Happy Children’s Day: করোনাকালে ছোটদের জন্য বিনোদন নেই কেন? পরিচালকরা বললেন…
পারতেন না কি পরিচালক কিংবা সিনেমা নির্মাতার এমন কোনও বিনোদনের রসদ জোগাতে, যা অনায়াসেই মন ভাল দিতে পারে শিশুদের মন?
করোনাকালে ছোটদের স্কুল বন্ধ, বিনোদনও বন্ধ। ১৫ নভেম্বর থেকে কিছু ক্লাসের জন্য ফের খুলছে স্কুল। প্রায় গত দু’বছর ধরে অনলাইন ক্লাস করে চলেছে তারা। শৈশব বন্দি হয়েছে স্ক্রিনের পর্দায়। বেজায় মিস করছে বন্ধুদেরও। আর খেলাধুলো, সে তো কোনকালেই ইতি। নিদেনপক্ষে ক্লাসরুমে পাশাপাশি বসে পড়াশোনা, টিফিন শেয়ার করে খাওয়া, সবটাই গিয়েছে থেমে। মনমরা দশা ছোট্ট প্রাণের। এই অবস্থায় ছোট্ট মুখে হাসি ফোটানো যেত না কি! পারতেন না কি পরিচালক কিংবা সিনেমা নির্মাতারা এমন কোনও বিনোদনের রসদ জোগাতে, যা অনায়াসেই ভাল করে দিতে পারে শিশুদের মন? এ বিষয়ে শিশু দিবসে TV9 বাংলার সঙ্গে কথা বললেন সন্দীপ রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়।
সন্দীপ রায়: করোনাকালে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ বন্ধ ছিল বহুকাল। ছোটদের জন্য প্রিন্টেড জিনিস বেরিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় ওয়েব মাধ্যমে চিন্তাভাবনা কিছুটা হলেও করা যেতে পারত। কেননা, ছোটদের হাতেও এখন মোবাইল রয়েছে। তারাও এই বিনোদনের রসদ পেতে পারত। ফলত, একথা সত্যি ছোটদের জন্য সেরকমভাবে উল্লেখযোগ্য কোনও কাজই হয়নি। সে ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আমি একমত। আমার মনে হয় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে ছোটদের জন্য নিশ্চয়ই কিছু না কিছু হবে। আমি তো বরাবরই ছোটদের কথা ভেবেই কাজ করেছি। অধিকাংশ কাজই তাই। আমার আরও পরিকল্পনা আছে ছোটদের জন্য।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়: ছোটদের জন্য সত্যি সেরকমভাবে কিছু তৈরি হয়নি। কারণ, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে ধরেই নেওয়া হয়, সেখানে মেল ভিউয়ার বেশি। ফলে যে ধরনের কনটেন্ট তৈরি হয়, পুরুষদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়। সেটাই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্যারামিটার। ফলে বাচ্চাদের কনটেন্ট সেভাবে তৈরি হয় না ওটিটিতে। দ্বিতীয়ত, বাচ্চাদের জন্য যে কিছু তৈরি করব, সেটা তো তাঁদের দেখতে হবে। কোথায় দেখাবো সেই কনটেন্ট? স্যাটেলাইট বাচ্চাদের কনটেন্ট কেনে না, ওটিটি বাচ্চাদের কনটেন্ট কেনে না। থিয়েটারে আমি দেখালে বাচ্চারা যাবে না। তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়ায় অনেক বিধি নিষেধ রয়েছে। বাবা-মায়েরাই নিয়ে যাবেন না বাচ্চাদের। ফলে কোথায় দেখানো হবে তাঁদের? এটা তো একটা বড় প্রশ্ন।
সুদেষ্ণা রায়: বাচ্চাদের জন্য এন্টারটেনমেন্ট সেভাবে কোনওদিনই হয়নি। বাচ্চাদের জন্য ছবি করার মতো প্রযোজক পাওয়া যায় না। তাছাড়া, বাচ্চারা বেশি কার্টুন দেখে। তাদের জন্য সেরকমভাবে সিরিজও তৈরি হয়নি। কারণ নির্মাতারা মনে করেন সেই কনটেন্ট থেকে টিআরপি আসে না। বাচ্চাদের জন্য আমরা কিন্তু চিত্রনাট্য লিখে বসেও আছি। প্রযোজক পেলেই করব। তাছাড়া, বাচ্চাদের জন্য কিছু করতে গেলে টাকাপয়সা নিতে চিন্তা করতে হয়। করব বললেই হয় না। এর জন্য বড় বাজেট দরকার। গত বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সার্ভাইভ করার চেষ্টা করছিল। প্রথমত শুটিং বন্ধ ছিল। তারপর যখন শুটিং খুলল, হল বন্ধ ছিল। তাই ওইভাবে, আমাদের কিছু করা উচিত ছিল বলা সহজ, কিন্তু করা সহজ নয়।
আরও পড়ুন: Soumitra-Poulami: ‘‘কাজ করে বাপিকে ট্রিবিউট দিচ্ছি, এটাই তিনি চাইতেন’’: পৌলমী