‘…যাঁরা আমাকে খারাপ কথা বলেছেন, আমি তাঁদের চুমু খাব’, হাসতে-হাসতে বললেন রূপঙ্কর বাগচী

Rupankar on KK: ২০২২ সালের ৩১ মে প্রয়াণ ঘটে কৃষ্ণকুমার কুন্নথ, অর্থাৎ কেকের। এবং ওইদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো পোস্ট করে রূপঙ্কর বলেছিলেন, "'হু ইজ় কেকে? হু ইজ় কে ম্যান'।" রূপঙ্করের দাবি, তিনি বাংলা গান, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কাউকে আক্রমণ করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।

'...যাঁরা আমাকে খারাপ কথা বলেছেন, আমি তাঁদের চুমু খাব', হাসতে-হাসতে বললেন রূপঙ্কর বাগচী
রূপঙ্কক এবং কেকে।
Follow Us:
| Updated on: Jan 12, 2024 | 11:35 AM

‘হু ইজ় কেকে? হু ইজ় কে ম্যান’… যে রাতে প্রয়াত ভারতীয় গায়ক কেকে কলকাতায় গান গাইতে এসেছিলেন, সেই রাতেই তাঁর সম্বন্ধে এই মন্তব্য করেছিলেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। এবং তাঁর সেই মন্তব্যের পরই ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সেই রাতেই মঞ্চে গান গাওয়ার পর প্রয়াত হয়েছিলেন কেকে। গায়কের আকস্মিক মৃত্যু এবং রূপঙ্করের মন্তব্যের জেড়ে ট্রোলিং শুরু হয়েছিল নেটপাড়ায়। কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল রূপঙ্করকে। কেবল তাই নয়, তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছিল কুরুচিকর মন্তব্যও। সেই ঘটনার পর রূপঙ্কর ক্ষমাও চেয়েছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে।

২০২২ সালের ৩১ মে ঘটনাটি ঘটেছিল। ওইদিনই প্রয়াণ ঘটে কৃষ্ণকুমার কুন্নথ, অর্থাৎ কেকের। এবং ওইদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো পোস্ট করে রূপঙ্কর বলেছিলেন, “কলকাতায় অবাঙালি কেকে গাইতে এসেছে আর আপনাদের মধ্যে এত উন্মাদনা তাঁকে নিয়ে। কই বাঙালি গায়ক-গায়িকাদের নিয়ে তো আপনাদের এমন উত্তেজনা দেখা না। ‘হু ইজ় কেকে? হু ইজ় কে ম্যান’।” রূপঙ্করের দাবি, তিনি বাংলা গান, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কাউকে আক্রমণ করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।

সম্প্রতি রূপঙ্কর এক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সেদিন তাঁর করা সেই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য সম্পর্কে পরোক্ষভাবে অনেককিছু বলেছেন। বলেছেন, “আমি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেককিছু কথা লিখেছি। কিছু মানুষে তার পক্ষেও কথা বলতে পারেন, তার বিপক্ষেও কথা বলতে পারেন। সেটাকে স্পোর্টিংভাবে না নেওয়া ছাড়া আমার কিছুই করার ছিল না। কেবল নিজের কথা বলতে চাই না। আমি এবং আমার পরিবার, আমরা প্রত্যেকেই সেটাকে খুব স্পোর্টিংভাবে নিয়েছি। এবং এখনও নিয়ে চলেছি। আমি মনে করি, যাঁরা আমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলেছেন, তাঁরা একদিন তাঁদের ভুল বুঝতে পারবেন এবং আমাকে জড়িয়ে ধরবেন, কিংবা আমি তাঁদের জড়িয়ে ধরব। জানি না তাঁদের কোনও চেহারা আছে কি না। নাকি তাঁদের অস্তিত্ব কেবলই সামাজিক মাধ্যমে আছে। কিন্তু তাঁরা যদি সত্যিই থাকেন, তাঁদের আমি জড়িয়ে ধরব। আমি তাঁদের চুমু খেতে পারি, তাঁরাও আমাকে চুমু খেতে পারেন। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমি যা বলতে চেয়েছি, তার সারমর্ম তাঁরা একদিন ঠিক বুঝবেন।”