Rahul Arunoday Banerjee: ‘ছিঃ…’ বিশ্ব অভিধান দিবসে পুজোর হোর্ডিংয়ে বানান ভুল দেখে ‘বাঙালি হিসেবে লজ্জাবোধ’ রাহুলের
Wrong Bengali Spelling: মোটেই খুশি নন টলিউডের অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি হোর্ডিংয়ে চোখ আটকে গিয়ে বেজায় চটেছেন তিনি। রেগেমেগে তিনি একটি সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টও করে ফেলেছেন। তাতে হোর্ডিংয়ের বড়-বড় অক্ষরে ভুল বাংলা বানানের দিকে আঙুল তাক করেছেন রাহুল। তাঁকে TV9 বাংলা যোগাযোগ করলে বিষয়টিকে রীতিমতো তুলোধনা করেছেন অভিনেতা। বাঙালি হিসেবে লজ্জাবোধের কথাও বলেছেন রাহুল।
এখন দুর্গাপুজোর সময়। ঢাকি কাঠি পড়ে গিয়েছে। চারদিকে প্যান্ডেল আর প্যান্ডেল। বাঁশের বেড়া চতুর্দিকে। মহালয়া থেকেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে জনসমুদ্র। প্যান্ডেলের পাশাপাশি যে জিনিসটি কলকাতাকে মুড়ে দেয় এই সময়, তা হল হোর্ডিং। কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে গত ৩ বছরের মধ্যে কলকাতার চেহারাটা এই প্রথম আবারও ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপণে’র মতো। পুজোতেই ব্যবসা। পুজোতেই ব্র্য়ান্ডে-ব্র্য়ান্ডে লড়াই। শহর, শহরতলি এবং গ্রামাঞ্চলের কাছে নিজে কোম্পানিকে মেলে ধরার এটাই সুবর্ণ সময়। বিজ্ঞাপনদাতারা খুশি, পুজো উদ্যোক্তারাও খুশি। কিন্তু মোটেই খুশি নন টলিউডের এক অভিনেতা। বরং একটি হোর্ডিংয়ে চোখ আটকে গিয়ে বেজায় চটেছেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। রেগেমেগে তিনি একটি সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টও করে ফেলেছেন। তাতে হোর্ডিংয়ের বড়-বড় অক্ষরে ভুল বাংলা বানানের দিকে আঙুল তাক করেছেন রাহুল। তাঁকে TV9 বাংলা যোগাযোগ করলে বিষয়টিকে রীতিমতো তুলোধনা করেছেন অভিনেতা। বাঙালি হিসেবে লজ্জাবোধের কথাও বলেছেন রাহুল।
সোমবার, ১৬ অক্টোবর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন রাহুল। পোস্টে যে ছবিটি তিনি শেয়ার করেছেন, তাতে রয়েছে ‘জ়েপ্টো’ (পড়ুন Zepto) নামের এক খাবার ডেলিভারির অ্যাপের বিজ্ঞাপনের উল্লেখ। পেল্লায় সেই হোর্ডিংয়ে বড়-বড় অক্ষরে ভুল বানান: ‘তাড়াতাড়ি’র পরিবর্তে লেখা ‘তারাতারি আসবে বাড়ি’। পুজোয় গাড়ি করে রাস্তায় বের হন অথবা পায়ে হেঁটে। হোর্ডিংয়ের দিকে চোখ আটকে যাবে আপনার। তেমনই হোর্ডিংয়ে মোড়া রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন রাহুল। ভুল বানানটি চোখে পড়তেই চলন্ত গাড়ি থেকে ছবি তুলে নেন অভিনেতা। তারপর নিজের ফেসবুকে ছবি-সমেত লিখেছেন, “Dear #zepto the spelling is তাড়াতাড়ি… ।” রাহুলের এই পোস্টের নীচে ভুরি-ভুরি মন্তব্য এসেছে তাঁর অনুরাগীদের। দুর্বা বন্দ্য়োপাধ্যায়—যিনি কবি শ্রীজাতর স্ত্রী—তিনি লিখেছেন, “কালই আমি আর শ্রীজাত ফিরতে-ফিরতে বলছিলাম… তারাতারির ঘোরে (দুর্বা যে এক্ষেত্রে সচেতনভাবেই ‘তাড়াতাড়ি’র পরিবর্তে লেখা ‘তারাতারি’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন কটাক্ষ করে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না) লেখা হয়েছে। আহা থাক!” অনেকে তো মস্করা করে তাড়াতাড়ি থেকে ‘ড়’টাই বাদ দিয়ে দিয়েছেন। তীব্র নিন্দা করেছেন নেটিজ়েনরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, ১৬ অক্টোবর একটি বিশেষ দিনও। এই দিন বিশ্ব অভিধান দিবস (World Dictionary Day)। এই দিনেই প্রকাশ্যে মাতৃভাষার এমন অপমান মেনে নিতে পারেননি রাহুল। TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করামাত্রই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, “এটা তো একটা প্রচলিত বাংলা বানান। এটাও এভাবে ভুল লেখা থাকবে?” রাহুল নিজে লেখাপত্রের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘদিন। একটি রবিবাসরীয় পত্রিকায় একসময় নিয়মিত লিখেছেন। ক্ষোভমিশ্রিত ব্য়ঙ্গ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়, “বড্ড তাড়াতাড়ি করে লেখা হয়েছে বানানটা। আমার ভাবতেই অবাক লাগে, এত খরচ করে বিজ্ঞাপন তৈরি করে গোটা শহরটাকে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর একটা প্রচলিত বানানও ঠিক করার প্রয়োজন বোধ করেননি সংস্থার কেউ। বাইরে থেকে লোক আসবেন আমাদের শহরে। এসেই এই ভুল বানান দেখবেন তাঁরা। কী ভাববেন, বাংলার রাজধানীতে এত সহজ বাংলা বানানটাও কেউ জানেন না। বাঙালি হিসেবে আমার খুব লজ্জাবোধ হচ্ছে।”
এবার পুজোয় স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার এবং পুত্র সহজকে নিয়ে ঠাকুর দেখার প্ল্যান আছে রাহুলের। ভুল বানান প্রসঙ্গে রাহুল বলেছেন, “আমরা ছোটবেলায় হোর্ডিংয়ের বানান দেখে বাংলা শিখেছিলাম। আমার সহজ এবং ওর মতো অন্যান্য বাচ্চারা কি এই ভুল বানান দেখবে গোটা শহর জুড়ে? ছিঃ…