মন যা বলে তাই করুন, এমনিও সমালোচিত হবেন: যশ
রবিবার নিজের দুটি ছবি পোস্ট করেছেন যশ। যার একটি ক্যাপশন বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ।
সমালোচনা– গত বেশ কয়েক মাস ধরে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর দৈনন্দিন জীবনের ডিকশনারিতে যুক্ত হয়েছে এই শব্দ। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলছে স্ক্রুটিনি। তাঁর সঙ্গী ও বিশেষ বন্ধু নুসরত জাহানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও চলছে একের পর এক বিশ্লেষণ। কেউ চাইছেন কৈফিয়ত আবার কেউ বা করছেন ট্রোল। নুসরত মা হয়েছেন সদ্য। সঙ্গে রয়েছেন যশ। এদিকে ইনস্টাগ্রামেও চলছে একের পর ছবি পোস্ট। ছবি প্রায়শই তিনি পোস্ট করেন। এতে নতুন কী? নতুন হল তাঁর ইঙ্গিতবহ ক্যাপশনগুলি।
রবিবার নিজের দুটি ছবি পোস্ট করেছেন যশ। যার একটি ক্যাপশন বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। কী লিখেছেন অভিনেতা? যশ লিখছেন, “যা আপনার ঠিক বলে মনে হয় , মন যা বলে তাই করুন। এমনিও সমালোচিত হবেন”। সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার দিকেই কি আঙুল যশের? উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে যশ যখন ইনস্টায় একের পর এক ছবি পোস্ট করছেন তখন রবিবার দুপুরে দুটো কাপের ব্যুমেরাং ছবি ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে শেয়ার করেছেন নুসরত। ‘রেন, কফি অ্যান্ড মোর…’। বৃষ্টিভেজা ছুটির দিনে কফির কাপ তাঁর সঙ্গী। মোর বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি। যদিও সূত্র বলছে নুসরতকে দেখতে হাসপাতালে হাজির যশ। গত বৃহস্পতিবার, ২৬ অগস্ট, মাদার টেরেসার জন্মদিনের দিনই, পার্কস্ট্রিটের একটি হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন নুসরত। সূত্রের খবর, সন্তানের নাম রেখেছেন ‘ঈশান’। যার ইংরেজি বানান ‘Yishaan’। নুসরতের ডেলিভারি পর্বে সারাক্ষণ অভিনেতা যশ তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। তাঁকে তিনিই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। হাসপাতালে ছিলেন নুসরতের পরিবারের সদস্যরাও। ছেলের নাম কি যশের (Yash) নামের সঙ্গে নাম মিলিয়ে রাখলেন নুসরত? না! এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। মুখ খোলেননি যশও। যদিও সন্তান জন্মাবার পর যশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নুসরত ও সদ্যোজাত ভাল আছে।
View this post on Instagram
নুসরতের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন নিঃশব্দে ঘটেছিল বেশ কিছু ঘটনা। যেন রিয়েল লাইফ চিত্রনাট্য। যুক্ত হয়েছিল সাসপেন্স, উত্তেজনা আরও কত কী…নুসরত যে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হবেন এ কথা আগে থেকেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু কখন, সে প্রশ্নই উঠে আসছিল বার বার। সন্ধে নামতেই নুসরতের নীল বাতির গাড়িতে নুসরতকে নিয়েই তাঁর বাড়ি ছাড়তে দেখা যায় যশকে। যশই চালাচ্ছিলেন গাড়িটি। বেশ কিছুক্ষণ নিজেরা সময় কাটিয়ে নুসরতকে নিয়ে যশ চলে যান তাঁর বাড়িতে। সেখানে যশের মা থাকেন। শুভকাজে যাওয়ার আগে একবার সাক্ষাৎ?
রাত গভীর হতেই যশকে সঙ্গী করে নুসরতের গাড়ি ছোটে শহরের সেই নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে ভূমিষ্ঠ হয়েছে ঈশান। পেছনে আরও এক গাড়ি। হাসপাতালে পৌঁছতেই নুসরতের গাড়ি যখন ঘিরে ধরেন ফোটোশিকারিরা, অপেক্ষা করেন তাঁর একঝলক ফ্রেমবন্দী করার ঠিক তখনই অদ্ভুত এক কাণ্ড… ওই কালো কাচের গাড়ি থেকে নামলেন না নুসরত, নামলেন না যশও। অনুমান করা হয়েছিল পাপারাৎজির থেকে নিজেদের আড়াল করতেই হাসপাতালের ব্যাক ডোর দিয়ে অন্য এক গাড়ি করে হাজির হয়েছিলেন ওঁরা। প্রথম থেকেই নুসরতের প্রাইভেসিকে সম্মান জানিয়েছেন যশ। টিভিনাইন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “‘সব কিছু ভালোয়-ভালোয় মিটুক, তারপর সবাই সব কিছু জানতেই পারবে। এখন ওকে একটু একা ছেড়ে দেওয়াই ভাল।”