Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার ওই হাসিটুকুর জন্য আমি আরও সহস্রবার হারতে রাজি আছি: সব্যসাচী চৌধুরী

এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সব্যসাচী। ভিডিয়োটি মাস ছয়েক আগের। যে সময় দ্বিতীয়বার ক্যানসার থাবা বসিয়েছে ঐন্দ্রিলার শরীরে। হাসপাতাল-বাড়ি-হাসপাতাল করেই কাটছে দিন।

Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার ওই হাসিটুকুর জন্য আমি আরও সহস্রবার হারতে রাজি আছি: সব্যসাচী চৌধুরী
এক সুন্দর ভালবাসার গল্প, প্রেমে থাকা দুই মানুষের আখ্যান।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2021 | 8:01 PM

এক সুন্দর ভালবাসার গল্প, প্রেমে থাকা দুই মানুষের আখ্যান। যে প্রেমে ভেজাল নেই, আছে নির্ভরতা, পাশে থাকার অনর্গল উৎসাহ। সব্যসাচী চৌধুরী ও ঐন্দ্রিলা শর্মা। এতদিনে নেটিজেনদের নজরে সেরা জুটির তকমা ওঁরা পেয়েছেন। না পেলেও যদিও ক্ষতি ছিল না। ঐন্দ্রিলার এক টুকরো হাসি দেখার জন্য হারতে রাজি সব্যসাচী। প্রেমিকার ক্যানসারের অস্ত্রোপচারের পর তাঁর আবদারে অনভ্যস্ত পায়ে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে নাচতেও পিছপা হন না তিনি। নাই বা হল সে নাচ ‘নায়কসুলভ’, তাতে মিশে থাকে প্রেম, মিশে থাকে ভালবাসা।

এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সব্যসাচী। ভিডিয়োটি মাস ছয়েক আগের। যে সময় দ্বিতীয়বার ক্যানসার থাবা বসিয়েছে ঐন্দ্রিলার শরীরে। হাসপাতাল-বাড়ি-হাসপাতাল করেই কাটছে দিন। ডাক্তার লিখে দিয়েছে রেডিয়েশনের ডোজ, অস্ত্রোপচারের তারিখ। সেই মতোই চলছে চিকিৎসা, হয়েছে অস্ত্রোপচারও। এমন সময়েই কোনও এক মাঝরাতে নাচ-পাগল মেয়েটার নাচতে ইচ্ছে করেছিল খুব। শরীর ক্লান্ত, একরাশ চুলে তখন কেমোর হানা, কিন্তু মন তো ক্লান্ত নয়। তাই প্রেমিককে জড়িয়েই বাড়িতে ছাপোষা পোশাকে শুরু হল বল ডান্স। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন বাজছে ‘দিল দিয়া গাল্লা…’।

সব্যসাচী লিখছেন, “ভিডিওটি প্রায় ছয় মাস আগে ওর মায়ের ফোনে তোলা, সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে তখন, ভালো করে হাঁটার ক্ষমতা নেই অথচ মাঝরাতে উনি নাচবেন। আমরা দুজন একেবারেই ভিন্ন মেরুর মানুষ। ছোট থেকেই ও নৃত্য পটিয়সী, আর এদিকে নাচের বিষয়ে আমার দুটি ঠ্যাঙই অকেজো। গান চালিয়ে বললো, ‘আমি অসুস্থ হলেও তোমায় ঠিক হারিয়ে দেব”। হারতেই তো চেয়েছিলেন সব্যসাচী। এই হারায় সুখ খুঁজে পেয়েছিলেন কবেই। আরও লিখেছেন, “হেহে, আমি তো কবেই হেরে গেছি। তবে এই হাসিটুকুর জন্য আমি আরও সহস্রবার হারতে রাজি আছি।” সব্যসাচী হারতে চেয়েছেন। কিন্তু নেটিজেনদের চোখে, ঐন্দ্রিলার চোখে তাঁর জিৎ হয়েছে বহু আগেই। কী বলা যায় তাঁকে? ‘বাজিগর’? কারণ, ‘হার কর জিতনে ওয়ালোকো…’, কী যেন বলেছিলেন ‘রোম্যান্স খান’?