মুছে গেল পুরুষ প্রাধান্য, গ্র্যামির মঞ্চে নারীত্বের জয়গান
বিয়ন্সে ভেঙে ফেললেন সব রেকর্ড। আর অ্যান্ড বি (রিদিম অ্যান্ড ব্লুজ) বিভাগে ‘ব্ল্যাক প্যারাড’-এর জন্য জীবনের ২৮ নম্বর গ্র্যামিটি জিতে নেন ওই মার্কিনী গায়িকা। এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র মহিলা সঙ্গীত শিল্পী যিনি মোট ২৮টি গ্র্যামি পুরষ্কারের অধিকারী হলেন।
সাল ২০১৮। সোশ্যাল মিডিয়ার আছড়ে পড়ল #গ্র্যামিসোমেল। সে বার ক্যানাডিয়ান গায়িকা অ্যালেসিয়া ছাড়া আর কোনও মহিলা সুরকার-সঙ্গীতশিল্পীর হাতে ওঠেনি গ্র্যামি পুরস্কার। সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন পেয়েও খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল এসজেডএ-কে। শ্রেষ্ঠ অ্যালবামের অধিকারী হয়েছিলেন ব্রুনো মার্স, তাঁর ‘২৪কে ম্যাজিক’ অ্যালবামের জন্য।
কাট টু: সাল ২০২১। তিন বছরে গোটা চিত্রটার ভোলবদল। গোল্ডেন গ্লোবসের মতো গ্র্যামির মঞ্চেও দেখা গেল নারীত্বের জয়গান। বিয়ন্সে, টেলর সুইফটের মতো গায়িকারা তো বটেই এইচ.ই. আর, বিলি এইলিশের -এর মতো নিউএজ সঙ্গীতশিল্পীরাও ছিনিয়ে নিলেন শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা।
Once again, #EdSheeran wins over much stronger female contenders, so instead of #kesha‘s song about overcoming sexual abuse, we reward another song by a man about a woman’s body. #GRAMMYs #metoo #timesup #grammyssomale
— Anya Silver (@AnyaSilverPoet) January 29, 2018
বিয়ন্সে ভেঙে ফেললেন সব রেকর্ড। আর অ্যান্ড বি (রিদিম অ্যান্ড ব্লুজ) বিভাগে ‘ব্ল্যাক প্যারাড’-এর জন্য জীবনের ২৮ নম্বর গ্র্যামিটি জিতে নেন ওই মার্কিনী গায়িকা। এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র মহিলা সঙ্গীত শিল্পী যিনি মোট ২৮টি গ্র্যামি পুরস্কারের অধিকারী হলেন। মা রেকর্ড গড়লেন। রেকর্ড গড়ল বিয়ন্সের নয় বছরের কন্যাসন্তান আইভি কার্টারও। ‘ব্রাউন স্কিন গার্ল’-এর জন্য শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিয়ো বিভাগে সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন আইভি।
মাত্র ১৯ বছরে মার্কিনী সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী বিলি এইলিস ছিনিয়ে নিয়েছেন ‘রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার’-এর মুকুট। চমকে দিলেন ২৬ বছর বয়সী অ্যামেরিকান র্যাপার মেগান দি স্ট্যালিয়ন। ২০২১ গ্র্যামির মঞ্চে তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কারের সংখ্যা তিন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী, শ্রেষ্ঠ র্যাপ সঙ্গীত এবং শ্রেষ্ঠ র্যাপ পারফরমেন্সের সম্মান। শেষ নয় এখানেই।
মার্কিনী সুরকার-গীতিকার এইচ.ই.আরের ‘আই কান্ট ব্রিদ’ জিতে নিল শ্রেষ্ঠ গানের সম্মান। ২৩ বছরের ওই গায়িকার সুরেই আরও একবার গ্র্যামির মঞ্চ উদ্বেলিত হল ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগানে। আরও একবার আপামর বিশ্বকে মনে করিয়ে দিল গত বছর ২৫ মে আমেরিকার ‘কালো মানুষ’ জর্জ ফ্লয়েডের শ্বাসরোধ করে মৃত্যু। মনে করিয়ে দিল শেষ মুহূর্তে তাঁর বাঁচার আকুতি আর চিৎকার “আই কান্ট ব্রিথ”। রেকর্ড সৃষ্টি করলেন টেলর সুইফ্টও। কোনও মহিলা সঙ্গীতশিল্পী হয়ে তিন বার ‘অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’ অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ অ্যালবামের সম্মান ছিনিয়ে নিলেন টেলর সুইফ্ট। তাঁর অ্যালবাম ‘ফোকলোর’-এর জন্য এই সম্মানে ভূষিত হলেন টেলর। পল সিমন, স্টিভ ওয়ান্ডার, ফ্র্যাঙ্ক সিনাত্রার মতো পুরুষ শিল্পীর চোখে চোখ রেখে দাঁড়ালেন এক সারিতে।