কাজে ফিরছেন নানা, #মিটু প্রসঙ্গে ফের বিস্ফোরক তনুশ্রী
বিতর্কের রেশ কাটিয়ে আবারও বলিউডে ফিরছেন অভিনেতা নানা পটেকর (Nana Patekar)। আর তাতেই রাগে ফেটে পড়েছেন নানার বিরুদ্ধে বছর দুই আগে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা তনুশ্রী দত্ত (Tanushree Dutta)।
TV9বাংলা ডিজিটাল: #মিটু (#metoo) বিতর্কের রেশ কাটিয়ে আবারও বলিউডে ফিরছেন অভিনেতা নানা পটেকর (Nana Patekar)। ফিরোজ নাদিয়াওয়ালার এক ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি। আর তাতেই রাগে ফেটে পড়েছেন নানার বিরুদ্ধে বছর দুই আগে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা তনুশ্রী দত্ত (Tanushree Dutta)। তনুশ্রীর প্রশ্ন, “আমায় দিনের পর দিন অত্যাচার করে, ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে, আমার কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার পরেও ওই লোকটা বলিউডের সাপোর্ট পায় কী করে?” (#metoo)
২০১৮ নাগাদ আরব সাগরের তীরে আছড়ে পড়ে #মিটুর ঝোড়ো হাওয়া। এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রী বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ ‘ নামক এক ছবির শুটিংয়ের সময় নানা তাঁর যৌন নিগ্রহ করেন। তনুশ্রী আরও অভিযোগ করেন, তিনি রাজি না হওয়ায় নানা তাঁকে মানসিকভাবেও হেনস্থা করেছিলেন। এমনকি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ডেকে তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল বলেও ‘আশিক বানায় আপনে’র নায়িকা অভিযোগ করেছিলেন সে সময়। নানা-ই নন, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া এবং রাকেশ সরং-সহ সেটের অধিকাংশই দল পাকিয়ে এই কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তনুশ্রী।
তনুশ্রীর অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে বলিঊড। #মিটু বিতর্কে জড়িয়ে যায় ইন্ডাস্ট্রির আরও তাবড় নাম। একের পর এক কাজ হারান নানা পটেকরও। বলিউড কার্যত ব্যান করে তাঁকে। ২০১৯-এ নানার বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশ কেস ফাইল করলেও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। বিতর্কের রেশ খানিক থিতিয়ে আসতেই আবারও তিনি ব্যাক ইন অ্যাকশন, যা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তনুশ্রী।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তনুশ্রীর বক্তব্য, “১২ বছর হয়ে গেল বলিউড থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জোর করে। আজ আমি ক্লান্ত। এই পোড় খাওয়া ব্যবস্থা খারাপ লোকদেরই পাশে থাকে। সবাই আজ সুশান্তের জন্য ন্যায়বিচার চাইছে। আর আমার জন্য? কোনও বিচার নেই?”
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন তনুশ্রী। বলিউড তাঁকে আর কাজ দেয় না বহু দিন। করোনার কারণে স্টেজ শো-রও আর কদর নেই। তনুশ্রী জানিয়েছেন তিনি ঠিক করেছেন ৯টা-৫টার আইটি’র চাকরি করবেন তিনি। তা হলে কি তাঁর ন্যায় বিচারের লড়াইয়ের এখানেই ইতি? তনুশ্রীর বক্তব্য, “যখন মাসের শেষে খরচ মেটাতে হয়, পাশে কাউকে পাওয়া যায় না, তখন লড়াই করব কী করে? কঙ্গনাকে দেখে গর্ব হয়। পরিস্থিতির চাপে এই লড়াইয়ের অংশ হতে পারছি না আমি, ও করছে।”
আপাতত আইটি চাকরির ট্রেনিং নিচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর সাফ জবাব, নানা-র এই কামব্যাক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। যারা #মিটু বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের জন্য এ চরম অপমান। তাঁর প্রশ্ন, “আর কত জন মারা গেলে তবে বলিউডের এই দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা বন্ধ হবে?”