Exclusive Megha Daw: মেঘা থেকে পিলু হয়ে ওঠা, কতটা পাল্টে গিয়েছে ব্যক্তিগত জীবন, জানালেন খোদ অভিনেত্রী

Bangla Serial: এখন মাস্ক পরে থাকলেও আমায় সকলে চিনতে পারছে। তাঁরা এসে জানাচ্ছে পিলু দেখি, আশীর্বাদ করছেন, ভালবাসা দিচ্ছেন, ভীষণ ভাল লাগে।

Exclusive Megha Daw: মেঘা থেকে পিলু হয়ে ওঠা, কতটা পাল্টে গিয়েছে ব্যক্তিগত জীবন, জানালেন খোদ অভিনেত্রী
Follow Us:
| Updated on: Aug 17, 2022 | 3:41 PM

ডান্স বাংলা ডান্স-এর স্টেজ থেকে অভিনেত্রী হয়ে ওঠা। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক পিলুর কেন্দ্রিয় চরিত্র মেঘা দাঁ-র জীবন এভাবেই রাতারাতি পাল্টে গিয়েছিল। এখন মেঘার থেকেও বেশি তাঁকে দর্শকেরা পিলু নামেই চেনে। আর এই দর্শকদের ভালবাসায় নাম ও পরিচয় বদলের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনে ঠিক কী কী পরিবর্তন এসেছে অভিনেত্রীর, এবার TV9 বাংলায় জানালেন নিজেই।

মেঘা থেকে পিলু হয়ে ওঠা, ব্যক্তিগত জীবনে কতটা পরিবর্তন এসেছে?

সত্যি বলতে গেলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চ থেকে অভিনয় জগতে আসা। এটা সম্পূর্ণ নতুন একটা জগত। শুরু শুরুতে এতটা তফাৎ বুঝতে পারিনি। তবে হ্যাঁ, এখন মাস্ক পরে থাকলেও আমায় সকলে চিনতে পারছে। তাঁরা এসে জানাচ্ছেন পিলু দেখি, আশীর্বাদ করছেন, ভালবাসা দিচ্ছেন, বলছেন ভীষণ ভাল লাগে। কেউ কেউ বলেন তোমার নাচ খুব ভাল লাগে নাচটা ছাড়বে না। নিঃসন্দেহে এটা একটা অন্য অনুভুতি। সকলেই এই প্রতিক্রিয়া পেয়েই, প্রতিদিন আরও ভাল হয়ে উঠতে ইচ্ছে করে। আরও ভাল করতে হবে আমায়, সকলের ভালবাসার মান রাখতে হবে। পাশাপাশি লাইফস্টাইলেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। ঘুম ভাঙা থেকে ঘুমতে যাওয়া পর্যন্ত, পুরো রুটিনটাই পাল্টে গিয়েছে।

পর্দার পিলু আর বাস্তবের মেঘার মধ্যে ঠিক কতটা মিল বা ফারাক!

বেশকিছু জায়গায় মিল রয়েছে। আবার বেশকিছু জায়গায় হয়তো না। যেমন ধরো, পিলু যেমন ঠাণ্ডা মাথায় সবটা সামলাতে পারে, আমি পারি না। আমি খুব রাগি। আবার মিল হচ্ছে, যেমন পিলু সব বিষয় থাকে, মেঘারও তাই, সব কিছু জানতে হবে। সব খবর রাখতে হবে। মেঘাও নাচে পিলুও নাচতে ভালবাসে। আর একটা বিষয় হল গান। পিলু গান গায়, মেঘারও কিন্তু গান ভাল লাগে।

প্রথম অভিনয়ের সেটে আসা, কীভাবে সেটের পরিবেশ পরিবার হয়ে উঠল?

এখানে সিনিয়ার, জুনিয়ার মিলে খুব আনন্দ করে কাজ করা হয়। সকলে মিলে সারাদিন হইহই করে শুটিং চলে। এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করি গল্প করি, যাকে বলে একটা পরিবার। এখন আর পরিবারের অভাব বোধ করি না, এটাই আরও একটি পরিবার হয়ে উঠেছে। টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে মেকআপ আর্টিস্ট থেকে শুরু করে সকলে মিলে মিশে কাজটা দারুণভাবে হয়। এতটাই সকলের মধ্যে বন্ডিং যে মন খুলে কাজটা করতে পারি আমি। এটা আমার প্রথম কাজ, এই পরিবেশটার জন্যই হয়তো আমি এতটা সহজভাবে অভিনয়টা করতে পারছি ভয় কাটিয়ে। সকলের ভালবাসা না থাকলে কাজটা সহজ হত না। এরপর মা-বাবার আশীর্বাদ তো রয়েছেই।

পিলুর মধ্যে কতটা তফাৎ এসেছে?

প্রথম পিলু আর এই পিলুর মধ্যে অনেকটা তফাৎ। শুরুতে ভয় থাকলেও শিখছি, জানছি প্রতিটা মুহূর্তে। নাচের ক্ষেত্রেও তাই। সেখানেও অনেকটা প্রশিক্ষণ বাকি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিলু এখন বেশকিছুটা পরিণত, ক্যামেরার সামনে জড়তা কেটেছে। তবে এটাতো সবে শুরু। আরও অনেক শেখার জানার বাকি রয়েছে।

নাচ না অভিনয়, কেরিয়ারে কোনটাকে বেছে নেবে!

এভাবে কোনওটাই নয়। আমি ব্যালান্স করার চেষ্টা করে চলেছি। ভবিষ্যতেও তাই করব। নাচ ছেড়ে অভিনয়, বা অভিনয় ছেড়ে নাচ নয়। দুটোই সমানতালে চালানোর চেষ্টা করব আমি।