‘বোনের সঙ্গে কী করেছিলেন মনে নেই’? কটাক্ষ হতেই চাঁচাছোলা সৌরভ

Saurav Das: ২২ জানুয়ারি ২০২১। একটা ভাইরাল ভিডিয়ো। আর ওই এক ভিডিয়োতেই যেন ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল অভিনেতা সৌরভ দাসের গোটা পৃথিবী। ‘ধর্ষক’ থেকে শুরু করে বোন-প্রেমিকার শরীর নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য…জুটেছিল সব কিছুই।

'বোনের সঙ্গে কী করেছিলেন মনে নেই'? কটাক্ষ হতেই চাঁচাছোলা সৌরভ
Follow Us:
| Updated on: Aug 24, 2024 | 3:21 PM

আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই সরব অভিনেতা সৌরভ দাস। তবে যত তিনি আওয়াজ তুলেছেন ততই যেন মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর অতীতের সেই ভাইরাল ভিডিয়ো। বছর কয়েক আগে যে ভিডিয়ো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলেছিল হইচই। নিজের বোনের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়ো নিয়ে রাতারাতি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল নোংরা মানুষের তকমাও। আরজি কর কাণ্ডে গর্জে উঠতেই অনেকেই আঙুল তুলেছেন সৌরভের দিকে। জোর গলায় তাঁরা বলেছেন, ‘দোষ তো আপনিও করেছিলেন, মনে নেই?’

ভাইরাল ভিডিয়ো, বোন, সেদিনের ঘটনা, বাবা-মায়ের উপর এর প্রভাব– এই সব কিছু নিয়েই টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন সৌরভ। এ নিয়ে যখন ফের তিনি বিদ্ধ তখন আরও একবার মুখ খুললেন তিনি। প্রকাশ্যেই সেই সব কটাক্ষকারীদের উদ্দেশে রাখলেন কিছু প্রশ্ন। তাঁর কথায়, “ওটা এডিটেড ভিডিয়ো ছিল। আমার নিজের বোন ছিল ওই মেয়েটা। কখনও ওই বাচ্চা মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ও কেমন আছে?’ বা, সত্যি ওর সঙ্গে এরকম কিছু হয়েছিল কিনা। একবারও আপনারা জানতে চেয়েছেন, ওই মেয়েটার কথা? ওর বক্তব্য কী?’ এখানেই না থেমে সৌরভ আরও যোগ করেন, “ওই সময় সত্যি-মিথ্যে যাচাই না করে আমার বোন, আমার পরিবার, আমাকে মানসিক ভাবে খুবই নির্যাতন করেছেন। মনুষ্যত্ব থাকলে আর এই প্রসঙ্গ টানবেন না। এই ঘটনার রেশ থেকে বের হতে বহুদিন লেগেছিল আমার পরিবারের।”

২২ জানুয়ারি ২০২১– কী ঘটেছিল সেদিন? টিভিনাইন বাংলাকে সৌরভ বলেছিলেন, “২১ জানুয়ারি আমার জন্মদিন ছিল। ফ্যানক্লাব থেকে কুড়ি জন এসেছিল সেলিব্রেট করতে। আধ ঘণ্টার জন্য। সেলিব্রেশন হল। বাবা-বোন সবাই আনন্দে মশগুল। আমিও সবার সঙ্গে সময় কাটিয়ে ফিরে গেলাম বাড়ি। এর ঠিক দু’দিন পর হঠাৎ করেই ভাইরাল এক ভিডিয়ো। যে মানুষ গুলো তার আগের দিনও আমার সম্পর্কে ভাল ভাল কথা বলেছে আমায় কিছু জিজ্ঞাসা না করে, কিছু না বিচার করেই ‘নষ্ট’ দাগিয়ে দিল। আমার বোন, আমার সাত বছরের ছোট বোন, আমার অফিস যাওয়া বাবা-মা’র পরিবর্তে যার দায়িত্ব আমার উপর পড়েছে ছোট থেকে, যাকে মানুষ করেছি ওর কথা কেউ ভাবলেন না?” তিনি যোগ করেছিলেন, “মা যদি সেদিন না আগলাত তাহলে হয়তো এত দিনে আমি সুশান্ত সিং রাজপুত হয়ে যেতাম। লোকে বলে না, ভীতুরা আত্মহত্যা করে, আমি ভীতু বলে আত্মহত্যা করতে পারিনি। এখনও মনে আছে, ওই সময় আমার ‘বার্নিং বাটারফ্লাই’য়ের শুট চলছিল। ছবিটা বের হলে দেখবেন ওখানে একটা শট আছে নয় মিনিটের । ওই শটটা দিতে গিয়ে সৌরভ দাসকে কোনও অভিনয় করতে হয়নি। বুকের ভিতর চলতে থাকা কান্না, রাগ, অভিমানের বের হয়ে এসেছিল।” তবে সময় সব কিছু ভুলিয়ে দেয়, আগের থেকে ভাল আছেন তিনি। বোনকে সৌরভ ডাকেন বোনি বলে। দাদার প্রতি বোনির ভরসা একচুলও কমেনি– অন্তত সামাজিক মাধ্যমের পাতায় ছবিগুলি সে প্রমাণই দেয়।