কেন ডিভোর্স হয়েছিল হৃত্বিক-সুজ়নের? বিচ্ছেদের প্রায় ৮ বছর পর তাঁরা বললেন…
২০০০ সালের মুক্তি পায় বলিউড গ্রিক গড হৃত্বিক রোশন অভিনীত প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হে’। যে সময় ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল, সে সময় শাহরুখ খান জনপ্রিয়তার মধ্যগগনে বিরাজমান। হৃত্বিকের মতো একজন সুদর্শন নায়কের আগমনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছিল শাহরুখের জনপ্রিয়তায়, এমনটা মনে করেছিলেন অনেকেই।
২০০০ সালের মুক্তি পায় বলিউড গ্রিক গড হৃত্বিক রোশন অভিনীত প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হে’। যে সময় ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল, সে সময় শাহরুখ খান জনপ্রিয়তার মধ্যগগনে বিরাজমান। হৃত্বিকের মতো একজন সুদর্শন নায়কের আগমনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছিল শাহরুখের জনপ্রিয়তায়, এমনটা মনে করেছিলেন অনেকেই। হাজার-হাজার, লাখ-লাখ মেয়ের মনে ব্যথা ধরিয়ে দিয়েছিলেন হৃত্বিক। তারপর যেটা ঘটে, সব মহিলাদের হৃদয়ে ভেঙে খানখান হয়ে যায়। প্রথম ছবির জনপ্রিয়তা পেতে না-পেতেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন ঋত্বিক রোশন। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সুজ়ান খানকে বিয়ে করেন তিনি। শুরু হয় তাঁদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু ১৪ বছর সম্পর্কটাও আর টেকেনি। প্রথম-প্রথম এ বিষয়ে কিছুই বলেননি হৃত্বিক-সুজ়ন। সংবাদমাধ্যমকে জানাননি কোনও প্রতিক্রিয়াই । ২০১৩ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। ২০১৪ সালে আইনিভাবে বিচ্ছেদ ঘটে তাঁদের। তারও ৮-৯ বছর পর বিয়ে ভাঙা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সুজ়ন।
কেন বিয়ে ভেঙেছিল হৃত্বিকের, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুজ়ন খান বলেছিলেন, “আমার সঙ্গে হৃত্বিকের কোনও তিক্ততার সম্পর্ক নেই। আমরা একে অপরকে ভীষণ সম্মান করি। কিন্তু একটা সময় পর মনে হয়েছিল, আমাদের আর একসঙ্গে থাকা ঠিক হবে না।”
বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে অনেকসময় সম্পর্কের স্পার্ক চলে যায়। ঠিক কি ছিল হৃত্বিক-সুজ়নের বিচ্ছেদের কারণ? তারকা পত্নি বলেছিলেন, “আমাদের মধ্যে আর সেই টান ছিল না। ফলে আমরা আলাদা হয়ে যাই।” তবে আলাদা হয়ে গেলেও হৃত্বিক-সুজ়নের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যে সম্পর্কে নেই কোন ঘৃণা। তাঁদের দুই সন্তান রেহান এবং হৃদানের দেখভাল করছেন এই দুই তারকা। তাঁদের কো-পারেন্টিং চলছেই। দেখাও যায় হৃত্বিক-সুজ়নের। একে-অপরের সঙ্গে দেখা হলে আলিঙ্গন করেন তাঁরা। নিজ জীবনে এগিয়েও গিয়েছেন তাঁরা। হৃত্বিকের প্রেমিকার নাম সাবা আজ়াদ। প্রেমিক আর্সলান গোণির সঙ্গে ভালো আছেন সুজ়ন।