Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মেয়ের মতো ভিনধর্মীর সঙ্গে প্রেম ছিল শত্রুঘ্নরও! কে ছিলেন সেই নারী?

Shatrughan Sinha: শত্রুঘ্নের থেকে প্রায় ১১ বছরের ছোট রীনা প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলেন তাঁর। চলছিল চুটিয়ে প্রেম পর্ব। এমনই এক সময়ে হঠাৎই বিমানে শত্রুঘ্নের দেখা হয় পুনম সিনহার সঙ্গে। পুনমকে দেখেই প্রেমে পড়ে যান শত্রুঘ্ন।

মেয়ের মতো ভিনধর্মীর সঙ্গে প্রেম ছিল শত্রুঘ্নরও! কে ছিলেন সেই নারী?
সিনহা পরিবারের গোপন কথা ফাঁস বন্ধুর
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2024 | 5:39 PM

মেয়ে সোনাক্ষী সিনহা বিয়ে করছে জাহির ইকবাল। রটেছে ভিনধর্মী বলে সেই বিয়েতে নাকি মত নেই বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার। তবে এ খবর যে সত্যি নয়, নিজেই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। জানিয়েছেন, মেয়ের বিয়েতে থাকবেন তিনি। তবে জানেন কি, শুধু সোনাক্ষী নন, শত্রুঘ্ন নিজেও প্রেমে পড়েছিলেন এক ভিনধর্মীরই। তিনি রিনা রায়, শত্রুঘ্নের একনিষ্ঠ ভালবাসা। রিনা রায়ের আসল নাম সাইরা আলি। সেই রিনার সঙ্গেই আচমকাই সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। কী ঘটেছিল সিনহার পরিবারে? সেই গোপন কথাই ফাঁস করেছিলেন পরিচালক তথা শত্রুঘ্নের কাছের বন্ধু পঙ্কজ নিহালানি।

শত্রুঘ্নের থেকে প্রায় ১১ বছরের ছোট রীনা প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলেন তাঁর। চলছিল চুটিয়ে প্রেম পর্ব। এমনই এক সময়ে হঠাৎই বিমানে শত্রুঘ্নের দেখা হয় পুনম সিনহার সঙ্গে। পুনমকে দেখেই প্রেমে পড়ে যান শত্রুঘ্ন। গোপনে বিয়েও সেরে ফেলেন। ওদিকে সবটা জেনে রীনা তখন মহাসমুদ্রে, শোনা যায় এমনটাই। তবে বিয়ের পরেও রীনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শত্রুঘ্নের। এ কথা জানিয়েছেন খোদ পুনমই। তিনি বলেন, “সত্যিটা হল, আমি সরে এসেছিলাম। রীনাকে জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ও (শত্রুঘ্ন)ই ওকে বিয়ে করতে চায়নি। আমি জানতাম বিয়ের পর ওদের পুরনো প্রেম আবার জেগে উঠেছে।”

একদিকে প্রেমিকা অন্যদিকে স্ত্রী ও সন্তান– সব মিলিয়ে এক পর্যায়ে জীবনে যেন ঝড় ওঠে শত্রুঘ্ন। বন্ধু নিহালানির কথায়, “হাতকড়ি ছবির পর আমি চেয়েছিলাম রীনা ও শত্রুঘ্নকে নিয়ে আরও এক ছবি করতে। রীনার কাছে সেই প্রস্তাব নিয়ে যেতেই ও আমাকে এক শর্ত দিয়ে দেয়। বলে, হাতে সময় মাত্র আট দিন। এর মধ্যে যদি শত্রুঘ্ন তাঁকে বিয়ে করেন, তবেই তিনি ওই ছবি করবেন, নয়তো নয়। রীনা এও বলে, শত্রুঘ্ন তাঁকে প্রতিশ্রুতি না দিলে খুব জলদি বিয়েও করে নেবে।” নিহালানি যোগ করেন, “রীনার ওই প্রস্তাব শুনে আমায় ফোন করে শত্রু। ওই দিন রাতে, ওই প্রথম বার, ওকে আমি শিশুর মতো হাউহাউ করে কাঁদতে দেখেছিলাম। এতটাই রীনার সঙ্গে মানসিক ভাবে জড়িয়ে পড়েছিল ও। আমি ওকে বলি, ওকে তুমি যেতে দাও। বিয়ে করতে দাও।” বুকে পাথর চেপে তাই করেছিলেন শত্রুঘ্ন। যেতে দিয়েছিলেন ভালবাসাকে। রীনাও পরবর্তীকালে বিয়ে করেন পাকিস্তানি খেলোয়াড় মহসিন খানকে। যদিও সেই বিয়ে টেকেনি বেশিদিন।