Sweta Bhattacharya: সত্যি বলতে মন থেকে ভালবেসে ফেলেছি মানুষটাকে, ‘প্রজাপতি’ র সেটে কাকে মন দিলেন শ্বেতা?

Projapoti: পরিকল্পনা করলে কিছু হয় না। আমি ভীষণ সময়ের সঙ্গে চলতে ভালবাসি। অনেকেই আছেন টলিউডে, সকলেই ভীষণ গুণী।

Sweta Bhattacharya: সত্যি বলতে মন থেকে ভালবেসে ফেলেছি মানুষটাকে, ‘প্রজাপতি’ র সেটে কাকে মন দিলেন শ্বেতা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2022 | 2:26 PM

ছোটপর্দায় দাপটের সঙ্গে ‘যমুনা ঢাকি’ বা ‘জড়োয়ার ঝুমকো’ রাজত্ব করেছে। অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য অধিকাংশের কাছেই এখনও এই চরিত্রদের নামেই পরিচিত। তবে এখন কেরিয়ারে নয়া মোড়। শ্বেতার জীবনে শুরু হতে চলেছে নতুন অধ্যায়। ‘প্রজাপতি’-র হাত ধরে বড়পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে তাঁর। বিপরীতে মিঠুন চক্রবর্তী ও দেব। জীবনে প্রথম বড়পর্দায় কাজের অনুভুতি শ্বেতা ভাগ করে নিলেন TV9 বাংলার সঙ্গে।

ছোটপর্দা ও বড়পর্দার কাজের ধরনে ব্যক্তিগতভাবে কোনও ফারাক চোখে পড়ে?

খুব একটা তফাৎ অনুভব করিনি। কারণ আমি ধারাবাহিক থেকে এসেছি, আর কাজটাকে ভালবেসে করে থাকি। সবটাই তো অভিনয়। তাই কোন ক্ষেত্রে আলাদা, বুঝতে পারি না। তবে একটা কথা ঠিক, কথায় বলে না ধারাবাহিকের চরিত্ররা হারিয়ে যায়, তবে সিনেমার চরিত্ররা থেকে যায়। বার বার ফিরে আসে। এটার জন্যই একটা আলাদা দাপট থাকে বড়পর্দার। তবে অভিনয়টা তো আমার ভীষণ ভালবাসার একটা বিষয়, তাই-ই যে প্ল্যাটফর্মেই সুযোগ আসুক না কেন, আমি প্রাণ ঢেলে নিজের একশো শতাংশ দেওয়ার চেষ্টাই করব।

দেবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

ভীষণ ভাল, খুব ভাল। বড়পর্দায় আমি নবাগতা, সিরিয়াল থেকে এসেছি। দেবদা সুপারস্টার। তা-ও আমাদের সঙ্গে যেভাবে কথা বলেন, যেভাবে সকলের সঙ্গে মিশে গল্প করে কথা বলেন, সত্যিই খুব ভাল লাগে। মজার-মজার কথা বলে হাসানও। উনি যে সুপারস্টার, সেটা তোমায় বুঝতেই দেবেন না।

আর মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা?

এক কথায় অসাধারণ। সত্যি বলতে মন থেকে ভালবেসে ফেলেছি মানুষটাকে। আমিও যেমন ওঁর ভক্ত, ঠিক তেমনই আমার মা-ও। প্রথম যখন ওঁর সঙ্গে কোনও দৃশ্যে অভিনয় করলাম, দেখলাম, উনি এত ভালভাবে বিষয়টাকে বুঝিয়ে দেন, উৎসাহ দেন, প্রশংসা করেন, আমার খুব ভাললাগে। সত্যি বলছি, আমায় এসে উনি বলেছেন, ‘‘তুমি এত ভাল অভিনয় কর, এত ন্যাচারাল অভিনেতা… তোমার ভাল হবে।’’ আমার মাকেও এই একই কথা বলেছেন উনি, ‘‘মনে হয় না ও অভিনয় করছে, যেন মনে হয় ছবির চরিত্রই হয়ে উঠেছে ও।’’ বলে না, যে গাছে প্রচুর ফল থাকে, তা সবসময় নুইয়েই থাকে। উনিও তাই। মাটির মানুষ। সত্যি বলতে মুখে বলে প্রকাশই করতে পারব না তিনি ঠিক কী ধরনের মানুষ।

‘প্রজাপতি’র সেটের পরিবেশ কেমন থাকে?

সত্যি বলতে কি, সকলে মিলে এত আনন্দ করে কাজটা হচ্ছে, তোমায় কী বলব। হাসি, মজা, আড্ডা সব মিলিয়ে-মিশিয়ে একাকার। সঙ্গে চলছে খাওয়া-দাওয়া। মিঠুন আঙ্কল তাঁর জার্নিটা নিয়ে মাঝেমধ্যেই কত কথা বলেন। জানো, আমায় নেচে-নেচে দেখান তাঁর স্পেশ্যাল স্টেপগুলো। এত বড়-বড় স্টারের সঙ্গে কাজ করছি, এক-এক সময় ভুলেই যাই।

তুমি বললে খাওয়া-দাওয়ার কথা, সেটে সব থেকে বেশি পেটুক কে?

এই রে…। দাঁড়াও বলছি। মিঠুন আঙ্কল খুব খাওয়াতে ভালবাসেন। সন্ধে হলেই তিনি বড় একটি বাটিতে মুড়ি মাখাতে বলেন। সকলকে সেই মুড়ি খাওয়ান। যাকেই পান তাঁকে বলেন, ‘‘খাও খাও, মুড়ি খাও। মুড়ি খাও।’’ আমি আরও একটা সিক্রেট জানি। মিঠুন আঙ্কল ভীষণ ভাল রান্না করেন। আর দেবদা এখন একটু ডায়েটে রয়েছেন। সেই কারণেই পরিমাণে বিরাট কিছু খাবার খান তিনি, এমনটা নয়। খাওয়া নিয়ে এই আড্ডাটা আসলে মিঠুন আঙ্কলের সঙ্গেই হয়ে থাকে। তাই দেবদার বিষয়টা খুব একটা জানা নেই। আর আমি খুব মুডি। একদিন মনে হল ডায়েট করব, করলাম, কিছু খেলাম না। আবার একদিন বিরিয়ানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। একটা ছোট গল্প বলি তোমায়। আমার দুর্ভাগ্যের বিষয় আমার বাড়ির নিচেই রেস্তোরাঁ। আমি দু’দিন আগেই ভাবলাম ২ কেজি বেড়ে গিয়েছে ওজন কমাতে হবে। গন্ধ পেলাম পোলাওয়ের। আনিয়ে নিলাম।

টলিউডে বিশেষ কারোও সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে আছে?

পরিকল্পনা করলে কিছু হয় না। আমি ভীষণ সময়ের সঙ্গে চলতে ভালবাসি। অনেকেই আছেন টলিউডে, সকলেই ভীষণ গুণী। তবে বুম্বাদার সঙ্গে কাজ করাটা আমার কাছে ভাগ্যের। আবিরদা আছেন, যিশুদা আছেন। আলাদাভাবে কিছু ভাবিনি, জানো তো। সত্যি বলছি। এর আগেও আমার কাছে প্রস্তাব এসেছে। আমি তখন ‘যমুনা ঢাকি’ করছিলাম। সেই কারণেই প্রস্তাব ফিরিয়েছিলাম। আমি সত্যিই এই প্রজেক্টের প্রতি কৃতজ্ঞ। ‘প্রজাপতি’ আমার কাছে এক নতুন দরজা।

‘প্রজাপতি’র প্রস্তাব না পেলে কি আবারও মেগা-ই করতেন?

এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলি। আমার কাছে অনেক প্রস্তাব এসেছে। তবে আমি তা গ্রহণ করিনি, কারণ আমি মেগার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এই ধন্যবাদটা আমি অতনুদাকেই (অতনু রায়চৌধুরী) দেব, যে উনি আমায় এই চরিত্রের জন্য ভেবেছেন এবং বড়পর্দায় আসার সঠিক সময় সঠিক সুযোগটা করে দিয়েছেন। এখন আমি বড়পর্দা নিয়ে ভাবছি এবং ভাবতে পারছি শুধুমাত্র তাঁর জন্যই।

কেরিয়ারটা তো গুছিয়ে ফেললেন। এবার ব্যক্তিগত জীবন—সেখানে নতুন কেউ এল?

বলব? বলেই ফেলি। তবে খুব বেশি কিছু জিজ্ঞেস করো না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে জীবনে একজন বিশেষ ব্যক্তি রয়েছেন। তবে বাকিটা ব্যক্তিগত (হাসি)।