‘আবার এসেছি ফিরিয়া…’, উডবার্ন ওয়ার্ড থেকেই লাইভে কবীর সুমন, সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ

তাঁর মতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে তিনি থেকেছেন তবে স্নেহের ছোঁয়া বঙ্গেই বেশি। তাঁর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল অনেক বেশি মানবিক স্পর্শে এগিয়ে আছে। পাশ্চাত্য দেশে একটা পেশার আস্তরণ রয়েছে। এখানে আত্মীয়তা রয়েছে।"

'আবার এসেছি ফিরিয়া...', উডবার্ন ওয়ার্ড থেকেই লাইভে কবীর সুমন, সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ
কবীর সুমন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2021 | 8:49 PM

আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন কবীর সুমন। বৃহস্পতিবার এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকেই লাইভে আসেন তিনি। স্বাস্থ্যের বর্তমান আপডেট দেন। ভূয়সী প্রশংসা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। লাইভের মাঝেই তানপুরার উপস্থিতিতে তান ভাঁজতেও দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি চিকিৎসক দিবসে যে সব চিকিৎসক এবং চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত মানুষ বর্তমানে তাঁর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “রবিবার ঢোক গিলতে পারছিলাম না, খাবার খাওয়া তো দূরের কথা। অন্যান্যা সমস্যা ছিল না। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এর পরেই বাড়ির বাইরে গিয়ে চিকিৎসা। এসএসকেএম হাসপাতালে আসি।”

সোমবার ভোররাত থেকে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। সুমন জানান, ভর্তির পর থেকেই অসামান্য তৎপরতায় শুরু হয়েছিল তাঁর চিকিৎসা। অনেকটাই ভাল রয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর কথায়, এর মূলে রয়েছেন চিকিৎসক বন্ধুরা। তাঁদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি যোগ করেন, কখনও মুখে মলিনতা নেই। হাসি ছাড়া কিচ্ছু নেই। সস্নেহে কাজ করে যাচ্ছেন। এই স্নেহের জায়গাটা বড় চমৎকার।”

তাঁর মতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে তিনি থেকেছেন তবে স্নেহের ছোঁয়া বঙ্গেই বেশি। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল অনেক বেশি মানবিক স্পর্শে এগিয়ে আছে। পাশ্চাত্য দেশে একটা পেশার আস্তরণ রয়েছে। এখানে আত্মীয়তা রয়েছে।” এই আন্তরিকতার পিছনে অবশ্য রাজ্য সরকারের ভূমিকাকেই কৃতিত্ব দিতে চাইছেন তিনি। তাঁর মতে এই ‘পরিবর্তন’ সম্ভব হয়েছে রাজ্য সরকারের জন্যই।

আরও পড়ুন-‘প্রিয়…তোমায় কী ভীষণ মিস করছিলাম’, কার উদ্দেশ্যে আলিয়ার এই ভালবাসার বার্তা? 

প্রসঙ্গত, রবিবার ভোররাতে কবীর সুমন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দিনই অর্থাৎ সোমবার বিকেলে তাঁকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। এ দিন লাইভ চলাকালীন শোনা যায় পেছনে একটানা তানপুরা বাজছে। সে প্রসঙ্গে গায়কের বক্তব্য, “গুণগুণ করে সুর ভাঁজছিলাম। যখন পুরোপুরি পারব তখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাব। নিজের রাগ গাইব…খেয়াল আমাকে গাইতেই হবে। বাংলা ভাষা থাকবে যদি মমতা থাকেন। মমতা আসেন সেটাই ভরসা। এই যে বাংলা খেয়াল গাইতে পারছি তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান।”