Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aindrila Sharma Death: ‘একজন দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়েটাকে শেষ করে দিল’, বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলার মা

Aindrila Sharma: একজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শিখাদেবী। তাঁর ইগোর কারণে ঐন্দ্রিলার করুণ পরিণতি-- ঐন্দ্রিলা স্মরণে এক অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই অভিযোগ করলেন তিনি।

Aindrila Sharma Death: 'একজন দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়েটাকে শেষ করে দিল', বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলার মা
কেঁদে ফেললেন ঐন্দ্রিলার মা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2022 | 12:43 AM

ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) নেই প্রায় ১৬ দিন অতিক্রান্ত। শোকের আয়ু একবিংশ শতকে খুব বেশিদিন নয়। তবু মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে রয়েছেন মা শিখা শর্মা। এবার একজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শিখাদেবী। তাঁর ইগোর কারণে ঐন্দ্রিলার করুণ পরিণতি– ঐন্দ্রিলা স্মরণে রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ঐন্দ্রিলাইফ’ নামক এক অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই অভিযোগ করলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ঐন্দ্রিলার মা। তিনি বলেন,”আমার ঐন্দ্রিলা বরাবরই জীবনীশক্তিতে পরিপূর্ণ। এত কষ্ট পেয়েছে। দু’বার করে ক্যানসার হয়েছে। কোনওদিন ওকে কাঁদতে দেখিনি। আমার পাশে শোয়া ছিল। হঠাৎ হাত নড়ল না। পা নড়ল না। দশ মিনিটের মধ্যে কী যে হয়ে গেল।” সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। ওটিও হয়। সেই ওটিতে সফলতাও এসেছিল। তাঁর মায়ের কথায়, “জ্ঞানও ফিরেছিল। কিন্তু তার পরেই কোমায় চলে গিয়েছিল।” এর পরেই বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলার মা। সরাসরি আঙুল তুললেন হাসপাতালের ‘পোস্ট অপারেটিভ চিকিৎসা’ অর্থাৎ অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসার উপর। তিনি যোগ করেন, “ঐন্দ্রিলার জন্য আরও কিছু করা যেত। কিন্তু সেটা করা যায়নি। এক-দুজন চিকিৎসকের ইগোর লড়াই চলছিল। ডাক্তার মল্লিক যিনি অপারেশন করেছিলেন তিনি অমায়িক মানুষ। উনি সব সময় আমাদের পাশে ছিলেন। শুধু একজন করেনি। সেটা কিন্তু আমরা ভুলব না।” ঐন্দ্রিলার মা সরাসরি অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা  চিকিৎসকের উপর। তাঁর অভিযোগ ওই চিকিৎসকের ইগোর কারণেই ঐন্দ্রিলা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

শিখাদেবী বলেন, “দুদিন পর জ্ঞান ফিরল। এমআরআই হল। আর তার পর থেকেই আমার মেয়ে আরও খারাপ হতে শুরু করল। ওই যে এমআরআই করতে গিয়ে এত সময় নিল সেটা বোধহয় ওর জন্য ভাল হয়নি। দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়েকে কোমায় পাঠিয়ে দিল। নিজে কতটা মানবিক আমি জানি না। তবে উনি আমার মেয়েটাকে এভাবে শেষ করে দিল। আমার বড় মেয়ে ডাক্তার, ও অনুরোধ করেছিল। কিন্তু পিয়া কিচ্ছু শোনেনি।”

এখানেই থামেননি তিনি। শিখাদেবী মনে করেন ঐন্দ্রিলা এবারেও জিতে ফিরে আসতেন। তিনি বলেন, “দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলেই লোকে মরে যায় সেখানে দাঁড়িয়ে ১০ বার অ্যাটাক নিয়েছিল মেয়েটা। ওর হার্ট, ফুসফুস, কিডনি সব ভাল ছিল। হয়নি। ঠিক মতো চিকিৎসা হয়নি আমার মেয়ের।” গত ২০ নভেম্বর প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দুবার ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হলেও তৃতীয়বার আর পারেননি তিনি। পরিবারে ঘা আজও দগদগে। মায়ের কান্নাও বাঁধ মানছে না।