Anashuya Mazumdar: ‘আমি বিনোদিনীর মতো খারাপ মানুষ দেখেছি’, বললেন ‘এক্কা দোক্কা’র ‘খল ঠাম্মি’ অনসূয়া

Ekka Dokka Serial: 'এক্কা দোক্কা' সিরিয়ালে বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয় করেন অনসূয়া মজুমদার। বিনোদিনী মোটে ভাল মানুষ নয়...

Anashuya Mazumdar: 'আমি বিনোদিনীর মতো খারাপ মানুষ দেখেছি', বললেন 'এক্কা দোক্কা'র 'খল ঠাম্মি' অনসূয়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 11:43 AM

লাল পাড় সাদা শাড়ির বেচারি আটপৌরে চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী অনসূয়া মজুমদার। তিনি এখন এক ‘দুষ্টু ঠাম্মি’র চরিত্রে দাপিয়ে অভিনয় করছেন। সিরিয়ালের নাম ‘এক্কা দোক্কা’। এই ঠাম্মি নাতবউদের মাঝে ভেদাভেদ করে। একজনকে আদরে ভরিয়ে দেন। অন্যজনের জীবন করে তোলেন অতিষ্ট। তুলনায় অভাবী পরিবার থেকে আসা পুত্রবধূদের উপর মানসিক নির্যাতন চালান। প্রিয় নাতির হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় মনে রাগ পোষণ করেন। নাতনিদের কুশিক্ষায় মানুষ করেন… এমন এক ঠাম্মিকে দেখে আবদার তো দূর, ভক্তিও কি আসার কথা? সে যাই হোক, চরিত্রটিকে তেমনই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন অনসূয়া। ঠাম্মির স্বভাবের এক্কেবারে বিপরীত অনসূয়া TV9 বাংলাকে বলেছেন, “চরিত্রের স্কিনে ঢুকে গেলে কোনও অসুবিধা হয় না…”

ঠাম্মির চরিত্রের নাম বিনোদিনী সেনগুপ্ত। তার সব কটি সন্তান নামকরা চিকিৎসক। সকলে তার কুশিক্ষায় মানুষ হলেও, বড় ছেলে একটু আলাদা। মায়ের বাধ্য হলেও তাকে মনে-মনে তাকে সমাদর করতে পারে না। অন্যদিকে বড় ছেলের বউকে মাথায় করে রাখে এই ঠাম্মি। তাদের সন্তান পোখরাজ। ঠাম্মির অমতে বিয়ে করেছে সে। ঠাম্মিও রাগে ফুসছে। সব ক্ষোভ সে উগরে দিচ্ছে নাতবউয়ের উপর। তাকে হেনস্থা করার নিত্য় প্যাঁচ কষছে। এই তো সম্প্রতি নাতবউকে অষ্টমঙ্গলা করতে যেতে দেয়নি বাবার বাড়িতে।

এমন এক জাঁদরেল ঠাম্মির চরিত্রে অভিনয় করতে-করতে অনসূয়ার মনে হয়েছে, “বদমাইশ ঠাম্মির চরিত্রটা আমি খুবই উপভোগ করছি। অনেকদিন পর এমন একটা নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করছি। পর্দায় লাল পাড় সাদা শাড়ি ত্যাগ করলাম শেষমেশ। ‘বউ কথা কও’ সিরিয়ালে নেগেটিভ করেছিলাম অনেক বছর আগে, তাও অল্প কয়েকদিনের জন্য। কিন্তু সেটা পরে পজ়িটিভ হয়ে গিয়েছিল। বিনোদিনীর চরিত্রে একবার ঢুকে যেতে পারলে বুঝে যাই এটাই চরিত্রটা। তখন আর কিছু মনে থাকে না…”

ইন্ডাস্ট্রিতে অনসূয়াকে যে বা যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, তাঁরা সকলেই একবাক্য়ে স্বীকার করবেন তিনি একেবারেই নেতিবাচক মানুষ নন। বলার বক্তব্য এটাই, বিনোদিনী তিনি একেবারেই নন। কোনওদিনও যদি জীবনের কোনও মোড়ে বিনোদিনীর সঙ্গে অনসূয়ার সাক্ষাৎ ঘটে, তিনি বলবেন, “শুধরে যাও। মানুষকে একটু ভালবাসতে চেষ্টা করো। এ রকম বদমাইশি কোরো না তুমি। আমি আমার নিজের জীবনে এ রকম মানুষ দেখেছি। আমার অভিজ্ঞতা আছে… তা ছাড়া, গল্পের ভাল দিককে তুলে ধরতে চাইলে, খারাপটাও তো দেখাতে হবে… তাই না… তবে আমি এখন বিনোদিনীর মধ্যেই থাকব। যতখানি লেখিকা (লীনা গঙ্গোপাধ্যায়) চান, ততখানিই আমি করব।”

তবে এ কথাও তিনি বলেছেন, “ঠাম্মির উপর যদি কারও রাগ হয় বুঝব, সেখানেই আমার অভিনয়ের স্বার্থকতা…”