউ২’ আর ‘ভ্যান হ্যালেন’-এর গান। এদিকে দর্শক মহলে তখন চিল চিৎকার। মিলেনিয়ামের গান শুনতে এসে শেষ কিনা কাকে একটা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে? একদিকে কেকে গাইছেন অন্যদিকে ভিড়ের মধ্যে থেকে ছোড়া হচ্ছে জুতো, বোতল। কেকে গান থামাননি। চোখ ঘেঁষে একটা বোতল বেরিয়ে গেলেও মাথা নিচু করে গান গেয়েছেন এক মনে। এক সময় দর্শকও ক্লান্ত হয়। কেকে’র তালে দুলে ওঠে তাঁদের গা, শুরু হয় হেড ব্যাং। এর পর আরও কিছুক্ষণ পার।

কেকে শুরু করেন তাঁর প্রথম অ্যালবামের সেই আইকনিক গান, “চল সোচে ক্যায়া, ছোটি সি, ইয়ে জিন্দেগি… “। এর পর এক ম্যাজিকের মতো দৃশ্য। উন্মাদপ্রায় দর্শক এক মুহূর্তে চুপ। যেন কোন যাদুকাঠির বশে অশান্ত নদীতে শান্তির স্রোত। প্রেমিক জড়িয়ে ধরেন প্রেমিকাকে, কাঁধে মাথা রাখে বন্ধু, মেটাল হর্নের বদলে কলেজ পড়ুয়া কিশোর হাত তুলে দুলতে থাকে কেকে’র সুরে। স্টেজ থেকে যখন তিনি নামছেন, তখন শুধুই এক অদ্ভুত মুগ্ধতা, কারও চোখে জল, কেকে’র জন্য গলা ফাটাচ্ছে সদ্য যৌবনা তরুণীও। কেকে’র মুখে হাসি লেগে। এমনটাই যে তিনি। শারীরিক অসুস্থতা, গালিগালাজ– গান গাওয়া থেকে কিছুই তাঁকে চ্যুত করতে পারেনি। ঠিক যেমন ক্লান্তিও হার মেনেছিল শেষ কনসার্টে। মৃত্যুর ঠিক আগেও মঞ্চ দাপিয়ে ছিলেন কৃষ্ণকুমার। এভাবেই তো মৃত্যু চেয়েছিলেন তিনি। সঙ্গীতকে সঙ্গে নিয়ে পারি দিতে চেয়েছিলেন না ফেরার সেই অজানা দুনিয়ায়।