Pilu Serial: পিলু-রঞ্জার পরিবারে বিন্দির পা, সকলকের অজান্তে বাড়িতে ঢুকল বিন্দি
Pilu: অন্যদিকে পরিবারের সকলের বেশ মন খারাপ। পরিবারকে ছেড়ে কলকাতায় থাকতে অনেকেরই বেশ কিছুটা অসুবিধে হচ্ছে।
পিলু পরিবারে এক খুশির হাওয়া। ছক ভেঙে বিয়ের অনুষ্টান পালন করে সবটাই নতুন করে শুরু করছে এখন রঞ্জা। যদিও দাদু বেশ কিছুতে আপত্তি করলেও খুব একটা তাতে সায় দিচ্ছে না পরিবার। মল্লার নিজেই দাদুকে সমস্তটা বুঝিয়ে বলে, জানায় মেয়েরা পুরুষদের থেকে অনেক অনেক বেশি ক্ষমতা রাখে, কাজেই এই দায়িত্ব তো সে নিতেই পারে। এরপর আসে বৌভাতের মধ্যাহ্ন ভোজনের পালা। সমস্ত রান্না নিজেই করেছে বলে যখন জানায় তার শাশুড়ি মা তখনই সে প্রতিবাদ করে সত্যিটা সবার সামনে তুলে ধরে। না কেবল সেই নয়, সঙ্গে হাত লাগিয়েছে মল্লারও। এভাবেই যখন ভাল মন্দ মিশিয়ে পিলু সংসারে খানিক হলেও শান্তি স্বস্তি ফিরেছে তখনই অবসরে সকলের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। বিন্দির জেল থেকে পালিয়ে যাবার খবর। আবারও কোন নতুন ঝড় ধেঁয়ে আসবে না তো পরিবারের মাথায়?
তার ইঙ্গিত মিলেছে ইতিমধ্যেই। বিন্দি হাজির। পরিবারের সকলেই তাকে চিন্তে পারে না। বাড়ির কাজের লোককে গোপনে টাকা দিয়ে বিন্দি হাত করে নিয়েছি ইতিমধ্যে। আর সেই সূত্রেই চেনা কাজের লোক তার পিসি সাজিয়ে বিন্দিকে নিয়ে হাজির পরিবারে। ফুলশয্যার পরে দিন ঘুম থেকে উঠেই রঞ্জা শুরু করে নতুন দিন। স্নান করে সকলের জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসতে সে ব্যস্ত। অন্যদিকে রঞ্জাকে খুঁজে না পেয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যায় মল্লার। কিছুক্ষণের মধ্যেই লক্ষীমন্ত বউয়ের মত হাতে চা নিয়ে সকলের সামনে হাজির হয় সে।
অন্যদিকে পরিবারের সকলের বেশ মন খারাপ। পরিবারকে ছেড়ে কলকাতায় থাকতে অনেকেরই বেশ কিছুটা অসুবিধে হচ্ছে। সেই কারণেই মল্লারের মা এবার সকলকে একা রেখে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই মাঝে হঠাৎই হাজির অন্য এক খবর। কাজের মেয়ে আসবে না, তবে কীভাবে সংসারের সমস্ত কাজ সামলা বে পিলু ও রঞ্জা একা হাতে। এমন সময় কাজের মেয়ের হাত ধরে বাড়িতে উপস্থিত বিন্দি। কোন বিপদের মুখে এবার গোটা পরিবার? পিলু কি পারবে সমস্তটা সামলে নিতে?