Drink for bad cholesterol: শরীরে জমে থাকা নোংরা কোলেস্টেরল সাফ হবে এই ৫ পানীয়র জাদুতেই
Drinks for high cholesterol: কোলেস্টেরল বাড়লে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে তা চট করে টের পাওয়া যায় না
কোলেস্টেরলল হল একরকম মোমের মত পদার্থ। যা শরীরের কোষেই জমা থাকে। শরীরে হরমোনের নানা ক্রিয়া কলাপের উপরও ভূমিকা থাকে কোলেস্টেরলের। শরীরে ভাল আর খারাপ এই দুই রকমই কোলেস্টেরল থাকে। কোলেস্টেরল ধমনীতে জমতে শুরু করলে তখনই বিপত্তি। কারণ তা শরীরে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই চাপ পড়ে হৃৎপিণ্ডের উপর। কোলেস্টেরল বাড়লেই সেখান থেকে হার্ট অ্যার্টাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে যায়।
কোলেস্টেরল বাড়লে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে তা চট করে টের পাওয়া যায় না। যদিও শরীরে নানা উপসর্গ আগে থেকেই দেখা দেয়। অধিকাংশ মানুষই এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন নন। যদি রক্তচাপ অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় সেই সঙ্গে বুকে ব্যথা, ওবেসিটি, পায়ে ব্যথা, ফুসকুড়ির সমস্যা এবং অতিরিক্ত ঘাম হয় তাহলেই কিন্তু সচেতন হতে হবে। কোলেস্টেরল বাড়ছে কিনা তা বোঝার একমাত্র উপায় হল নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। প্রয়োজনীয় রক্তপরীক্ষা, রোজকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস-এসবে পরিবর্তন আনতেই হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য এবং নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে নানা রকম ঝুঁকি বাড়বেই। যে কারণে নিজেদের আগে থেকেই সাবধান হয়ে যেতে হবে। আর তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সব নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি চুমুক দিন কিছু পানীয়তে।
সোয়া মিল্ক
সোয়া মিল্ক আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। সোয়া মিল্ক অন্য দুধ বা ক্রিমের তুলনায় অনেক ভাল। হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও নিয়ম করে এই সোয়াবিনের দুধ খাওয়া প্রয়োজন। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর তরফে যেমন বলা হয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে এই দুধে। যে কারণে প্রতিদিন ২৫ গ্রাম করে সোয়া প্রোটিন খাওয়া যেতেই পারে।
টমেটোর জুস
টমেটোর মধ্যে থাকে লাইকোপোপিন নামের একটি যৌগ। যা আমাদের শরীরে লিপিডের মাত্রা ঠিক রাখে। এছাড়াও এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে টমেটোর জুস। সেই সঙ্গে নিয়াসিনের খুব ভাল উৎস হল টমেটো। যে কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই পাতে রাখতে পারেন এই টমেটোর জুস।
ওটস
দুধ বা দই দিয়ে নিয়ম করে ওটস খেতে পারলেও খুব ভাল। ওটসের মধ্যে রয়েছে বিটা গ্লুকান, যা অন্ত্রে জেলির মত পদার্থ তৈরি করে। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। ওটস, সোয়া মিল্ক, ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে মিল্ক শেক বানিয়েও খেতে পারেন। এতে খেতে ভাল লাগবে সেই সঙ্গে শরীরের জন্যেও ভাল।
গ্রিন-টি
গ্রিন টি এর মধ্যে রয়েছে ক্যাটেচিন, এপিগালোকাটেচিন গ্যালেট এবং অন্যান্য উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এবং সর্বমোট কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৫৬ দিন ধরে এই গ্রিন টি ইঁদুরের শরীরের উপর প্রয়োগ করা হয়। এরপর তার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও আগের তুলনায় কমেছে।
কোকো পানীয়
চকোলেট বা কোকো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। সেই সঙ্গে এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্ল্যাভিনয়েডস। থাকে উচ্চমাত্রার মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকোলেটের অন্যতম উপাদান হল কোকো। আর তাই ডার্ক চকোলেটের কোনও পানীয় কোলেস্টেরলের জন্য ভাল। কিন্তু তার মধ্যে কোনও রকম শর্করা বা ক্যালোরি থাকা চলবে না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।