ত্রিভঙ্গ : তিন প্রজন্ম নারীর ‘প্রেডিকটেবল’ গল্প!
তিন প্রজন্মের মায়ের গল্প ‘ত্রিভঙ্গ’। তাঁদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে যে ভারসাম্যহীনতা, সেটাই ফুটে উঠেছে এই ছবিতে।
ওডিসি নৃত্য শৈলীতে বিভিন্ন রকমের মুদ্রা, ভঙ্গি আর শারীরিক অবস্থান থাকে। তার মধ্যে অভঙ্গ, সভঙ্গ, ত্রিভঙ্গ অন্যতম। অভঙ্গ আর ত্রিভঙ্গতে শরীরের ভঙ্গিতে যথাক্রমে পাশাপাশি আর উপরনিচে ভারসাম্যহীনতা থাকে, আর সভঙ্গতে শরীর দুপায়ের উপর দাঁড়িয়ে পুরোপুরি ভারসাম্য বজায় রাখে।
আমাদের সকলের প্রিয় “ভাবী” রেনুকা সাহানি এবার পরিচালনায়। প্রথমবার পরিচালকের চেয়ারে বসে প্রথম ছবিতেই এক সুন্দর প্লট বেছে নিয়েছেন। তিনটে প্রজন্ম, তাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা, পছন্দ–অপছন্দ পরবর্তী প্রজন্মের উপর কীভাবে পরে সেটা নিয়ে রেণুকার এই ছবি। তিন প্রজন্মের মায়ের গল্প ‘ত্রিভঙ্গ’। তাঁদের চিন্তা–ভাবনার মধ্যে যে ভারসাম্যহীনতা, সেটাই ফুটে উঠেছে এই ছবিতে। এই ভারসাম্যহীনতার জন্যই ছবির নাম ‘ত্রিভঙ্গ’। ছবির ভাবনা নিঃসন্দেহে খুব ভাল। কিন্তু চিত্রনাট্য, সংলাপ দিয়ে রেনুকা সেই ভাবনাকে দর্শকের মনে ছাপ ফেলতে পারলেন কই?
তানভী আজমি, কাজল, মিথিলা তিনজন জোরাল অভিনেত্রী থাকা সত্ত্বেও, তানভী আজমি ছাড়া কারও চরিত্রই কাছের মনে হল না। প্রখ্যাত এক লেখিকার চরিত্রে তানভী জাস্ট অসাধারণ। তানভীর মেয়ে বিখ্যাত ওডিসি নৃত্য শিল্পীর চরিত্রে কাজল ছাপ ফেলতে পারেননি। সকলেই তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু কাজল হতাশ করলেন। তিনি ওডিশি নৃত্যশিল্পী, তবে পর্দায় কাজলকে ওডিসি নাচ নাচতে দেখা যায়নি। কিছু স্টিলস দিয়ে রেনুকা সেটা ম্যানেজ করেছেন সুন্দর ভাবে। মিথিলা আর কুণাল রায় কাপুর নিজের চরিত্রে যথাযথ অভিনয় করেছেন।
ছবির সিনেমাটোগ্রাফি, আর্ট ডিরেকশন, মিউজিক বেশ ভাল। এ–ছবির দুর্বলতা হল, এই ছবির শেষে কী হবে তা প্রথম থেকেই আন্দাজ করা যায়।এতটাই ‘প্রেডিকটেবল।‘