Jalsa: সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশুকে দিয়েই বাজিমাত বিদ্যা-শেফালির ছবি, ‘জলসা’খ্যাত শিশুশিল্পী ‘আয়ুশ’ আসলে কে?
Vidya Balan-Shefali Shah-Surya Kasibhatla: যখন চার বছর বয়স, সূর্য বাবা-মাকে বলেছিল অভিনেতা হবে। আর আজ সত্যিই সে একজন অভিনেতা। তাকে নিয়ে জয়জয়কার।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সুরেশ ত্রিবেণীর ‘জলসা’। ছবিতে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালন, শেফালি শাহ, কশিস রিজ়ওয়ান, সালিন প্যাটেল ও বিধাত্রী বান্ডি। এবং সেই ছবিতে অভিনয় করেছে সূর্য কাশিভাটলা। বিদ্যা বালনের (ছবিতে মায়া মেনন) ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছে সে। ছবি স্ট্রিম করতে না-করতেই তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন দর্শক। তার পারফরম্যান্স দেখে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দর্শক দারুণ খুশি। অনেকেই মনে করছেন কীভাবে এত অল্প বয়সি সূর্য এত সুন্দর অভিনয় করল। সূর্য আসলে কে? কী তার পরিচয়? ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজ়ন প্রাইমের তৈরি একটি ভিডিয়ো সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। তাকে নিয়ে কথা বলেছেন বিদ্যা বালন, শেফালি শাহ ও পরিচালক সুরেশ ত্রিবেণী।
বিদ্যা বলেছেন…
ছবিতে আয়ুশ চরিত্রটি আমার পুত্রের। আয়ুশ আসলে অভিনেতা সুর্য। ও সেই ব্যক্তি, যে ঘরে আসলে ঘরটাই আলো হয়ে যায়। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, যখন দেখলাম সূর্য ক্যামেরার সামনে কী অদ্ভুতরকম স্বাভাবিক। শট দেওয়ার সময় আমার খালি মনে হত ও হলিউড থেকে আসা এক অভিনেতা। ও যা যা শট দিয়েছে, সেগুলো পোড় খাওয়া অভিনেতারা করে থাকেন। ওকে দেখে আমি অবাকই হতাম। কিছু একটা জাদু আছে এই বাচ্চাটির মধ্যে। ওর যখন চার বছর বয়স, বাবা-মাকে বলেছিল অভিনেতা হবে। আর আজ ও সত্যিই একজন অভিনেতা। গোটা ব্রহ্মাণ্ড ওর কথা শুনেছে।
শেফালি বলেছেন…
আমি খুবই খুশি হয়েছি যে সুরেশ ওকে কাস্ট করেছে। ওর সত্যি সত্যি সেরিব্রাল পলসি রয়েছে। সূর্য কিন্তু কোনও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিনেতা নয়। ভীষণই স্বাভাবিক একজন অভিনেতা। ওর সঙ্গে শট দেওয়ার সময় ওর দিকেই তাকিয়ে থাকতাম। এত ভালে অভিনয় বোধহয় কাউকেই শেখানো যায় না। মানুষ এগুলো নিয়েই জন্মগ্রহণ করে।
পরিচালক সুরেশ ত্রিবেণী বলেছেন…
ও যখন অডিশন দিতে এসেছিল আমরা জানতাম ওই আয়ুশ হবে। খুব বুদ্ধিমান বাচ্চা। ও জানত, যে চরিত্রে ও অভিনয় করছে, আসলে ও সেটা নয়। আমি যা যা বলতাম, হুবহু সেই ভাবেই অভিনয় করত। ওকে যতগুলো শট দিতে বলতাম, দিত। কখনওই হাল ছাড়ত না। ছবিতে বিদ্যা বালন আছেন, শেফালি শাহ আছেন… আর আছেন আমাদের সূর্য। ওই ছবির হৃদপিণ্ড।