Ballavpurer Rupkotha: বন্ধ ঘর ঘিরে কীসের জল্পনা? ছবির সেটেও কী তবে বাঙালি ভূতের উপদ্রব?

Untold Story: ঘরটির বিবরণ দিয়ে ছবির অভিনেতা সত্যম জানান, ঘটি দরজা খোলার পর যে ছবি দেখা গিয়েছিল তা দেখে এটা বিশ্বাস করতে কোথাও অসুবিধা হয় না যে এটি ১০০ বছর সত্যিই বন্ধ ছিল।

Ballavpurer Rupkotha: বন্ধ ঘর ঘিরে কীসের জল্পনা? ছবির সেটেও কী তবে বাঙালি ভূতের উপদ্রব?
Follow Us:
| Updated on: Oct 18, 2022 | 7:53 PM

জয়িতা চন্দ্র

বল্লভপুরের রূপকথা, বাদল সরকারের লেখা এই নাট্যগল্প কম বেশি অনেকেরই জানা। এবার সেই মজার বাঙালি ভূতের কাহিনিকে বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের পরিচালক পরিচয়টাই এক্ষেত্রে  এগিয়ে রাখা ভাল। মন্দার-এর পর বড় পর্দায় তার প্রথম পরিচালনা। নাট্যমঞ্চের খুব পরিচিত এই মানুষটি দীর্ঘদিন বড়পর্দায় নানা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে এসেছেন। তবে কেবল পর্দার সামনে নয়, পর্দার পিছনের দায়িত্বটাও নিজে কাঁদে তুলে নিতে চেয়েছিলেন বরাবর। সেই স্বপ্নপূরণেই তৈরি মন্দার। এরপরই এক বড় প্রজেক্ট নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন অনির্বাণ- বল্লভপুরের রূপকথা। হই হই করে শুরু হয়ে যায় শুটিং। ছবির টিত্রনাট্য থেকে শুরু করে ছবির কাস্ট, ব্যকস্টেজের মানুষেরা, সব ক্ষেত্রেই থিয়েটার জগতের সঙ্গে এক নিপুন সম্পর্ক বর্তমান। আর যেখানে গল্পের বিষয় সেই থিয়েটার মঞ্চ থেকে তুলে আনা, বল্লভপুরের রূপকথা, সেখানে এই ছবিতে দর্শকদের মনে যে প্রথম থেকেই কৌতূহলের সঞ্চার করবে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

রীতিমতো অডিশন দিয়ে ছবিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সত্যম ভট্টাচার্য। এরপর শুরু হয় ছবির কাজ। নদীয়ার করিমপুরে একটি বাড়িকে বেছে নেওয়া হয় শুটিংয়ের জন্য। ছবির গল্পের মত বাড়িটাও প্রায় বিপদজনক। ১০০ বছরের বেশি পুরনো এই বাড়ির এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা জানা-অজানা ইতিহাস। ছড়িয়ে রয়েছে নানা আজগুবি গল্প। বাঙালি ভূতের ছবির শুটিং করতে গিয়ে তেমনই এক গল্প বারে বারে কানে উঠে আসতে থাকে সকলের। বাড়িটিতে ছিল একটি বন্ধ ঘর। যার দরজা নাকি ১০০ বছরেও খোলা হয়নি। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে সেই ঘরের নাকি রয়েছে একাধিক রহস্য। বাঙালি ভূত তথা ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র রঘু ডাকাত কি তাহলে সেখানেই ঠাঁই নিয়েছে? কৌতুহলবশত অভিনেত্রী সুরঙ্গনা পা বাড়ায় সে ঘরের দিকেই, জানান তিনি ভূতে ভয় পান না। তাই কানে যে গুজগুবি গল্পই আসুক না কেন তিনি খুব একটা তোয়াক্কা না করেই পর্যবেক্ষণ করতে চলে গিয়েছিলেন ঘরটিতে। খুব একটা অসুবিধাও হয়নি তাতে। অন্যদিকে সুরঙ্গনা এটি বলতেও পিছপা হননি, ভয় তার ভূতে নয়, ভয় তার মানুষে।

অন্যদিকে ঘরটির বিবরণ দিয়ে ছবির অভিনেতা সত্যম জানান, ঘটি দরজা খোলার পর যে ছবি দেখা গিয়েছিল তা দেখে এটা বিশ্বাস করতে কোথাও অসুবিধা হয় না যে এটি ১০০ বছর সত্যিই বন্ধ ছিল। ঘরের ভেতর প্রচুর বাদুড়ের বাস। তাদের তাড়াতে হয়েছিল, যার ফলে দেওয়ালে বেশ কিছু অংশ এক অন্যরকম নকশায় পরিণত হয়। জানলার আশপাশের অংশ ইটের গাঁথুনি দিয়ে ঢাকা, এছাড়াও ঘরের অবস্থা ছিল বেশ রহস্যময়। সেখানেই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ সিকোয়েন্স শুট করা হয়। সত্যম আরও বলেন, একটা স্থানে শুটিং হলে এত বেশি লাইট কাস্ট আরও সদস্য, সমস্ত তামঝাম শুরু হয়ে যায়, যে ভূত থাকলেও খুব একটা মালুমের অবকাশ থাকে না। তখন সকলের কাছেই শর্টটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে ঘর নিয়ে যাই রহস্য থেকে থাকুক না কেন, শুটিং সেটে শুটের সময় তাঁদের কোন সমস্যাই হয়নি। তবে একটু ভেবে বলতে গেলে ঘরটি নিঃসন্দেহে বেশ রহস্যজনক এবং সকলের মধ্যেই ঘরটি ঘিরে একাধিক কৌতুহল জমা হয়েছিল। পর্দার পিছনের গল্পটা ঠিক যতটা মজার, পর্দার সামনের গল্পটাও ঠিক ততটাই সযত্নে জানান, ভূত চতুর্দশীতে এবার বাঙালি ভূতের রাজত্ব পর্দায়।