Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Racket: পায়ে হাই হিল, ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে একে একে পোশাক খুলছিল উঠতি ‘মডেল’, দরজা খুলে ঢুকল ইডি, তারপর…

ED Raid: ঘরের মধ্যেই প্রফেশনাল ওয়েবক্যাম সেট আপ করা ছিল। এখান থেকেই ভিডিয়ো ব্রডকাস্ট করা হত। ভিডিয়োর বিভিন্ন ভাগও রয়েছে সেখানে। যত টাকা, তত বেশি নগ্ন শরীর দেখতে পাওয়ার সুযোগ- এভাবেই ওয়েবসাইট চলত।

Racket: পায়ে হাই হিল, ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে একে একে পোশাক খুলছিল উঠতি 'মডেল', দরজা খুলে ঢুকল ইডি, তারপর...
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Mar 30, 2025 | 10:59 AM

নয়ডা: নামকরা সোস্যাইটিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, তার ভিতরেই চলত রঙিন খেলা। শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও আসত কোটি কোটি টাকার ফান্ডিং। অতি সাধারণ স্বামী-স্ত্রীই যে ঘরের ভিতরে বসে বিরাট পর্নোগ্রাফি র‌্যাকেট চালাচ্ছিল, তা ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পায়নি। ইডি এসে দরজায় কড়া নাড়তেই বেরিয়ে এল গোটা ঘটনা।

নয়ডায় বেআইনি অনলাইন পর্নোগ্রাফি র‌্যাকেটের খোঁজ। উজ্জ্বল কিশোর ও তাঁর স্ত্রী নীলু শ্রীবাস্তব বিগত ৫ বছর ধরে এই চক্র চালাচ্ছিলেন। সূত্রের খবর, সাইপ্রাসের একটি কোম্পানি, যারা পর্ন জগতে জনপ্রিয়, তারাই নয়ডার এই দম্পতিকে টাকা জোগাত। ওই দম্পতিও ভুয়ো নথি তৈরি করে বিদেশে টাকা পাঠাত। বিজ্ঞাপন ও মার্কেট রিসার্চের নাম করে আর্থিক লেনদেন চালানো হত।

ওই সূত্র ধরেই নয়ডায় দম্পতির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। উদ্ধার হয় ১৫.৬৬ কোটি টাকা নগদ। পাশের আরেকটি ঘরে ইডি আধিকারিকরা ঢুকতেই তাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। দেখেন, ভিতরে চলছে পর্ন ভিডিয়োর রেকর্ডিং। তিন যুবতীকে আটক করা হয়। তাদের বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি।

দেখা যায়, ঘরের মধ্যেই প্রফেশনাল ওয়েবক্যাম সেট আপ করা ছিল। এখান থেকেই ভিডিয়ো ব্রডকাস্ট করা হত। ভিডিয়োর বিভিন্ন ভাগও রয়েছে সেখানে। যত টাকা, তত বেশি নগ্ন শরীর দেখতে পাওয়ার সুযোগ- এভাবেই ওয়েবসাইট চলত।

জানা গিয়েছে, মূলত দিল্লি-এনসিআরের উঠতি মডেলদেরই কাজের সুযোগ ও মোটা টাকা পারিশ্রমিকের টোপ দিয়ে ফাঁসানো হত। অডিশনের নাম করে ডাকা হত তাদের। আসার পর পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো রেকর্ডের প্রস্তাব দেওয়া হত। মাসে ১-২ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিকের টোপ দেওয়া হত। ফেসবুক থেকেই সবথেকে বেশি মডেলদের জোগাড় করে এই কাজে ব্যবহার করা হত।

ইডি তদন্তে জানতে পারে, এর আগে এই দম্পতি রাশিয়ায় থাকত। সেখানেও এই চক্রই চালাত। ভারতে ফিরে এসে স্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, ৭৫-২৫ শতাংশের শেয়ারে ব্যবসা চলত। অনলাইন গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া টাকার ৭৫ শতাংশ দম্পতি রেখে দিত, ২৫ শতাংশ দিত মডেলদের। নেদারল্যান্ডেও তাদের একটা অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, যেখানে ৭ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল।