Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রেমিকই এখন ‘মা’, সম্পর্কের নিদারুণ রসায়ন নিয়ে অপকট ছোট পর্দায় অভিনেত্রী

Ahona Dutta: 'অনুরাগের ছোঁয়া' ধারাবাহিকেই প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি অহনা দত্তর। প্রথম ধারাবাহিকেই বিপুল জনপ্রিয়তা এবং একাধিক পুরস্কার। গ্রামেগঞ্জে মাচা শো করতে যান অহনা। ১০০টি শো অতিক্রান্ত হয়েছে সম্প্রতি। প্রত্যেকটি শোতেই তাঁর সঙ্গে যান প্রেমিক দীপঙ্কর। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানের মতোই আগলে রাখেন তাঁকে। তাঁর মধ্য়েই মাকে খুঁজে পেলেন অভিনেত্রী।

প্রেমিকই এখন 'মা', সম্পর্কের নিদারুণ রসায়ন নিয়ে অপকট ছোট পর্দায় অভিনেত্রী
প্রেমিক দীপঙ্করের সঙ্গে অহনা দত্ত।
Follow Us:
| Updated on: Jan 26, 2024 | 11:32 AM

মায়ের সঙ্গে ভয়ানক বিবাদ। মুখ দেখাদেখি বন্ধ। বাড়ি ছেড়েছেন। চলে এসেছেন প্রেমিকের কাছে। প্রেমিক আবার বয়সে ১৪ বছরের বড়। ডিভোর্সি। টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মেকআপ আর্টিস্ট তিনি। এমন ‘অসমান’ প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক বলেই নাকি মায়ের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বাংলা সিরিয়ালের সুন্দরী অভিনেত্রী অহনা দত্তর। তাঁর মোটে ২০ বছর বয়স। বর্তমানে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে মিশকার চরিত্রে অভিনয় করছেন। যে মিশকা চরিত্রটি খলনায়িকা হিসেবে মারাত্মক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এহেন মিশকা, থুড়ি অহনা বাস্তব জীবনে সব অর্থেই গল্পের নায়িকা। মায়ের সঙ্গে বিবাদ, মিটমাট নাকি হয়নি (তেমনটাই কিছুদিন আগে TV9 বাংলাকে জানিয়েছিলেন)। তবুও কিছুদিন আগেই মায়ের কোলে তাঁর ছেলেবেলার একটি ছবি পোস্ট করে কেবলই লাল হৃদয় ইমোজি পোস্ট করেছিলেন। এবার প্রেমিককেই বসিয়ে দিলেন মায়ের জায়গায়।

‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকেই প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি অহনার। প্রথম ধারাবাহিকেই বিপুল জনপ্রিয়তা এবং একাধিক পুরস্কার। গ্রামেগঞ্জে মাচা শো করতে যান অহনা। ১০০টি শো অতিক্রান্ত হয়েছে সম্প্রতি। প্রত্যেকটি শোতেই তাঁর সঙ্গে যান প্রেমিক দীপঙ্কর। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানের মতোই আগলে রাখেন তাঁকে। তাঁর মধ্য়েই মাকে খুঁজে পেলেন অভিনেত্রী। লিখেছেন লম্বা পোস্ট।

অহনা লিখেছেন: “ঠিক স্টেজে ওঠার আগে আমার হাতটা ছেঁড়ে দিয়ে স্টেজের এক পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে! এই বালিশটা বেশিরভাগ ওর কোলের উপর থাকে, আর তার উপরে থাকে আমার মাথা। কিন্তু আজ ও এতটাই ক্লান্ত যে, ঠিক বিপরীতটা হল। আমি বিভিন্ন জায়গায় শো করছি এক বছর হয়ে গেল। এবং খুব কম দিনেই আমি ১০০তম শো অতিক্রম করলাম! কিন্তু আমার সঙ্গে প্রত্যেকটা শোতে যেই মানুষটা যায়, তিনি হলেন একমাত্র ভালবাসার মানুষ। যখন ওকে বললাম যে, আমি ঠিক পারব আমাকে ছেড়ে দাও। তখন আমাকে বলল, “তুই বড় হয়ে গেলে একা যাস, আমি ছেড়ে দেব। আরে বাবা একটা দায়িত্ব আছে তো নাকি।” হয়তো মার সঙ্গে থাকলে মাও তাই করত। কিন্তু তুমি তো আমাকে জন্ম দাওনি। তাহলে প্রথমদিন থেকে এত নিঃস্বার্থ হলে কীভাবে। যে নিজের পুরো লাইফের শিডিউলটাই পাল্টে দিলে! তোমার কাজ আর আমার ছুটি থাকা সত্ত্বেও আমার শোতে প্রত্যেকদিন গিয়ে একদিনও প্রশ্ন করলে না যে তোর কাজের জন্য প্রত্যেকদিন আমি কেন রাত জাগব। আবার ৭টার কল এটেন্ড করব। অনেক ভাগ্য করে পেয়েছি তোমাকে। হয়তো এটাকেই Alpha Male (আলফা মেল) বলে।”