Spice for Diabetes: আয়ুর্বেদ কিংবা ওষুধ নয়, হেঁশেলের এই গরমমশলাই কিন্তু ব্লাড সুগারের যম!
How to control high blood sugar naturally: সুগার যদি বাড়তে থাকে তাহলে হার্ট, কিডনি, চোখ এবং নার্ভের উপরও তার প্রভাব পড়ে। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস শরীরে আরও রোগ-সমস্যা ডেকে আনে
বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত থাবা বসিয়েছে ডায়াবেটিস। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই এখন আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তখনই ডায়াবেটিস হয়। অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় ইনসুলিন হরমোন। যখন এই হরমোন কম পরিমাণে তৈরি হয় বা একেবারেই তৈরি হয় না তখনই ডায়াবেটিস হয়। অনেকের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ইনসুলিন দিতে হয় অনেকের আবার ওষুধেই কাজ হয়ে যায়। তবে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। কখনই কিন্তু পুরোপুরি সারে না। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সব সময় উপসর্গ যে দেখা দেয় এমন কিন্তু নয়। রোজকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
সুগার যদি বাড়তে থাকে তাহলে হার্ট, কিডনি, চোখ এবং নার্ভের উপরও তার প্রভাব পড়ে। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস শরীরে আরও রোগ-সমস্যা ডেকে আনে। ক্লান্ত লাগলে, খিদে না থাকলে, যদি কোনও ঘা বেশিদিন ধরে থেকে যায় তাহলে প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ওষুধ আর ইনসুলিন ছাড়া গতি নেই তবে একটানা ইনসুলিনও কাজের কথা নয়। আর তাই হোমিওপ্যাথ বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্মিতা ভোইর পাটিল দিচ্ছেন বিশেষ পরামর্শ।
প্রত্যেকেরই রান্নাঘরে থাকে দারুচিনি। ওজন কমানো থেকে সুগার নিয়ন্ত্রণ খুব ভাল কাজ করে দারুচিনি। দারুচিনির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণেই তা এত ভাল কা করে। তবে তার আগে জেনে রাখুন শরীরে ঠিক কতটা পরিমাণ চিনি থাকা প্রয়োজন-
একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা 100 mg/dl-এর কম হওয়া উচিত। শর্করার মাত্রা সব সময় 80-130 mg/dl-এর মধ্যে হওয়া উচিত। খাওয়ার ২ ঘন্টা পর রক্তে শর্করার মাত্রা যেন ১৪০ mg/dl এর কম হয়। এই মাত্রা ১৮০ ছাড়িয়ে গেলেই খুব মুশকিল। তিন মাসে রক্ত শর্করার গড় মাত্রা A1C -একজন সুস্থ মানুষের মধ্যে ৫.৭ শতাংশের কম হওয়াই ভাল।
ডায়াবেটিসের মূল কারণ হল জীবনযাত্রা। অতিরিক্ত পরিমাণ জাঙ্ক ফুড খাওয়া, মিষ্টি খাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা, এক জায়গায় বসে কাজ করলেই সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে হরমোনের সমস্যায় ভুগলে , PCOS-এর মত সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও সুগার বেড়ে যায়। অনেকের পারিবারিক ইতিহাসেও থাকে ডায়াবেটিস।
দারুচিনির উপকারিতা
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে যে কোনও জয়েন্টের ব্যথা কমায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ডায়াবেটিসে যে ভাবে খাবেন দারুচিনি
রোজ রাতে দারুচিনি একগ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে খান। এছাড়াও দারচিনি গুঁড়ো জলে ফুটিয়ে ছেঁকে খেতে পারেন। এছাড়াও চা-বানিয়ে নিতে পারেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।