দিওয়ালিতে নেই কোনও বলি-রিলিজ, ছবির পিছোচ্ছে ’২১-এ
TV9 বাংলা ডিজিটাল: মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশিকা অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর খোলা হয়েছিল সিনেমাহল। প্রায় সাত মাসের মাথায় স্বাস্থ্যবিধির একাধিক শর্ত, দূরত্ববিধি মেনে খোলা হয়েছিল প্রবেশদ্বার। আসন সংখ্যা কমেছিল ৫০ শতাংশ। সেই একই নিয়মে গতকাল হাঁটল মুম্বইনগরী। বৃহস্পতিবার থেকেই খোলা হল সিনেমাহল, ইন্ডোর স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল, ব্যায়ামাগার। তবে এই সমস্ত সুবিধা পেতে কঠোরভাবে […]
TV9 বাংলা ডিজিটাল: মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশিকা অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর খোলা হয়েছিল সিনেমাহল। প্রায় সাত মাসের মাথায় স্বাস্থ্যবিধির একাধিক শর্ত, দূরত্ববিধি মেনে খোলা হয়েছিল প্রবেশদ্বার। আসন সংখ্যা কমেছিল ৫০ শতাংশ। সেই একই নিয়মে গতকাল হাঁটল মুম্বইনগরী। বৃহস্পতিবার থেকেই খোলা হল সিনেমাহল, ইন্ডোর স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল, ব্যায়ামাগার। তবে এই সমস্ত সুবিধা পেতে কঠোরভাবে দূরত্ববিধি এবং স্যানিটাইজেশনের যাবতীয় নিয়ম পালন করতে হবে। কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!
দর্শক হলে এলেও সিনেমা কোথায়?
বড় বাজেটের বলিউডি ছবি (Bollywood films) এ বছর সিনেমাহলে মুক্তি পাচ্ছে না। সলমন খান অভিনীত ‘রাধে’ কিংবা অক্ষয় কুমার (Akshay kumar) অভিনীত ‘সূর্যবংশী’র জন্য অপেক্ষা করতে হবে দর্শকের। ঠিক যেমন রণবীর সিং (Ranveer singh) অভিনীত স্পোর্ট্স ড্রামা ‘৮৩’ কিংবা আমিরের (Aamir khan) ‘লাল সিং চাড্ডা’র মুক্তি পিছিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ২০২১–এ মুক্তি পাবে সবকটি ছবি। সিনেমাহল খোলাপ পরও বলিউড শুধু মহারাষ্ট্রে ছবি রিলিজ করে ২০ শতাংশ অর্থালাভ করতে পারে। তবে, এতে কম বাজেটের ছবিগুলোর লাভ হলেও, বড় বাজেটের ছবির জন্য বিরাট বড় ক্ষতি। চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (মাল্টিপ্লেক্স চেন, পিভিআর) গৌতম দত্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “দেশের সব সিনেমাহলগুলো দরজা খোলা উচিৎ এবং তারপরেই প্রযোজকেরা নিজেদের ছবি রিলিজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।”
কিন্তু জল গড়াচ্ছে অন্য দিকে।
বেশিরভাগ বড় বাজেটের ছবি সরাসরি রিলিজ হচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটাফর্মে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এবং সে কারণেই দিওয়ালিতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হচ্ছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘লক্ষ্মী’, রাজকুমার রাওয়ের (Rajkumar Rao) ‘ছালাং’ কিংবা অনুরাগ বসুর (Anurag basu) ‘লুডো’। অন্যদিকে, মাল্টিপ্লেক্স এবং সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটারের ঝুলিতে নেই কোনও দিওয়ালি রিলিজ। কার্নিভাল সিনেমার কর্ণধার, পি ভি সুনীল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমাদের কম বাজেটের ছবির উপর অনেকটা নির্ভরশীল হতে হবে।”
কিন্তু তাতেও লাভ হবে কি? নভেম্বর–ডিসেম্বর মিলিয়ে যে ছবিগুলো রিলিজ হওয়ার কথা চলছে, তা হল ‘সুরজ পে মঙ্গল ভারি’ (দিলজিৎ দোসঞ্জ–ফাতিমা সানা শেখ), ‘বান্টি অউর বাবলি–২ (সইফ আলি খান–রানি মুখোপাধ্যায়) (Saif Ali khan) (Rani mukherji)’ এবং ‘জায়েশভাই জোরদার’ (রণবীর সিং)। তবে সে সব ছবি রিলিজ করবে দিওয়ালির পরে।
তবে, সিনেমাহল খোলার পরেও এত শর্ত–বিধি মেনে হল পর্যন্ত দর্শক পৌঁছবে কি না, এ নিয়ে বিস্তর সন্দেহ রয়েছে। তবে আশার আরেক দিক দেখাচ্ছে দিওয়ালিতে হলিউড রিলিজ। ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত ‘টেনেট’ মুক্তি পাচ্ছে দিওয়ালিতে। তবে তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।
তবে অনেকের মতে বিষের বছরে আর ভাল হওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না।
উই শ্যাল ওভারকাম নেক্সট ইয়ার!