Aindrila Sharma: ‘মেঘের পালক, চাঁদের নোলক, কাগজের খেয়া ভাসছে’… চেনা ছন্দে ফিরছেন ক্যান্সারজয়ী ঐন্দ্রিলা শর্মা!

Bengali Serial Actress: নিজের ভিডিয়ো শেয়ার করে ঐন্দ্রিলা ক্যাপশনে লিখেছেন, "আমার নিজের ছন্দে ফিরে আসা..."

Aindrila Sharma: 'মেঘের পালক, চাঁদের নোলক, কাগজের খেয়া ভাসছে'... চেনা ছন্দে ফিরছেন ক্যান্সারজয়ী ঐন্দ্রিলা শর্মা!
ঐন্দ্রিলা শর্মা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 9:35 AM

ক্যান্সারকে জয় করেছেন কিছু দিন আগে। প্রথমবার নয়। দ্বিতীয়বার। সঙ্গে পাশে পেয়েছেন প্রেমিক অভিনেতা সব্য়সাচীকে। যাঁকে দর্শক দেখেছেন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের সাধক বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে। পাশে পেয়েছেন পরিবারের প্রিয়জনদেরও। লড়াইটা সহজ ছিল না ঐন্দ্রিলার কাছে। কিন্তু তিনি পেরেছেন। ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন অভিনেত্রী। নিজেরই বাড়িতে একটি নৃত্য পরিবেশন করলেন ঐন্দ্রিলা। শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া সেই বিখ্যাত গান ‘মেঘের পালক চাঁদের নোলক কাগজের খেয়া ভাসছে…’। প্রাণের উচ্ছ্বাসে মনটাকে আকাশে মেলে দিয়ে নাচলেন তিনি। ঠিক যেন মুক্তির নাচ… নিজের ভিডিয়ো শেয়ার করে ঐন্দ্রিলা ক্যাপশনে লিখেছেন, “আমার নিজের ছন্দে ফিরে আসা…”

মাস খানেক আগে ঐন্দ্রিলার সুস্থতার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সব্যসাচী লিখেছিলেন, “আজ ঐন্দ্রিলার সুদীর্ঘ চিকিৎসা শেষ হল। যুদ্ধ শেষে জয়ধ্বনি যাঁদের প্রাপ্য, তাঁদের নামগুলি দিলাম। অবধারিত কারণে ইচ্ছা করেই কাউকে ট্যাগ করলাম না। যে মানুষ আরোগ্যের খোঁজে দিশাহীন, নিম্নলিখিত তালিকাটি তাঁকে সাহায্য করতে পারে। ডক্টর সুমন মল্লিক – রেডিওথেরাপি। ডক্টর অমিতাভ চক্রবর্তী – থোরাসিক সার্জন, ডক্টর দোদুল মন্ডল – রেডিওথেরাপি (দিল্লি অ্যাপোলো), ডক্টর চন্দ্রকান্ত এম ভি – কেমোথেরাপি, ডক্টর বিবেক আগারওয়াল – কেমোথেরাপি, ডক্টর নেহা – সার্জন, ডক্টর তিতিশা মিত্র – অ্যানাস্থেসিওলজিস্ট, সম্পূর্ণ ডে কেয়ার কেমোথেরাপি টিম, নার্সিং স্টাফ টিম। শুরুতে দিল্লি অ্যাপোলো হসপিটালে ভর্তি হলেও, ঐন্দ্রিলার সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় কলকাতার নারায়াণাতে এবং অস্ত্রোপচার হয় নারায়াণার অন্তর্গত আর এন টেগোর হাসপাতালে। সহযোগিতা করার জন্য, হাসপাতাল কতৃপক্ষকে অশেষ ধন্যবাদ।”

ঐন্দ্রিলা নিজে লিখেছিলেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান। আজ যে আমি কেমন অনুভব করছি, তা বলে বোঝাতে পারব না। হয়তো এই দিনটি দেখতে পেতাম না, যদি আমার পরিবার ও সব্যসাচী পাশে না থাকত, পাশে থাকা কাকে বলে আমি জেনেছি এই এক বছরে। আমি সত্যি ভাগ্যবতী। আমি মন থেকে কৃতজ্ঞ আমার ডক্টরস এবং হসপিটালের সকলের কাছে। আর সেই কাছের মানুষগুলোর কাছে, যাঁরা পুরো কঠিন সময়টা আমার পাশে থেকেছেন, খোঁজ নিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রি আমাকে এত স্নেহ দিয়েছে, তা সত্যিই অতুলনীয়। সর্বশেষে তাঁদের কথা না বললেই নয়, যাঁরা প্রতিনিয়ত আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন। তাঁরা হলেন আপনারা, যাঁরা আমায় নিজেকে ভুলে যেতে দেননি, ভেঙে পড়তে দেননি। ধন্যবাদ জানিয়ে কাউকে ছোট করব না। শুধু একটাই কথা বলতে চাই। আপনারা আছেন, তাই আমি আছি।”

কিছুদিন আগেই নিজের অ্যাপার্টমেন্টে বান্ধবীদের সঙ্গে দোল খেলেন ঐন্দ্রিলা। এক দারুণ মুহূর্ত তৈরি করেন তাঁদের সঙ্গে। তাঁরও আগে বিয়ের কনের সাজে একটি ভিডিয়ো শুট করেছিলেন তিনি। ক্যান্সারের চিকিৎসায় তাঁর মাথার সব চুল পড়ে গিয়েছিল। ফটোগ্রাফার তাঁকে পরচুলা পরতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেননি। সে সময় TV9 বাংলাকে ঐন্দ্রিলা বলছিলেন, “ওরা বলেছিল আমায় ফলস চুল লাগিয়ে দেবে, কিন্তু আমিই রাজি হলাম না। যা আছে তাই বরং থাক। এতেই আমি ভাল আছি”।