Bibriti Chattopadhyay: প্রিমিয়ার করতে পারছে না ‘ভটভটি’, তীব্র কটাক্ষে এক হাত নিলেন বিবৃতি

Hall Problems: খবরটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ছবির নায়িকা বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। এক হাত নিয়েছেন অভিনেত্রী...

Bibriti Chattopadhyay: প্রিমিয়ার করতে পারছে না 'ভটভটি', তীব্র কটাক্ষে এক হাত নিলেন বিবৃতি
'ভটভটি'র ভাগ্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 9:22 PM

মঙ্গলবার (১০.০৮.২০২২) রাত থেকেই চলছিল ক্ষোভপ্রকাশ। বাংলা ছবি ‘ভটভটি’ কলকাতায় মাত্র ৯টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। তাও পাচ্ছে একটি করে শো টাইম। প্রাইম টাইম, অর্থাৎ সন্ধ্যাবেলাতেও শো পাচ্ছে না টিম ‘ভটভটি’। এই নিয়ে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন ‘ভটভটি’ ছবির শিল্পী, কলাকুশলী এবং ইন্ডাস্ট্রির একাংশ। এবার জানা গেল, ‘ভটভটি’ প্রিমিয়ারও করতে পারছে না। কারণ তাঁরা প্রাইম টাইমে শো পাননি। ফলে প্রিমিয়ার ক্যানসেল করতে বাধ্য হয়েছেন ছবির নির্মাতা। এই দুঃসংবাদটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। এক হাত নিয়েছেন অভিনেত্রী…

ফেসবুকে কী লিখেছেন বিবৃতি?

“‘ভটভটি’র কোনও প্রিমিয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, আমরা যেহেতু সব ক’টা সিনেমা হলেই একটা করে শো পেয়েছি এবং সেগুলো কোনওটাই সন্ধ্যার প্রাইম টাইম শো নয়, যেখানে প্রিমিয়ারে অভিনেতারা উপস্থিত থাকতে পারবেন, তাই বাধ্য হলাম আমরা প্রিমিয়ার শো বন্ধ করতে। আশা করি আপনারা প্রতিটা শোকে প্রিমিয়ার শোয়ে রূপান্তরিত করবেন। ১১ই অগস্ট, ‘ভটভটি’র সঙ্গে যে দু’টি বাংলা এবং যে দু’টি হিন্দি সিনেমা রিলিজ় করছে, তাদের হল লিস্ট এবং শো টাইমিং বুক মাই শোতে জ্বলজ্বল করলেও ‘ভটভটি’র জন্য এখনও পর্যন্ত শো-এর সংখ্যা খুবই কম। ‘ভটভটি’র মাল্টিপ্লেক্স পার্টনার আইনক্স। তা সত্ত্বেও তারা এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’টি শো ‘ভটভটি’র জন্য বরাদ্দ করেছে। কোন সিনেমা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ঠিক কতটা উৎসাহ, সেটা বোধ করি আমাদের কলকাতার ‘বাংলা সিনেমা ধ্বংস করো’ কমিটির প্রযোজক, পরিবেশকরা জানেন।পলিটিক্স আর দালালি করে সিনেমার হল আটকান যায়। উন্নত সিনেমা তো আর বানানো যায় না। সেই সিনেমাই আপনারা বানাবেন যা এতদিন ধরে বানিয়ে এসেছেন এবং হায়েনাদের মতো একে-অপরের পিঠ চাপড়াবেন। তাতে দর্শকের কিচ্ছু যায়। আসেনি। তাঁরা বাংলা সিনেমা দেখেননি। আজও দেখবে না। আপনারা হল নিয়ে নোংরা পলিটিক্স করে যান। ডিস্ট্রিবিউটর, হল মালিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, টাকার খেলা খেলে ‘ভটভটি’র রিলিজ়কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেন। সিনেমা আটকাবেন কী করে? শিল্প আটকাবেন কী করে? ওটা তো আর টাকা দিয়ে কেনা যায় না! আর পলিটিক্স করে ম্যানুপুলেটও করে উন্নত সিনেমা বানানো যায় না।ধন্যবাদ বাংলা সিনেমার সম্ভাবনাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য। তবে এখনও নামগুলো বলা বাকি, আজকের পর নামগুলোও লুকোনো থাকবে না।”