Anik Dutta: ‘খোদ অপুকে আমার অপরাজিত দেখানো হল না’, সৌমিত্রর জন্মদিনে দুঃখপ্রকাশ অনীকের
Soumitra Chatterjee Birthday: অনীক পরিচালিত কেবলমাত্র 'বরুণবাবুর বন্ধু' ছবিতেই অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র। কিংবদন্তি অভিনেতার সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তাঁরই জন্মদিনে কিছু কথা ফেসবুকে ভাগ করে নিয়েছেন অনীক দত্ত।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বরে মুক্তি পায় ‘বরুণবাবুর বন্ধু’। সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি এই বাংলা ছবিটির পরিচালক অনীক দত্ত। এক শিরদাঁড়া শক্ত মানুষের গল্প বলেছিলেন অনীক। বিশিষ্ট্য সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরীর গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল সেই ছবি। তাতে নামভূমিকায়, অর্থাৎ, বরুণবাবুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়। আজ সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়ের জন্মদিন। অনীক পরিচালিত কেবলমাত্র ‘বরুণবাবুর বন্ধু’ ছবিতেই অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র। কিংবদন্তি অভিনেতার সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তাঁরই জন্মদিনে কিছু কথা ফেসবুকে ভাগ করে নিয়েছেন অনীক দত্ত।
গত ১০ জানুয়ারি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনীক দত্ত। কলকাতার সেই বেসরকারী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বাড়ি ফিরেছেন। TV9 বাংলাকে তিনি জানিয়েছিলেন, ভাল আছেন। তারপর থেকে অবিরাম নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর আরোগ্য কামনা করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। অনীককে সুস্থ দেখে তাঁরা সকলেই আজ স্বস্তিতে।
তাঁর অনেকগুলো ফেসবুক পোস্টের মধ্যে একাধিক পোস্ট অনীক করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিতে রাজনৈতিক কিছু কটাক্ষ থাকার কারণে ছবিটি মুহূর্তেই হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছুদিন ধরে অনেক ধরনের প্রতিবাদ হয়। শিল্পীদের বাকস্বাধীনতা নিয়ে শহরের রাজপথে প্রতিবাদী মিছিল করেছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। সেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন খোদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি একটি চিঠিও লিখেছিলেন অনীককে। তা তাঁর সাম্প্রতিক পোস্টে তুলে ধরেছেন অনীক।
সেই সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির গল্প নিয়ে তৈরি তাঁর ছবি ‘অপরাজিত’ শেষমেশ ‘অপু’ সৌমিত্র দেখে যেতে পারেননি, তা নিয়েও একটি পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনীক। লাল উইন্ডচিটার পরা সৌমিত্রর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর নিজের একটি ছবি শেয়ার করে অনীক লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন স্যার। আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি যে, আপনার মতো একজন কিংবদন্তির সান্নিধ্য লাভ করেছি। আপনার সঙ্গে কাজ করার, অনেক কিছু শেখার এবং জানার সুযোগ পেয়েছি। আমি আপনার স্নেহভাজন হতে পেরেছি। সর্বোপরি আপনার মাপের মানুষের কাছে অনেক গল্পগাছা সোনার, আড্ডা দেওয়ার, হাসি মস্করা করার অভিজ্ঞতা এবং উৎসাহ-উপদেশ-আস্কারা পেয়েছি। সে সব আমার পাথেয় হয়ে থাকবে। কিন্তু একটা বড় খেদ রয়ে গেল। খোদ অপুকে আমার ‘অপরাজিত’ দেখানো হল না। এটা মনে পড়লেই খুব কষ্ট হয় সৌমিত্রদা।”