AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tarun Majumdar Death: ‘সারাজীবন শুধু কাজ আর শিল্পী তৈরি করেই কেটে গেল মানুষটার’, কাঁদতে কাঁদতে বললেন সন্ধ্যা রায়

Tarun Majumdar Death: পরিচালক তরুণ মজুমদার প্রয়াত, স্ত্রী সন্ধ্যা রায়কে টিভিনাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী... এত দিনের বন্ধন... এত দিনের সংসার... এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তিতে প্রতিবেদকের সামনেও বাঁধ মানল না চোখের জল...

Tarun Majumdar Death: 'সারাজীবন শুধু কাজ আর শিল্পী তৈরি করেই কেটে গেল মানুষটার', কাঁদতে কাঁদতে বললেন সন্ধ্যা রায়
কেঁদে ফেললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী... এত দিনের বন্ধন... এত দিনের সংসার... এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তিতে প্রতিবেদকের সামনেও বাঁধ মানল না চোখের জল...
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 1:12 PM
Share

দীর্ঘদিনের সঙ্গী তিনি… সুখ-দুঃখকে একসঙ্গে লালন করেছেন তাঁরা। বৈবাহিক জীবনের নানা টানাপোড়েনের সাক্ষীও ছিলেন তাঁরাই। স্বামীর অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালেও। কিন্তু পরিচালক তরুণ মজুমদার আর ফিরে এলেন না। স্ত্রী সন্ধ্যা রায়ের সঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী… এত দিনের বন্ধন… এত দিনের সংসার… এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তিতে প্রতিবেদকের সামনেও বাঁধ মানল না চোখের জল…

সন্ধ্যা রায় যা বললেন… 

“মানুষটাকে দেখেছি অত্যন্ত কাছ থেকে। আদ্যপান্ত সহজ সরল একজন মানুষ। কাজের প্রতি এত নিষ্ঠা ভালবাসা আর ক’জনের আছে? কাজ ছাড়া অন্য কিছুই চিন্তা করতে দেখিনি কোনওদিন। শুধু কাজ আর কাজ… আর একের পর এক শিল্পী তৈরি করা। জীবনের অনেক মুহূর্ত কেটে গিয়েছে এভাবেই। খাওয়াদাওয়া, আনন্দ করা কিছুই ছিল না তাঁর জীবনে। শুধু কাজ আর কাজ… সারাজীবন ধরে শুধু কাজ করেই গেলেন তিনি। বিগত বেশ কিছু বছরে সেই কাজের ঢেউ বদলে গেল। তাই হয়তো কম অফার পেয়েছেন। আমি আশা করিনি এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। আমি আর কিছু বলতে পারছি না… আর কিছু বলার নেই আমার… উনি আর নেই!”

সোমবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক। ভক্তদের উৎকণ্ঠা, প্রিয়জনদের হাসপাতালে রাত্রিযাপনের অবসান ঘটিয়ের ‘ভালবাসার বাড়ি’ ছেড়ে তিনি চলে গেলেন ‘চাঁদের বাড়ি’তে, যেখান থেকে আর ফেরা যায় না। রয়ে গেল তাঁর নানা কীর্তি। রয়ে গেলেন তাঁর অগণিত ভক্ত।

কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই। একই সঙ্গে দোসর হয়েছিল সেপ্টিসেমিয়াও। ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। গঠন করা হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ডও। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেনও তিনি। সুস্থ হয়ে উঠছিলেন ক্রমশ। ট্র্যাকিওস্টোমি হওয়ার কারণে কথা বলতে পারছিলেন না। তবু হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই লিখেছিলেন, ‘ছবি কিন্তু হবে’। সে ছবি আর হল না। রবিবার থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অনতি ঘটতে থাকে। রাখা হয় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। সোমবার সকাল থেকেই মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। শরীরে বেড়ে যায় অ্যাসিডের মাত্রাও। বেলা গড়াতেই তিনি ছেড়ে চলে যান এই নশ্বর দুনিয়া।