‘বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা না রেখে কোন উপায় নেই’, সঞ্জয়ের সাজা শুনে বললেন পরম
Parambrata Chatterjee: সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। শুনে কী বললেন পরমব্রত?
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে সাধারণের সঙ্গে পথে নেমেছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই সওয়াল করেছিলেন মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। চেয়েছিলেন তিলোত্তমা বিচার পাক। সোমবার সাজা ঘোষণা হল শিয়ালদহ আদালতে। সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে, অনায়াদায়ে হবে আরও ৫ মাসের জেল। একইসঙ্গে পরিবারকে ১০ লক্ষ ও ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রায় বেরতেই TV9 বাংলা যোগাযোগ করে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
অভিনেতা বললেন, “আমি সবসময় চেয়েছি যাতে বিচার হয়। সুষ্ঠ বিচারের পক্ষে ছিলাম-আছি-থাকব। একটি শহরের কেন্দ্রস্থলে, একটি হাসপাতালে, কীভাবে এই জিনিস ঘটতে পারে! যারা দায়ী, সে যে কোনও স্তরের প্রশাসন হতে পারে, সর্বস্তরের প্রশাসন হোক কিংবা হাসপাতালস্তরে, প্রত্যেককে জবাব দিতে হবে। এাই চেয়েছিলাম। এরপর আদালতের বিচারে মনে হয়েছে সঞ্জয় রাই একমাত্র দোষী। তাই জন্যে তাঁরা তাকে শাস্তি দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের তো বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা না রেখে কোন উপায় নেই। কারও মনে হতেই পারে এটা করে অনেককে হয়তো আড়াল করা হল, কিন্তু বিচার ব্যবস্থার ওপর থেকে ভরসা উঠে গেলে তো হবে না। তাঁদের মনে হয়েছে সঞ্জয় একমাত্র না হলেও মূল দোষী, তাই শাস্তি দিয়েছে। যাবজ্জীবন কারাবাস নিঃসন্দেহে বড় একটা শাস্তি।”
প্রসঙ্গত, পরমব্রত ছাড়াও এদিন বিভিন্ন সেলিব্রিটিরা সরব হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিংবা অন্যত্র। কারও কারও মনে স্বস্তি, কেউ আবার তাকিয়ে রয়েছেন পরবর্তীর দিকে। যদি আরও কেউ থেকে থাকেন, তাদের নামও সামনে আসবে, আশায় বুক বাঁধছে একশ্রেণি।