এখনও অভিমান? দল পাল্টাচ্ছেন নুসরত! মমতা জিততেই স্পষ্ট হয়ে গেল সবটা
Nusrat Jahan: নানা বিধ কারণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা তুঙ্গে থাকলেও কোথাও গিয়ে যেন নুসরত জাহান এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে ছিলেন নারাজ। তবে পার্টির সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত? একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিমি চক্রবর্তীর নাম নিতে দেখা গেলেও একবারও তিনি নেননি নুসরতের নাম।
নুসরত জাহান। একটা সময় যিনি বসিরহাটের সাংসদ পদে জয়ী হয়েছিলেন বিপুল ভোটে। সাল ২০১৯, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় উঠে এসেছিল বেশ কয়েকটি নতুন নাম। যার মধ্যে ছিল মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানের মতো সেলিব্রিটির নাম। তাঁদের নিয়ে রাতারাতি চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন মহলে। সেই বছরই বিপুলভোটে জয়ী হয়ে তিনি সাংসদ ভবণে পা রেখেছিলেন। তবে পাঁচ বছর কাটতে না কাটতেই রাজনীতির ময়দানে তাঁর পথ চলা থেমে যায়। তিনি স্থির করেছিলেন রাজনীতি থেকে সরে যাবেন। নানা বিধ কারণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা তুঙ্গে থাকলেও কোথাও গিয়ে যেন নুসরত জাহান এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে ছিলেন নারাজ। তবে পার্টির সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত? একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিমি চক্রবর্তীর নাম নিতে দেখা গেলেও একবারও তিনি নেননি নুসরতের নাম।
২০২৪ সালে তাই সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে যাওয়ার ইঙ্গিতই পেয়েছিলেন সকলে। যেখানে রাগ, অভিমান, ক্ষোভ মনে জায়গা করে নেওয়াটাই যেন স্বাভাবিক বলে মনে করছিল একাংশ। তবে নুসরত জাহান তাঁর একটা দলের পাশে এই আনন্দের দিনে না দাঁড়িয়ে পারলেন না। আর ঠিক সেই কারণেই তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হওয়া দলকে শুভেচ্ছা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হলেন।
Didi’r Joy! The people of Bengal strengthen their faith in @MamataOfficial & @abhishekaitc 💚 Congratulations to all the elected MPs of @AITCofficial 🙏🏻 Joy Bangla! 🇮🇳 pic.twitter.com/2BylSNVZSl
— Nussrat Jahan (@nusratchirps) June 5, 2024
সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘দিদির জয়! বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তাঁদের বিশ্বাস রাখল এবং সেটা আরও বাড়াল। তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত বিজয়ী এমপিদের অনেক শুভেচ্ছা। জয় বাংলা।’ নুসরতের এই পোস্টই যেন অনেকটা স্পষ্ট করে দিল, তিনি দলবদলের খেলা খেললেন না।