Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ওর বাড়ি পৌঁছে দেখি গেটে লেখা রয়েছে ‘চূর্ণীর বিয়ে’: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় 

Kaushik-Churni: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেমের শুরুটা হয়েছিল দু'জনের। বিয়ের কোর্সটা যদিও আজীবনে। সেই কোর্সে কখনও যোগ হয়েছে বন্ধুতা, সমবেদনা, সততা, নম্রতা, সহনশীলতা, আবেগ, ক্ষমা , আদর...তবু এই 'পেজ নম্বর' ছাড়া কোর্স করতে আজও রাজি দু'জনে।

ওর বাড়ি পৌঁছে দেখি গেটে লেখা রয়েছে 'চূর্ণীর বিয়ে': কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় 
আজ ওঁদের বিয়ের জন্মদিন।
Follow Us:
| Updated on: Jan 16, 2024 | 4:27 PM

কবি শেলি বলেছিলেন, “যদি শীত আসে তব বসন্ত কি আর না এসে পারে”? এমনই এক মাঘের শুরুতে বসন্ত সত্যিই উঁকি দিয়েছিল পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্দরমহলে। সালটা ১৯৯৩ সালের ১৬ জানুয়ারী। সেজেগুজে জানুয়ারির সেই সন্ধেতে পরিচালক হাজির হয়েছিল তাঁর কাঙ্ক্ষিত নারীর থিয়েটার রোডের বাড়িতে। গিয়েই দেখলেন বাড়ির গেটে লেখা, ‘চূর্ণীর বিয়ে’! না, বেমক্কা আশিকের ‘বোঝে না সে বোঝে না’ প্রেম নয়, প্রেমিকার বিয়ে হওয়ার দুঃস্বপ্নও নয়, যা লেখা ছিল না তা হল চূর্ণীর বিয়ে ‘কৌশিকের সঙ্গে’। ৩১ বছর পর বিয়ের জন্মদিনে মন উজাড় করা এক প্রেমবার্তা লিখেছেন পরিচালক। নস্ট্যালজিক মন তুলে ধরেছে সেই ফেলে আসা দিনের বর্ণনা। কী হয়েছিল বিয়ের দিন?

কৌশিক লিখছেন, “শুরুতে ৫ বছর ধরে চলেছিলো অ্যাডমিশন টেস্ট তারপর বহু প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের পর আমরা ১৯৯৩ সালে জয়েন করেছিলাম এই ১৬ই জানুয়ারিতে, সন্ধ্যাবেলায় থিয়েটার রোডে চূর্ণীর বাড়ীতে।বেশ সেজেগুজে গিয়েছিলাম, পৌঁছে দেখি ওর বাড়ীর গেটে লেখা ‘চূর্ণীর বিয়ে’! সেই ফুলের গেটটা আমার জীবন বিলকুল বদলে দিলো! সত্যি বলছি আজ উজানকে নিয়ে যে পৃথিবী ঈশ্বর আমাদের উপহার দিয়েছেন তার জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ!”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেমের শুরুটা হয়েছিল দু’জনের। বিয়ের কোর্সটা যদিও আজীবনে। সেই কোর্সে কখনও যোগ হয়েছে বন্ধুতা, সমবেদনা, সততা, নম্রতা, সহনশীলতা, আবেগ, ক্ষমা , আদর…তবু এই ‘পেজ নম্বর’ ছাড়া কোর্স করতে আজও রাজি দু’জনে। তাই এই বিশেষ দিনে কৌশিক যোগ করলেন, “অদ্ভুত এক বই যার কোনও আকার নেই, পেজ নাম্বার নেই! একটা পাতা থেকে যেন শ’য়ে  শ’য়ে  পাতা খুলে খুলে বের হয়ে আসছে।” প্রতি বছরই এই দিনটায় তাঁর চূর্ণীকে নিয়ে কিছু না বলা কথা শেয়ার করতে কুন্ঠা বোধ করেন না পরিচালক। নিন্দুকেরা ‘আদিখ্যেতা’ বা ‘বুড়ো বয়সের ভীমরতি’ বলে ঠাট্টা করলেও তাঁদের কী? তিনি যে নদীর প্রেমে পড়েছিলেন, নদী যে বহমান, ঠিক ওই ভালবাসার মতো।

এ তো গেল প্রেমের ইতিহাস, কাজের দিক দিয়েও তাঁরা দু’জন দু’জনের পরিপূরক। গত বছরই কৌশিকের পরিচালনায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’তে চূর্ণীর অভিনয় অনবদ্য বলেই মত দিয়েছিলেন সিনেমোদীরা। তাঁকে দেখা গিয়েছিল হিন্দি ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানিতে’। অন্যদিকে কৌশিকও পরিচালনার পাশাপাশি চুটিয়ে করছেন অভিনয়। বাংলাদেশি অভিনেত্রী বুবলির সঙ্গে এক ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।