‘আমার দাদাকে নানা মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়’, কেন বললেন অপরাজিতা?
Aparajita Adhya: অপরাজিতা লাইভে বলেছেন, "অনেকদিন থেকে আমার বড় দাদা ফাইট করছেন। তাঁর শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অনেক ধরনের ওষুধের উপর নির্ভরশীল জীবন কাটাতে হয় আমার দাদাকে। নানা কারণে নির্বাচিত পাত্রী রানীদিদির সঙ্গে ওর বিয়েটা হচ্ছিল না। সেই বিয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে ভাল লাগছে আমার।"
দিদিমার পছন্দ করা পাত্রীর সঙ্গে দাদার বিয়ে দিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করেন অভিনেত্রীর দাদা। অনেক বয়স পর্যন্ত তিনি অবিবাহিতই ছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর অপূর্ণ ইচ্ছেকে পূরণ করে দাদার বিয়ে দিয়ে তাঁকে সংসারী করে তুললেন অপরাজিতা। এই নিয়ে রবিবার (০৪.০৮.২০২৪) সন্ধ্যায় একটি ফেসবুক লাইভ করেছেন অপরাজিতা। চাঁচাছোলা ভাষায় কিছু মানুষকে তিরস্কারও জানিয়েছেন তিনি।
অপরাজিতা লাইভে বলেছেন, “অনেকদিন থেকে আমার বড় দাদা ফাইট করছেন। তাঁর শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অনেক ধরনের ওষুধের উপর নির্ভরশীল জীবন কাটাতে হয় আমার দাদাকে। নানা কারণে নির্বাচিত পাত্রী রানীদিদির সঙ্গে ওর বিয়েটা হচ্ছিল না। সেই বিয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে ভাল লাগছে আমার।”
অপরাজিতার সরল দাদার লড়াই একেবারেই ছোট নয়। তাঁকে নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয় প্রতিনিয়ত। এলাকার মানুষ তাঁকে হাসির পাত্র করে তুলেছেন। দুঃখ করে সেই কথাও লাইভে ব্যক্ত করেছেন অপরাজিতা। বলেছেন, “লোকে ওকে নিয়ে হাসাহাসি করে বলে প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেন আমার দাদা। এটা কথাটা আমি লাইভে এসে বলতে বাধ্য হচ্ছি। অনেকেই বলেন, আমার দাদার নাকি জীবনে কিছুই হবে না। এই মানুষগুলোকে আমি ঘৃণা করি। এরা কাউকেই সম্মান করতে জানে না। মানুষের দুর্বলতাকে হাসির খোরাক করে তোলে। এই ধরনের মানসিক নির্যাতন আমার দাদাকে প্রতিনিয়ত ভোগ করতে হয়।”