Increase Sperm Count: স্পার্ম কাউন্ট কম হলে বুঝবেন কীভাবে? এই ৫ অভ্যাসকে দূরে রাখলেই বাড়বে কোটি কোটি স্বাস্থ্যবান শুক্রাণু

Unhealthy Habits: কোনও একটি বা নির্দিষ্ট কুঅভ্যেসের কারণে কিন্তু স্পার্ম কাউন্ট কমে না। বরং একাধিক খারাপ অভ্যেসের ফলেই হ্রাস পেতে থাকে সিমেনে স্পার্মের সংখ্যা। দেখা যাক কারণগুলি কী কী?

Increase Sperm Count: স্পার্ম কাউন্ট কম হলে বুঝবেন কীভাবে? এই ৫ অভ্যাসকে দূরে রাখলেই বাড়বে কোটি কোটি স্বাস্থ্যবান শুক্রাণু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2022 | 8:16 AM

অনেক পুরুষ স্বাভাবিক পথে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না। কারণ হিসেবে উঠে আসে ‘লো স্পার্ম কাউন্ট’-এর (Low sperm count) সমস্যা। স্পার্মের সংখ্যা কমে যাওয়ার সঙ্গে জীবনযাত্রার সম্পর্ক নিবিড়। মূলত কিছু কুঅভ্যেসের কারণেই পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমতে শুরু করে। অথচ কেউ কেউ বুঝতেও পারেন না তাঁদের ঠিক কোন খারাপ কাজগুলির (Unhealthy Habits) কারণে কমে যায় স্পার্মের সংখ্যা। তবে স্পার্ম কাউন্ট (Healthy Sperm Count )বাড়ানোর সহজ উপায়ও রয়েছে। সাধারণভাবে কোনও দম্পতি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণ না করতে পারলে বলা হয় ওই দম্পতি ইনফার্টিলিটির সমস্যায় ভুগছেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা সুপ্রজননবিদের কাছে যান ও ইনফার্টিলিটির চিকিৎসা করান। এরপর দরকার পড়লে তাঁদের ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের ( IVF) সাহায্য নিয়ে সন্তানধারণ করতে হয়।

আমাদের সমাজে কোনও বিবাহিত মেয়ের সন্তান না হলে সাধারণত ওই মহিলার উপরেই সন্তান না হওয়ার দায় চাপানো হয়। অথচ নানা ক্ষেত্রেই ইনফার্টিলিটির পিছনে দায়ী থাকতে পারে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া! পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া নিশ্চিতরূপে আধুনিক জীবনের অন্যতম জটিলতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই কারণে সারা ভারতেই ইনফার্টিলিটির সমস্যাও বাড়ছে। পুরুষের ইনফার্টিলিটির পিছনে কারণগুলি হল, স্পার্ম কাউন্ট কম থাকা এবং স্বাস্থ্যবান স্পার্মের অনুপস্থিতি।

সাধারণভাবে প্রতি মিলিলিটার সিমেনে মোটামুটি ১ কোটি ৫০ লক্ষ স্পার্ম থাকা উচিত। যত বেশি সুস্থ স্পার্ম থাকবে তত বেশি মাত্রায় ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার সম্ভাবনাও বাড়বে। সেইসঙ্গে স্পার্মের মোবিলিটি বা স্পার্মের সচলতাও স্বাভাবিক হওয়া দরকার। স্পার্মের গতিহীন হওয়াও কিন্তু লো স্পার্ম কাউন্টের দিকে ইঙ্গিত করে।

কোনও একটি বা নির্দিষ্ট কুঅভ্যেসের কারণে কিন্তু স্পার্ম কাউন্ট কমে না। বরং একাধিক খারাপ অভ্যেসের ফলেই হ্রাস পেতে থাকে সিমেনে স্পার্মের সংখ্যা। দেখা যাক কারণগুলি কী কী?

শরীরচর্চায় অনীহা: প্রতিদিন এক্সারসাইজ করলে সার্বিকভাবেই আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ওজনও থাকে স্বাভাবিক। নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলল ও সুগারের মাত্রা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন নিয়ে এক্সারসাইজ করলে ও কার্ডিও ওয়ার্কআউট কিন্তু প্রজনন সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

ধূমপান: তামাক সেবন ও ধূমপান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় একথা আমরা সকলেই জানি। তবে তামাক কিন্তু স্পার্মের সংখ্যাও কমিয়ে দিতে পারে। এমনকী স্পার্মের স্বাস্থ্যেরও হানি ঘটায়। দুর্বল স্পার্ম কখনওই ওভামকে নিষিক্ত করতে সক্ষম হয় না। তামাক সেবনকারী ও ধূমপায়ীদের স্পার্মের সংখ্যা সাধারণত তামাক সেবন করেন না এমন ব্যক্তির তুলনায় কম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে এখনই ধূমপান ছাড়ুন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য: প্রচুর পরিমাণে তেল-ঝাল-মশলা দেওয়া খাদ্যগ্রহণ, জাঙ্ক ফুড, প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাদ্য খাওয়া সহ সফট ড্রিংকস পান করার অভ্যেস কমিয়ে দিতে পারে স্পার্মের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া অভ্যেস করুন। পাতে রাখুন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিনযুক্ত খাদ্য। অর্থাৎ প্রতিদিন খেতে হবে ভাত বা রুটি, ডাল, শাকসব্জি, মাছ, মাংস বা ডিম এবং একটি করে মরশুমি ফল। মনে রাখবেন ফল ও শাকসব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যা শরীরে নানা ধরনের প্রদাহ কমিয়ে স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে সাহায্য করেষ। গবেষকরা বলছেন, আটা দিয়ে তৈরি খাদ্য, কয়েকটি বাদাম, সামুদ্রিক খাদ্য, রঙিন শাকসব্জি, এবং কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, দই, ছানা খেলে স্পার্ম কাউন্টে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

স্ট্রেস: সংসার, অফিস, জীবন নিয়ে প্রবল উদ্বেগ করার স্বভাব কমিয়ে দিতে পারে স্পার্ম কাউন্ট! সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করলেও কমতে পারে স্পার্মের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা তাই বার বার বলছেন, একটানা উদ্বেগে ভুগলে যোগা, ধ্যানের অভ্যেস করুন। উদ্বেগের মোকাবিলা করা সহজ হবে। ভালো থাকবে স্পার্মের স্বাস্থ্য।

মদ্যপান: প্রতিদিন কয়েক পেগ না খেলে আপনার দিনটাই মাটি হয়ে যায়? আপনি কি জানেন, এমন অভ্যেসে সন্তান নেওয়ার স্বপ্নও মিশে যেতে পারে মাটিতে? গবেষকরা বলছেন, নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যেস স্পার্ম কাউন্টে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। স্পার্মের সচলতার উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে অ্যালকোহল। এমনকী পুং হর্মোন টেস্টোস্টেরনের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে মদ্যপান। তাই আজ থেকেই অ্যালকোহলকে বলুন ‘না’। বাড়ান স্পার্ম কাউন্ট।